ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ড. কামাল নিজেই সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেন কীভাবে?’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ড. কামালরা আদৌ নির্বাচন চায় কী না সেটাই প্রশ্ন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড. কামালকে আইনমন্ত্রী বানিয়েছেন। পরে তাঁর ছেড়ে দেওয়া আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া নির্বাচিত হয়েছেন ড. কামাল। তিনিই আবার সংবিধানের এই নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেন। নিজেই প্রণেতা দাবি করে এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন।

আজ রোববার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সাত দেশের জোট ‘বিমসটেক’ চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

ড. কামাল-বদরুদ্দোজাদের জাতীয় ঐক্যর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পার্টি দুইটি। আওয়ামী লীগ ও এন্টি আওয়ামী লীগ। এন্টি আওয়ামী লীগের কোথাও যাওয়ার তো জায়গা লাগবে।

জোটে থাকা আ স ম আব্দুর রব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসময় জাসদ নেতা আ স ম আব্দুর রব ছাত্রলীগ করতে এসেছিলেন। অনেকেই তাঁর মতো আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়েছে। আবার চলে গেছে। সুবিধা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে মন্ত্রব করেন ‘অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, আ.স.ম আব্দুর রব’।

মাহমুদুর রহমান মান্নার জোটে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এর আগে তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে লিখেই তিনি অভ্যস্ত। এবার তাঁকে বললাম আপনার লেখার হাত অনেকে ভালো, আপনিতো সবসময় আমাদের বিরুদ্ধে লিখেন। এবার একটু আমাদের পক্ষে লেখেন। একথা শুনেই মান্না জুড়ে দেয় কান্না।  

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হেনরি কিসিঞ্জার মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। সে বাংলাদেশ এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। অনেক দেশ আমাদের কাছে এমন উন্নয়নের কারণ কি, ম্যাজিক কি, জানতে চান। আমি বলি ম্যাজিক একটাই দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে এবং দেশের উন্নয়েন কাজ করতে হবে। এটাই আমাদের ম্যাজিক।’

ইভিএম নিয়ে বিরোধীতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যালটে ভোট হলে কারচুপির সুযোগ পায় তারা। নানা কারচুপির পদ্ধতি তাদের জানা। সেখানে ইভিএম হলে তো তাঁরা কারচুপি করতে পারবে না। তাই ইভিএমন বিরোধীতা। তবে এটিই শেষ কথা নয়। সমস্যা হলে এর সমাধানও হবে।

মিডিয়ায় বিএনপিকে হাইলাইট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স আমি প্রদান করেছি, তারপরেও আমি থাকি তিন নম্বর স্থানে। কিন্তু বিএনপি বিরোধীদলেও নাই, সরকারেও নাই, তাঁরা কোনো স্থানে না থাকার পরেও তারাই এক নম্বর স্থানে থাকে। তারাই মিডিয়ার কাছে অগ্রাধিকার পায়। মিডিয়ার কাছে বিএনপি’ই ফেবারিট।’ 

বিএনপি চেয়ারপারসনের আদালতে হাজির না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে ১৫৪ বার আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি হাজির হননি। অন্য কেউ যদি এত বার আদালতকে অগ্রাগ্য করতো তাহলে আপনারা (মিডিয়া) কী লিখতেন। কিন্তু কিছু লোকের দোষ দেখা হয় না। আর আমাদের পান থেকে চুন খসলেই হাউমাউ শুরু হয়।’

সংবাদ সম্মেলনের একটি পর্যায়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমি আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান।’ পত্রিকাটি নতুন বলেও উল্লেখ করেন নাইমুল ইসলাম খান। এসময় অডিটোরিয়ামে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। নাইমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বিএনপি আন্দোলন করে না কেন প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু আপনার সমর্থন ছাড়া তো বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না।

মিয়ানমারের ভুয়া ছবি ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার মুক্তি যুদ্ধের ছবি ব্যবহার করে জঘন্য কাজ করেছে। তবে বাংলাদেশেও এই ঘটনা বহুবার ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন, মক্কা শরীফের মানববন্ধন করার ছবি তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৩, ১০১৪, ২০১৫ সালে দেখেছেন, বিভিন্ন ছবি বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামাত এগুলো করেছে। মিয়ানমারও এমন কাজ করেছে। এটা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। মিয়ানমার কি তাহলে জামাত-বিএনপির কাছ থেকে এগুলো শিখেছে?

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএমসটেক সম্মেলনের সময় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের উইন মিন্তের সঙ্গে তাঁর অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁদের কাছে মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক এমন ৩০০০ জনের তালিকা আছে। এদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। 

গত বৃহস্পতিবার বিমসটেক চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেপাল যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐদিন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। সম্মেলন চলাকালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভূটানের প্রধান উপদেষ্টা দাশো সেরিং ওয়াংচুক এর সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার তিনি দেশে ফিরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরে এসে সে বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতে লফার্ম নিয়োগ বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতীয় আইনজীবী ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’কে ভারতের আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

সারোওয়াত সিরাজ শুল্কা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেধাসত্ত্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বাংলাদেশের জিআই পণ্যের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার আইনজীবী ফার্ম ভারতে নিয়োগ করেছে। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি ভারতীয় ল ফার্ম বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতের মাটিতে লড়াই করবে। তারা রেকটিফিশনের জন্য, বাতিল করার জন্য আবেদন করবেন বলে জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট বিজয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সকল জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন টাঙ্গাইলের মেয়ে ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নয়, দাবি ভারতের’ এমন শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সরকারের। এ নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের বলে জানান। পরবর্তীতে ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়।


টাঙ্গাইল শাড়ি   জিআই পণ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্চিত ও জমি দখলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়কে অবস্থান নেয়। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যায়। 

দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষককে বহিরাগতরা লাঞ্চিত করার খবর পেয়ে তারা বিক্ষোভ করেছে। পরে পুলিশ এসে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা ক্লাসরুমে ফিরে যায়।

নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আমির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জোর করে স্থানীয় কয়েকজন দখল করতে চান। এ নিয়ে একাধিক সালিশ হলেও তা সমাধান হয়নি। রাতের বেলায় কিংবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে দখলবাজরা প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি নিজের আয়ত্তে নিতে চায়। প্রতিষ্ঠানের ফল লুটে বাধা দেয়ায় শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো: বেলাল হোসাইন জানান, প্রতিষ্ঠানটির ৪৪৯ দাগে ১ একর ৯৪ শতক দালিলিক ও দখলীয় সম্পত্তি রয়েছে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম নাগের বাড়ির মনোয়ার ও লিটন প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ওপর প্রাচীর নির্মাণ করার চেষ্টা চালায়। এনিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও সমাধান না হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার সকালে একই বাড়ির সুমন ও রুবেল প্রতিষ্ঠানের গাছ থেকে ফল লুট করার সময় শিক্ষকরা বাধা দিলে তারা তাদের লাঞ্চিত করে। এসময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও দেয় তারা। এঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনা হয়। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

এদিকে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধের কথা জানান অভিযুক্ত সুমন ও রুবেল।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক জানায়, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি নীতিগত সিদ্ধান্তের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তবে আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত নেই।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুব সমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব বয়সসীমা শিথিল করার সময় এসেছে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির সময় হয়েছে। আমাদের ‘না’ একটা মনোভাব রয়েছে— এটা থেকে বেরিয়ে ‘হ্যাঁ’-তে চলে আসতে হবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

চাকরিতে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার (অবসর) বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।

সরকারি চাকরি   জনপ্রশাসনমন্ত্রী   ফরহাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট (বিদ্যুৎকেন্দ্র), বিশেষত ওয়েল বেইজড (তেলভিত্তিক) পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জেনারেশনে (উৎপাদন) যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম আমরা সে পর্যন্ত গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, আজকে (সোমবার) যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। আমদানি করা তেলের সংকটের কারণে দেড় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীণ সোর্স (বিপিসি) থেকে জ্বালানি সমন্বয় করে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে উৎপাদনে আসছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ   প্রধানমন্ত্রী   নসরুল হামিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরির বয়সসীমা কী ৩৫ হচ্ছে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন। 

তিনি বলেছেন, বিশ্বের ১৬২ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর। আবার অনেক দেশে চাকরিতে বয়স প্রবেশ উন্মুক্ত। নেই বয়সসীমার বালাই। দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪৫ বছর উল্লেখ করে মহিবুল হাসান চৌধুরী মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালে ৩৫ বছরের চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে বলে তার ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন। এমনকী চীনের চাকরিতে বয়সসীমা ৪০ বছর। সেক্ষেত্রে সার্বিক বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩৭ বছর এবং পুলিশের এসআই ও সার্জন নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ডিও লেটার ইতোমধ্যে পেয়েছে। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন যে, এই নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। 

এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সময় যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি চাকরি বয়সসীমার বৃদ্ধির পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়টা যুবলীগের এই আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছিল এবং সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির বয়সও বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে এখন সেশনজট নেই। শিক্ষার্থীরা ২৫ বছর বয়সেই তার শিক্ষা জীবন শেষ করেন। এ কারণে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবকে প্রধানমন্ত্রী তখন নাকচ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান যখন জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে ডিও দিয়েছেন তখন এটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

মহিবুল হাসান একজন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সরকারের স্পর্শকাতর নীতি নির্ধারণী বিষয় তিনি ডিও দিলেন কেন-এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা হচ্ছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। তিনি যদি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে তার মনোভাব ব্যক্ত করতে চাইছেন, সেটাতে ডিও দেওয়ার প্রয়োজন ছিল কিনা সেটি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। 

অনেকে বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেখা করে সরাসরি তিনি বিষয়টা উত্থাপন করতে পারতেন। সেটি না করে একটি ডিও দিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক স্ট্যান্ড কিনা তা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এই কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে অনেকে মনে করে।

কেউ কেউ মনে করছেন, সরকার হয়ত বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে পারে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রী গতকাল সাংবাদিকদের যা বলেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে ইতিবাচক কোন মনোভাব গ্রহণ করা হয়নি বা প্রধানমন্ত্রীর আগের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়েছে এমন কোন ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তাহলে মহিবুল হাসান চৌধুরী একজন দায়িত্ববান এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে কীভাবে এই ডিও লেটারটি দিলেন। এটি কী সরকারের সমন্বয়হীনতার একটি প্রতিফলন নাকি সরকার সত্যি সত্যি চাকরির বয়সসীমার ব্যাপারে দেখতে চায়।

বর্তমানে চাকরিতে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। যদিও বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন। আবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের চাকরির বয়স ৬৭ বছর। এই বাস্তবতা বিচার করে অনেকে মনে করেন যে, চাকরির অবসর বয়সের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য আনা দরকার। সেই বিষয়টিকে বিবেচনা করে চাকরির অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টিও একটি আলোচিত এবং কাঙ্খিত বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে সরকার চাকরির বয়সসীমা বাড়াবে কিনা সেটি নিয়ে এখন একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। 

তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবেনি।

চাকরির বয়সসীমা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   জনপ্রশাসন মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন