নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) সাবেক হওয়ায় অন্তর জ্বালার কারণেই মনগড়া তথ্য দিয়ে বই লিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পুর্বে গণমাধ্যমে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসকে সিনহা সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার কারণে তাঁর অন্তর জ্বালা আছে। সবাই জানে কী পরিস্থিতিতে তিনি সাবেক হয়েছেন। এখন তিনি যা লিখেছেন, প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এ কথা বলার সৎ সাহস তার কেন ছিল না? বিদায় নেওয়ার পর কেন পুরনো কথা নতুন করে বলছেন। তিনি যদি সত্য কথাই বলতেন, তাহলে যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন বলেন নাই কেন? দেশের জনগণের মাঝে এসে সত্য কথা বললেন না কেন? এখন বিদেশে বসে মনগড়া ভুতুড়ে কথা বলছেন। এটা আমাদের ও দেশের মানুষের বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নেতায় নেতায় ঐক্য হলেও জনতার মধ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না। বর্তমান দেশের চিত্র অনুযায়ী, এই মুহূর্তে জনমনে ঐক্যের কোনো প্রতিফলন ঘটবে না। নেতায় নেতায় ঐক্য, দলে দলে ঐক্য যতই হোক জনগণ প্রভাবিত হবে না। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা। আমাদের আস্থা আছে বাংলাদেশের জনগণের ওপর। জনমত শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে।’
এসময় সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিবও তাদের ডেকে ছিলেন। কিন্তু পরে কি জানা গেল, জাতিসংঘের মহাসচিব তাদের আমন্ত্রণ করেননি। তারা জাতিসংঘের প্রধান ফটকে গিয়ে, অনেক অনুরোধ করে, একটা তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিএনপি জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র বিষয়ে যে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছে। এতে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রকে অপমানিত এবং অসম্মান করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এসময়।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।