নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৯
আমাকে টেলিফোন করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। বললেন ‘প্রধানমন্ত্রী এতো কড়া কেন?’ উত্তরে আমি বললাম প্রধানমন্ত্রী এখন জনগণের ভাষায় কথা বলছেন। আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে কঠোর বার্তা দেন।
তিনি নার্সদেরও মানুষের সেবা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘সেবা না দিতে চাইলে চাকরী ছেড়ে দিন।’ প্রধানমন্ত্রীর বডি ল্যাংগুয়েজেই স্পষ্ট ছিলো তিনি তার বিশ্বাস থেকে এই কথাগুলো বলছেন। শুধু আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য নয়, চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি যেন ‘কড়া হেডটিচার’। ৭ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পর প্রথমে গেছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে, সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতি করলে চাকরী ছাড়ুন। বেতন তো অনেক বাড়ানো হয়েছে।’ এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তিনি কঠোর ভাষায় দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেন। চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেন অন্যরূপ। বাসায় কড়া গৃহকর্ত্রী যেমন সব কিছু ঠিকঠাক পরিপাটি চান, নিয়ম শৃংখলার এতোটুকু ছেদ তার দৃষ্টি এড়ায় না। তেমনি প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতিমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, সুন্দর একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চান। আর দায়িত্ব নেয়ার পরই তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এসব ব্যাপারে ন্যূনতম ছাড় দিতে রাজী নন তিনি।
তাই, শুধু আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান নন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও একটু ভয় পেয়েছে। তাদের আলোচনার সারকথা একটাই ‘আপা এবার কাউকে ছাড়বে না, সাবধান।’ এই যে প্রধানমন্ত্রী এতো কঠোর ভাষায় কথা বলছেন, তা কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। তিনি জনগণের ভাষায় কথা বলছেন। একজন ভুক্তভোগী অসুস্থ মানুষ যখন হাসপাতালে যান, গিয়ে দেখেন ডাক্তার নেই, তখন তার কী অনুভূতি হয়? তার কি বলতে ইচ্ছে করে না, হাসপাতালে না এলে চাকরী করার দরকার কী? অবশ্যই করে। আমারও এরকম মাঝে মধ্যে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করেছে। কিন্তু আমি বলতে পারিনি। কারণ আমি জানতাম, এর ফলে হয়তো আমার মা’র চিকিৎসাই বন্ধ হবে। আমার মতো অনেক, হাজারো ভুক্তভোগী এভাবে নীরবে চিৎকার করে। প্রধানমন্ত্রী যেন আজ আমাদের কণ্ঠস্বর হলেন। একটা মানুষের চাকরী যখন ঘুষের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে, একটা ফাইল যদি শুধু টাকার তেলে সচল হয়, তখন আপনার কী বলতে ইচ্ছা করে। এরকম না যে, ‘ঘুষ খান কেন? বেতন পান না?’ প্রধানমন্ত্রীর মানুষের কথা গুলো বলেছেন। যখন আমরা চারপাশে মাদকের থাবা দেখি, দেখি তরুণ-তরুণীদের কাছে চলে আসছে ড্রাগস। তখন আমাদের কী বলতে ইচ্ছে করে? পুলিশ কী করে? প্রধানমন্ত্রী মানুষের এই অনুভূতিই প্রতিধ্বনিত করেছেন তার বক্তৃতায়। এবার প্রধানন্ত্রী সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হয়েছেন। তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার কণ্ঠস্বর হয়েছেন। এটাই হলো ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’। জনগণের অধিকারের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষ যা বলতে চায়, তা বলছেন প্রধানমন্ত্রী।
মানুষ যেরকম দেশটাকে দেখতে চায় সেরকম ভাবেই দেশ সাজানোর আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অতএব, যারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় দেশটা এখন আমাদের। তারা শিগগিরই বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। এবার শেখ হাসিনা দেশটার মালিকানা জনগণকে দিয়েছেন। এজন্যই তিনি জনগণের ভাষায় কথা বলছেন। এজন্যই তিনি এখন কড়া হেডমাস্টার।
মন্তব্য করুন
রাজবাড়ীতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সারোয়ার হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চালক আব্দুর রহিম ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া ইউনিয়নের দোলাইরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্ঘটনায় আহত সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে কোম্পানির কাভার্ডভ্যানে ফ্যান নিয়ে ভোর ৪টায় ফরিদপুরে যাই। সেখানে একটি দোকানে ফ্যান ডেলিভারি দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলাম। পথে মজলিশপুর আখ সেন্টারের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সামনে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে চলে আসে। এ সময় ট্রাকটির সঙ্গে আমাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুর রহিম মারা যান।’
আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল শেখ জানান, ‘নিহত চালকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানটি মহাসড়কের পাশে রয়েছে। তবে ট্রাকচালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ধুবিল ইউনিয়নে অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে প্রকল্প এলাকায় কম শ্রমিকের উপস্থিতি, হাজিরা খাতা ও সাইনবোর্ড না থাকা, শ্রমিক তালিকায় ইউপি উদ্যোক্তা, চৌকিদার, ইউপি সদস্যদের স্বজনদের নাম অন্তভূক্ত করা, শ্রমিকদের সিম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের পকেটে রাখা সহ নানাবিধ অনিয়ম।
জানা যায়, এই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৫ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ হতে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫টি প্রকল্পের বিপরীতে মোট ১৬৬৩ জন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। প্রতি শ্রমিকের জন্য দৈনিক চারশত টাকা মজুরী এবং সর্দারের ভাতা রয়েছে ২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ধুবিল ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৬৭ জন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যেখান পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ১১১ জন এবং মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ৫৬ জন।
সরেজমিনে ধুবিল ইউনিয়নের ইছিদহ, আমশড়া, চৌধুরী ঘুঘাট, ধুবিল মেহমানশাহী, মালতিনগর, ঝাউল প্রকল্প গুলো ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিক উপস্থিতি ষাট ভাগেরও কম।
প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা জানান, উন্নয়নের জন্য সরকার থেকে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাট। ঝাউল লুৎফরের বাড়ী হতে শহিদুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ২৭ জন শ্রমিকের বিপরীতে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে মূলত কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। প্রকল্পের সর্দার জানান, শুরু থেকেই এখানে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে। প্রকল্পের সভাপতি থেকে শুরু করে কেউ তদারকিও করতে আসে না।
একই চিত্র এই ইউনিয়নের সকল প্রকল্প গুলোতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, প্রকল্প শেষে বরাদ্দের বড় একটা অংশ যায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে। কাজেই এই প্রকল্পের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট।
এ ব্যাপারে ঝাউল প্রকল্পের প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পে শ্রমিক অনুপস্থিত থাকবেই, কারণ চেয়ারম্যানের ভিআইপি লেবার, মহিলা ইউপি সদস্যের ভিআইপি লেবার থাকে। তারপর আবার উপজেলা অফিস ম্যানেজ করতে হয়।
কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকল ইউনিয়নেই শ্রমিক উপস্থিতি কম। তাই আমার এখানেও কম। আপনারা পত্রিকায় লিখে কিছু করতে পারবেন না। কারণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সবকিছু নলেজে আছে।’
অতি দ্ররিদ্র কর্মসৃজন প্রকল্প অনিয়ম
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কমিউনিটি ক্লিনিক
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা নিশ্চিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ধুবিল ইউনিয়নে অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে প্রকল্প এলাকায় কম শ্রমিকের উপস্থিতি, হাজিরা খাতা ও সাইনবোর্ড না থাকা, শ্রমিক তালিকায় ইউপি উদ্যোক্তা, চৌকিদার, ইউপি সদস্যদের স্বজনদের নাম অন্তভূক্ত করা, শ্রমিকদের সিম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের পকেটে রাখা সহ নানাবিধ অনিয়ম।