নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৮
কল্যাণ সমিতি সম্পর্কে আমাদের সবারই ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশে নানা সময়ে নানা ধরনের কল্যাণ সমিতি গড়ে উঠতে দেখা গেছে। তাই বলে ছিনতাইকারী কল্যাণ সমিতি! নিশ্চিত ভাবেই এমন অদ্ভূত সমিতির কথা আগে কারোর জানা ছিল না। শুনতে একটু অবাক লাগলেও রাজধানীর বুকে গড়ে উঠেছে এমনই এক সমিতি। ছিনতাইকারীদের কল্যাণে কাজ করার জন্যই এই সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে।
গত শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন।
আবদুল বাতেন জানান, যাত্রাবাড়ী ও নিউমার্কেট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) `ছিনতাইকারী কল্যাণ সমিতি`তে অভিযান চালায়। এসময় ছিনতাইকারী কল্যাণ ফান্ডের আট লাখ টাকা, একটি চাপাতি, দুটি চাকু ও ১২টি মোবাইল উদ্ধার করে ডিবি। এছাড়া অভিযানে আট ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ছিনতাই করতে গিয়ে কোনো ছিনতাইকারী আহত হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং জেলে গেলে জামিনে ছিনতাইকারীকে বের করে আনায় হচ্ছে `ছিনতাইকারী কল্যাণ সমিতি`র মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ছিনতাইকারীদের এধরনের সেবায় ফান্ডও গঠন করেছে এই সমিতি। যার নাম `ছিনতাইকারী কল্যাণ তহবিল`। ছিনতাই করা টাকা থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ জমা রাখা হয় এই তহবিলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। মার্কেটে যাওয়া ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গলে সুকৌশলে মোবাইল, টাকাপয়সা নিয়ে নেয়। এছাড়া তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে। মাসে গড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করে তারা।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।