নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘সব নির্বাচন কমিশনারই সমান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বক্তব্য দিয়ে একজন নির্বাচন কমিশনারের অস্তিত্বে আঘাত করেছেন।’ আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
গত ১৭ ডিসেম্বর ‘আমি মনে করি না নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে।’ বলে মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার। ওই দিন নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার এসব কথা বলেন।
এদিকে প্রধান নির্বাচ কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটিতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সত্য বলেননি। নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।’ রাঙামাটিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিন পার্বত্য জেলার আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। সিইসি আরও বলেন, ‘সবাই নিজেদের মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে অসুবিধা কোথায়?’
বুধবার সাংবাদিকদের মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাঙামাটিতে বলেছেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ বলে আমি অসত্য ও মনগড়া বক্তব্য দিয়েছি। এ কথা বলে একজন নির্বাচন কমিশনার অস্তিত্বে আঘাত করা হয়েছে।’ মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারই সমান। এর আগেও সিইসি মহোদয় আমার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নানারূপ বিরূপ উক্তি করেছেন।’
বাংলাইনসাইডার/এমএস/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জেলা প্রশাসক সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক। শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।
আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০) ।
আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ‘ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি সহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’
জহুরুল আরও জানান, ‘আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।'
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'
মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, ‘গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, ‘বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিন জন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুই জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেঁতলে গেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'
মন্তব্য করুন