নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১১ অগাস্ট, ২০১৮
১৭৪ কোটি টাকা ব্যয় করার পরেও কর্ণফুলি পেপার মিলের (কেপিএম) আধুনিকায়ন কোন কাজে আসেনি। বরং উত্পাদন আগের চেয়ে ৭২ ভাগ পর্যন্ত কমে গেছে। লোকসানে জর্জরিত দেশের প্রথম পোপার মিলটির দায়দেনা সাড়ে ৭শ কোটি টাকায় ঠেকেছে। ৩০ হাজার মেট্রিক টন উত্পাদন ক্ষমতার এই পেপার মিলটি এখন গড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন কাগজ উত্পাদন করছে। মিলটি লাভজনক করতে পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি মনিটরিং ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। (ইত্তেফাক)
অন্যান্য সংবাদ
বিএনপির টার্গেট অক্টোবর
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন- এ দুই ইস্যুতে আন্দোলনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করছে বিএনপি। তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই এ রোডম্যাপ চূড়ান্ত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিএনপির টার্গেট অক্টোবর। দাবি আদায়ে এ মাসেই কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে তারা রাজপথে থাকবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে রাজপথে নামবে দলটি। ওই দিনই বৃহত্তর জোট গঠনের প্রাথমিক রূপরেখার ঘোষণা হতে পারে। আন্দোলনে যারা মাঠে থাকবে না তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না- হাইকমান্ডের এমন কঠোর মনোভাব নেতাদের জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী এক মাস সাংগঠনিকভাবে দলকে আরও শক্তিশালী করার কাজ চলবে। সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত গঠন করা হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ঢাকা মহানগরকে আলাদা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিএনপির নীতিনির্ধারক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, পহেলা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এদিনের কর্মসূচির মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নামবেন। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি আসতে পারে। ওই সমাবেশে ঐক্য প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন এক নীতিনির্ধারক। (যুগান্তর)
ঢাকার ২০ আসন নিয়ে চাপে বড় দুই দল
একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা জেলার ২০টি আসনেই জোট-মহাজোটে সম্ভাব্য প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এসব আসনে দুই শতাধিক প্রার্থী জোট-মহাজোটের মনোনয়ন চাইবেন। এ বিপুল সংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় চাপে পড়েছে রাজনীতির মাঠের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বেশ কিছু আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে দল দুটিকে। (সমকাল)
বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ : নির্বাচনের আগে স্মার্ট কার্ড পাবেন না অধিকাংশ ভোটার
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অত্যাধুনিক জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড তৈরির পরিকল্পনায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। মেশিন অকেজো হয়ে পড়ায় এবং দক্ষ লোকবলের অভাবে স্মার্টকার্ড তৈরি প্রায় বন্ধের মুখে। সে কারণে চলতি বছরের মধ্যে দেশের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন ইসির এনআইডি অণুবিভাগের কর্মকর্তারা। (ভোরের কাগজ)
ট্রেনে বাড়তি কোচ, যানজট কমানোর লক্ষ্য মহাসড়কে
ঈদ সামনে রেখে প্রস্তুতি চলছে বাড়ি ফেরার। ট্রেন স্টেশন ও বাস কাউন্টারগুলোয় এখন অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়। তবে যাত্রা শুরু হবে আরো পরে। সাধারণ মানুষের এই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে বিশেষ ট্রেনের পাশাপাশি ১৫০টি বাড়তি কোচ সংযোজনের পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে। অন্যদিকে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট হ্রাসে গুরুত্ব দিচ্ছে মহাসড়ক বিভাগ। নিরাপত্তায় বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ও। (বণিক বার্তা)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।