নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বৈধপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে অবৈধ পণ্য পাচার প্রতিরোধে কাস্টমস্ হাউজ বেনাপোলে রাসায়নিক পরীক্ষার অত্যাধুনিক ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস্ হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান বেনাপোল কাস্টমস্ হাউজের অত্যাধুনিক কেমিক্যাল ল্যাব উদ্বোধন করেছেন।
এরপর বেলাল হোসাইন চৌধুরী আইসিপি চেকপোস্ট, স্ক্যানার এলাকা পরিদর্শন ও কাস্টমস্ হাউজের অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা সভায় কাস্টমস্ কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধিদেরকে কীভাবে সরকারের রাজস্ব বাড়ানো ও কাস্টমস্ হাউজের উন্নয়ন করা যায়- সে বিষয়ে দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য প্রদান করেন। প্রধান অতিথি এনবিআর সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান স্থাপিত কেমিক্যাল ল্যাব, স্ক্যানিং মেশিন ও বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে সন্দেহভাজন পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যান করতে বলেন।
পরে বন্দর, কাস্টমস, ইন্টিগেটেড চেকপোস্ট ও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন-বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) উপ-সচিব প্রদোষ কান্তি দাস, বেনাপোল কাস্টমস্ হাউজের এডিশনাল কমিশনার জাকির হোসেন, যুগ্ন কমিশনার শাকিলা পারভিন, ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন,বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান স্বজন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমান, বেনাপোল কাষ্টমস্ অফিসার্স এসোসিয়েশনের খুকা এভ সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল মামুন প্রমুখ।
পরিশেষে উপস্থিত কাস্টমের সকল কর্মকর্তা, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ, বেনাপোল কাস্টমস্ হাউজের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ স্থলবন্দরের আমূল পরিবর্তন , উন্নয়ন , সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম,নিলাম টেন্ডার পদ্ধতিতে সচ্ছতা আনায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে বেধড়ক পেটানো সেই আওয়ামী
লীগ নেতা এলিম পাহাড় এবার পা ধরে মাফ চেয়েছেন।
রোববার (৫ মে) শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর উপস্থিতিতে
চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাফ চাওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে
পড়েছে। এলিম পাহাড় শরীয়তপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি।
ভুক্তভোগীরা হলেন, চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার
ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন ও তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান।
ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবনে হামলার
শিকার চিকিৎসকরাসহ কয়েকজন চিকিৎসক বসে আছেন। এলিম পাহাড়কে তাদের পায়ে ধরে মাফ চাইতে
বলছেন এমপি। তখন এলিম দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রথমে ডাক্তার শেহরিয়ারের পায়ে এবং পরে
তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের কাছে পা ধরে ক্ষমা চান। এ সময় তাকে সংসদ সদস্য ইকবাল
হোসেন অপুর পায়ে ধরতেও দেখা যায়।
ভিডিওতে পালং মডেল থানার ওসি মেজবাউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ নেতা বাচ্চু
বেপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিক পাহাড় ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) শরীয়তপুর
জেলা শাখার সভাপতি ডা. মনিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখা যায়।
মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক
হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি। ঘটনাটি
না বাড়িয়ে মীমাংসা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। তাই তার উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তি ক্ষমা
চেয়েছেন। তাই তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, স্থানীয় সংসদ
সদস্য অনুরোধ করায় আমি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি। আমার কানের পর্দা
ও কণ্ঠনালিতে আঘাত লেগেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এলিম পাহাড়, মোবাইল
ফোনে বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের মুরব্বি। উনি বলেছেন, তাই মীমাংসা করেছি। আমার ছেলেরে
অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম (পিপিএম)
বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলা পুলিশের কাছে
একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই এলিম পাহাড়কে আটক করে পুলিশ। কিন্তু
আসামি গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী তার অভিযোগপত্রটি তুলে নেন। যার কারণে কোনো মামলা গ্রহণ
করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মারামারিতে আহত ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি করার অভিযোগে ডা. শেহরিয়ারকে বেধড়ক পেটান এলিম পাহাড়। এই সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ডা. শাহরিয়ার বাদী হয়ে দুপুরে সদরের পালং মডেল থানায় একটি মামলার আবেদন করলে পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে।
এমপি ইকবাল হোসেন অপু শ্রমিক নেতা চিকিৎসক
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি
মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের
শিকার আব্দুল বারেক।
মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান
উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের
বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল
হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল
বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান
সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই
ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন