নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ২৩ জুন, ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এরা আসে মধু খেতে, পয়সা বানাতে। দলের কোন্দলের দুরভিসন্ধি নিয়েও এরা আসে। আবার অনেকে আসে মনে করে দলে ভিড়লে তাঁরা মামলা থেকে বাঁচবে। দলের অনুপ্রবেশকারী এই সুযোগসন্ধানীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
অন্যান্য খবর:
কাল ঢাকা আসছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আন্ডার সেক্রেটারি
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জোঁ পিয়েরে ল্যাক্রোয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশে আসছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। তিন দিনের এ সফরের মূল উদ্দেশ্য হল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ও সার্বিক তৎপরতা অবলোকন করা।
‘নৌকার বিজয় উপহার দিতে প্রস্তুত গাজীপুরবাসী’
`নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কাজ করছেন। আমাদের প্রার্থী ৫৭ ওয়ার্ডে ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। আমাদের কর্মীরা কাজ অব্যাহত রেখেছেন। আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমরা নৌকা মার্কায় জাহাঙ্গীর আলমের বিজয় সুনিশ্চিত করেই ঘরে ফিরবো। গাজীপুরবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকার বিজয় উপহার দিতে প্রস্তুত।`
শনিবার বিকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির এক নম্বর এজেন্ট ও মহানগর সভাপতি মোঃ আজমত উল্লাহ খান এসব কথা বলেন।
বৃষ্টি-কাদা-পানি উপেক্ষা করেই জমজমাট প্রচারণা
শনিবার ভোর থেকেই গাজীপুরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যার ফলে সমগ্র নগর জুড়ে কাদা পানিতে একাকার। এই কাদা ও পানি উপেক্ষা করেই জমজমাট প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট চাইছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আর মাত্র দুইদিন প্রচারণার বাকি তাই কোনো বাঁধাই আর প্রার্থীদের প্রচারণাকে আটকে রাখতে পারছে না।
জাহাঙ্গীরের পাল্লা ভারী, হাল ছাড়েনি হাসান
নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে গাজীপুর সিটিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ প্রচার প্রচারণা চলছে। সবারই প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আর মাত্র কয়েকদিন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মানুষের মুখে মুখে জয়-পরাজয় নিয়ে মতামত প্রকাশ পাচ্ছে। কথায় বলে মানুষের মুখেই জয়। ভোটারের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে জাহাঙ্গীরের পাল্লা ভারী। তবে হাসান সরকার হাল ছেড়ে দেননি। এটা নির্বাচনের সৌন্দর্য। একপক্ষ বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছুটে বেড়াবে। আর পিছিয়ে থেকেও প্রতিপক্ষ শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। শুধুমাত্র গুটিকয়েক ভোটারের আলোচনা বিবেচনা দিয়ে পাল্লা ভারী মন্তব্য করছি না। কিছু পরিসংখ্যান এবং মাঠ পর্যালোচনাও এর স্বপক্ষে কথা বলে।
বাংলা ইনসাইডার/ বিপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।