নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০১৮
রাজধানীতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন এক চিত্র। বিভিন্ন স্থানে কিছু নামধারী ছাত্ররা হাত দিয়ে ইশারা করে গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্রসহ ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইলেন্স দেখতে চায়। এক্ষেত্রে তাদের গাড়ির ড্রাইভারসহ গাড়ির মালিকের সঙ্গে দুর্ব্যাবহারসহ আক্রমণাত্মক ভাবে কথা বলতে দেখা গেছে। কখনও কখনও গাড়ির কাগজ দেখাতে একটু দেরি হলে তারা গাড়ি ভাঙতেও উদ্যত হয়েছে।
ঠিক এমনই এক অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। গতকাল তিনি মতিঝিল থেকে অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে তার গাড়ি মতিঝিল এলাকাতেই কিছু নামধারী ছাত্র হাত দিয়ে ইশারা করে থামায়। তারা আক্রমণাত্মকভাবে তাঁর গাড়ির কাগজপত্র সহ ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইলেন্স দেখতে চায়। তিনি তাদেরকে গাড়ির কাগজপত্র এবং ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইলেন্স দেখান। কিন্তু তাদের আচার- ব্যবহার তাঁর কাছে ছাত্রসুলভ মনে না হওয়ায় তিনি তাদের আইডি কার্ডও দেখতে চান। এতেই বেঁকে বসে তারা। শুরু হয় বাঁকবিতণ্ডা। তিনি তাদেরকে বলেন, আইনতো সবার জন্যই সমান। আমার ছেলে- মেয়েও স্কুলে পড়ে। সন্তানকে চিনতে বাবার ভুল হয় কিভাবে? তোমাদের আইডি কার্ড কোথায়? কোন ছাত্রই এমন রুঢ় আচরণ করতে পারে না। আমি যদি আমার সব কাগজপত্র দেখাতে পারি, তবে তোমরাও তোমাদের আইডি কার্ড দেখাও। আইনতো সবার জন্যই সমান। এ কথা শোনার পরই তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এমনকি চড়াও হয় তার উপর। তাদের সঙ্গে আরও কিছু উৎশৃঙ্খল যুবক যোগ দেয়। তারা গাড়ি ভাঙ্গতে উদ্যত হয়, উপায় না দেখে তিনি পুলিশের সাহায্য নেন। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে তিনি তার গাড়ি নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
ওই সরকারী কর্মকর্তা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, সাধারণ ছাত্ররা যে দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, তিনিও তা সমর্থন করেন। তিনি নিজেও চান গাড়ি চালনায় আইনগুলো মানা হোক। এমনকি তার ছেলেকেও তিনি রাজপথে নামতে নিষেধ করেননি। কিন্তু যারা তাকে হয়রানি করেছে, তারা কিছুতেই সাধারণ ছাত্র হতে পারে না। তারা কাল থেকে বলছে, গাড়ির সামনের গ্লাসের সাথেই ড্রাইভিং লাইলেন্স রাখতে। এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু যারা আন্দোলন করছে তাদেরও তো পরিচয় আছে, আইডি কার্ড আছে, তবে তাদের তা গলায় ঝুলাতে সমস্যা কোথায়?
তিনি আরও বলেন, যদি ছাত্ররা আইডি কার্ড না ঝুলায়, তবে আমরা কিভাবে বুঝবো কারা ছাত্র, আর কারাই বা দুর্বৃত্ত! আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের সাথে একটা তৃতীয় পক্ষ যোগ দিয়েছে। তারা একটি মতলববাজ স্বার্থান্বেষী মহলও হতে পারে, আবার দুর্বৃত্তও হতে পারে। যদি তারা সাধারণ ছাত্রই হয়, তবে আইডি কার্ড দেখাতে এত সমস্যা কিসের?
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।