ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ দূষণে বছরে ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ অনেক মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশ দূষণজনিত কারণে শুধু ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। 

আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স রুমে বাপার উদ্যোগে ‘পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরের ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, দূষণ বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ’-এর দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানান সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ হাজার মানুষ মারা গেছে শহরে। এ ছাড়া, নানা রোগব্যাধিতে মোট মৃতের সংখ্যা ছিলো ৮ লাখ ৪৩ হাজার। পরিবেশ দূষণের মধ্যে বায়ূদূষণে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দূষণ জনিত মৃত্যু থেকে বেশি।

এছাড়াও বাংলাদেশের নদী, নালা, খাল, বিল দূষণ ও দখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার চারপাশের ইটভাটা, তীব্র যানজট, পুরোনো মোটরগাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং ধুলা, কার্বন ডাই অক্সাইড ঢাকার বাতাসকে ভারি করে তুলছে বলেও উল্লেখ করে বাপা।

এরপর পরিবেশ দূষণ রোধে বেশকিছু পরামর্শ দেয় বাপা। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইটের বিকল্প জ্বালানি হিসাবে কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়ানো, কাঠ পোড়ানো বন্ধ করা, ১৬ বছর ও তার বেশি ব্যবহৃত যানবাহন ব্যবহার বন্ধ করা,সব বড় সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, মাটিবাহী ট্রাক ও গরুর গাড়ি থেকে বালি ও মাটি পড়া বন্ধ করা, সারাদেশে গাছ লাগানো জোরদার করা ও ধুমপান কমানো।

বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোল্লাহ, মিহির বিশ্বাসসহ অনেকেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বাংলা ইনসাইডার/বিকে



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে আটোভ্যান চালক হ্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অটোভ্যান চালক শাকিল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। অটোরিকশা ছিনতাই এবং হত্যার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমার। 

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে অটোভ্যান সহ বাড়ি থেকে বের হয় শাকিল। এসময় শেরপুর থানাধীন সীমাবাড়ী ইউনিয়নের চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার এলাকা হতে অজ্ঞাত নামা ৩-৪ জন তাকে টার্গেট করে তার অটো ভ্যানটি দূর্গা পূজার মন্ডপ ঘুরে দেখার কথা বলে ভাড়া করে। অটো চালক শাকিলকে নিয়ে আসামিরা মথুরাপুর বাজারে যায়। সেখান থেকে ক্লোন্ড ড্রিংকসের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে শাকিলকে খাওয়ানো হয়। এতে শাকিল অচেতন হয়ে পড়ে।

 

এরপর শাকিলকে হাত, পা ও মুখ বেধে শ্বাসরোধ করে করে ফুলজোর নদীতে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ভাসিয়ে দিয়ে অটোভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় আসামীরা। ২৩ সালের ২৩ অক্টোবর ফুলজোর নদী থেকে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে শাকিলের পরিবার।

 

মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের দিক নির্দেশনায়, রায়গঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমারের তত্বাবধানে, অফিসার ইনচার্জ হারুনর অর রশিদ এর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে আসামি আশিক (১৯) কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

এসময় হত্যাকান্ডের সকল তথ্য বেরিয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃত আশিক বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার নাকুয়া গ্রামের বাদশার পুত্র। অন্য দিকে একই এলাকার মোমিন, ফিরোজ আহম্মেদ এ হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল, তবে ফিরোজকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমার।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সহ স্থানীয় সংবাদকর্মী বৃন্দ।'


হত্যাকান্ড   রহস্য   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের লালপুর উপজেলার আজিম নগর রেলওয়ে স্টেশনে মঞ্জুর রহমান মঞ্জু (৪০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত মঞ্জুর রহমান উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বাহাদিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ও গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল ২০২৪) রাত ১১টার দিকে গোপালপুর পৌরসভার আজিমপুর রেলস্টেশনে রবিউল ইসলামের কনফেকশনারী দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে গোপালপুর আজিম নগর রেল স্টেশনে মনজুর রহমান মঞ্জুকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে মাথায় এবং পেটে গুলি করে হত্যা করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।


আওয়ামী লীগ নেতা   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মহান মে দিবসে সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন ‘মহান মে দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালে জাতীয় শ্রম নীতি প্রণয়ন করেন এবং প্রথম মহান মে দিবসকে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন। 

১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি শ্রমিকদের মজুরির হার বৃদ্ধি এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের এডহক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে।

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে যে কোন শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।

আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। এ শিল্পের কর্মহীন এবং দুস্থ শ্রমিকদের সর্বোচ্চ তিন মাসের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সকল সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে।

শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকল্পে জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং কার্যক্রম আরো সুদৃঢ় হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রূপান্তরিত করেছি।

শ্রমিক ভাই-বোনদের যেকোন সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া জন্য সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করা হয়েছে। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক-মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। মে দিবসের চেতনায় দেশের শ্রমিক-মালিক ঐক্য জোরদার করে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো; এটাই হোক আমাদের মে দিবসের অঙ্গীকার।”

তিনি ‘মহান মে দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।


মহান মে দিবস   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো ভারতে পাচার ২০ বাংলাদেশী নারী ও শিশু


Thumbnail ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল পাচার হওয়া ২০ বাংলাদেশী নারী ও শিশু

ভারতে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার ২০ জন বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে। ফেরত আসাদের মধ্যে ৬ জন নারী ও ১৪ জন শিশু রয়েছে।

 

তারা হলেন, অনন্য রায় (১৬), কামনা বিশ্বাস (১৭), উর্মি আক্তার (২১), নাদিরা শেখ (২৩), বৃষ্টি (৮), আবৃতি শীল (৮), রাবেয়া আক্তার (১৫), হোসনা আক্তার (১৪), জান্নাত শেখ (১৭), পূঁজা রায় (১৫), আছিয়া খানম (৫), নাহিদ হাসান (১৩), তৃষা (১৭), ওলিদ খান (১৬), কথা মন্ডল (৮), ফারজানা আক্তার (২২), প্রান্তী বিশ্বাস (১৮), তমারানি (১৯), জোগুনা বিবি (৬৫) ও রাকিব হোসেন (১৬) । এরা দেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা, পিরোজপুর, কেরানিগঞ্জ, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, বাগেরহাট ও চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা। 

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী শিশু পাচার রোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

 

ফেরত আসারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। এরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমের হেফাজতে ছিল। পরবর্তীতে এদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হলো।

 

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল-পেট্রোপোল নোম্যান্সল্যান্ডে স্থানীয় এসি ল্যান্ড, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট উদ্ধারকৃত এসব নারী- শিশুদের হস্তান্তর করেন।

 

এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি, স্থানীয় এনজিও কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসাদের পোর্ট থানার সোপর্দ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন জানান, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এসব নারী-শিশুদের আনা হয়েছে। ফিরে আসা নারী ও শিশুদেরকে ৩টি মানবাধিকার সংগঠনের হাতে তুলে দেয়া হবে। এসব মানবাধিকার সংগঠন তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।


ভারত   কারাভোগ   পাচার   বোনাপোল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শ্রমিকের কল্যাণ সাধনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সরকার: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ‘মহান মে দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ‘মহান মে দিবস- ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল এক অনন্য মাইলফলক।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘টেকসই শিল্প ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। আমি আশা করি, শ্রমিক ও মালিকের ইতিবাচক ও প্রাগ্রসরমান অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এ প্রত্যাশা করি।’

রাষ্ট্রপতি মহান মে দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন   সরকার   মে দিবস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন