নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
দলীয় কোন্দল যখন চরম সীমায় তখন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে দলীয় মনোনয়নে চমক আনলো আওয়ামী লীগ। জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ঐ আসনে মহাজোটের প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে জাকের পার্টির পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সালকে। যদিও পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সাল তাঁর নিজ আসন ফরিদপুর-৪ (ভাঙা-সদরপুর) আসনে আগ্রহী ছিলেন। জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় সেখানে তাঁর বড় পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু দলের হাল ধরেন। একসময় নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন। দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের পাশ কাটিয়ে তৈরি করেন নিজস্ব বলয়। সাজেদা পুত্রের এহেন অপকর্মে দলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। সংসদ উপনেতা যখন নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দেন তখন বাবলু চৌধুরী দলের নেতা-কর্মীদের পাশ কাটিয়ে ভিন্নধারার রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দলে যোগদান করিয়ে নিজের হাতকে শক্তিশালী করেন। এতে করে দিনকে দিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সাজেদা বিরোধী হয়ে ওঠে। দলের নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের মুখে একপর্যায়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন সাজেদা পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু। তবে এতেই ক্ষান্ত হয়নি মা এবং পুত্রের লড়াইও একসময় বেশ জমে উঠে। সংসদ উপনেতা বড় পুত্রের বিভিন্ন অপকর্মে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ছোট পুত্র কৃষিবিদ লাবু চৌধুরীকে রাজনীতির মাঠে নামান আর এতে করে মা এবং সন্তানের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেন। বর্তমানে সাজেদা চৌধুরী ছোট পুত্র কৃষিবিদ লাবু চৌধুরীর পক্ষে থাকায় বড় পুত্র বাবলু চৌধুরী নিজস্ব বাহিনী দিয়েই নগরকান্দার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। আওয়ামী লীগের এহেন কাঁদাছোঁড়াছুড়িতে বিব্রত দলের হাইকমান্ড। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বিব্রত। পারিবারিক এ বিরোধ মেটাতে তিনি এলজিইডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দায়িত্ব দিলেও শেষ পর্যন্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, সংসদ উপনেতার পারিবারিক বিরোধের সুযোগেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মহাজোটের অন্যতম শরিক জাকের পার্টির চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সালকে শেষ পর্যন্ত ফরিদপুর-২ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
হিট স্ট্রোক তীব্র তাপদাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ শিল্পমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া।