রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়া পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার উদীয়মান ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহের মাহমুদ তারিফ (১৮) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (০৭ মে) ঈশ্বরদী-পাবনা সড়কের কালিকাপুর এলাকায় সিএনজি-ট্রাকের সংঘর্ষে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা নেওয়ার পথে বিকেলে তারিফের মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাহের মাহমুদ তারিফ ঈশ্বরদী পৌর শহরের নারিচা এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
পাকশী হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে পাবনায় যাচ্ছিলেন তারিফ। পথে দাশুড়িয়ার কালিকাপুরে অজ্ঞাত একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে।
এতে তাহের মাহমুদ তারিফ গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেওয়ার পথে টাঙ্গাইলের কাছে বিকেল ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞানের সামগ্রী কেনার জন্য তারিফ পাবনা যাচ্ছিল। মাঝে সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা যায়। বিজ্ঞানে প্রতিভাধর উদীয়মান তরুণ এই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর ঘটনায় ছড়িয়ে পড়লে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তিনি আরও জানান, করোনার সময় অল্প খরচে বাতাস থেকে অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট তৈরি করে দেশব্যাপী তাক লাগিয়েছিল তাহের মাহমুদ তারিফ। তখন সে ঈশ্বরদী সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র। করোনার আগে তার বাবা শ্বাসকষ্টে মারা যান। বাবার মৃত্যুর ঘটনায় তাহের মাহমুদ অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা শুরু করে।
২০২১ সালে ৮ জুন ঈশ্বরদীর ইউএনও কার্যালয়ে সাংবাদিকদের অক্সিজেন জেনারেটরটির উদ্ভাবন সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন তাহের মাহমুদ তারিফ। ক্ষুদে এই বিজ্ঞানীর সাফল্যে ২০২২ সালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণে তাকে 'শেখ রাসেল' পুরস্কৃত করা হয়।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা একজন উদীয়মান ক্ষুদে বিজ্ঞানী ও মেধাবী শিক্ষার্থী হারালাম।
সড়ক দুর্ঘটনা ক্ষুদে বিজ্ঞানী বাতাস থেকে অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন