ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মনটা পড়ে থাকে এই বইমেলায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা বিভাগের গোপন নথি নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে ১৪ খণ্ডের বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে এই বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন তিনি।

আজ শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় বাংলা একাডেমিতে পৌঁছান তিনি। উদ্বোধনী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিশরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশির। গ্রন্থমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চারটি বিভাগে নির্বাচিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হয়। চার লেখকের হাতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার পদক পেয়েছেন কবিতায় কাজী রোজী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্যে আফসান চৌধুরী, কথাসাহিত্যে মোহিত কামাল ও প্রবন্ধ-গবেষণা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

পুরস্কার প্রধান শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই আজকে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় যারা পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,‘ যারা গবেষণা করেন লিখেন, তারা আমাদের সমাজকে সমৃদ্ধি করে। তাদেরকে তো কোন মূল্যে বিচার করা যায় না। কিন্তু আমি চেষ্টা করবো সামনে সম্মানি ২ লাখ টাকা থেকে বাড়াতে। এ বছর ৪ জন পুরস্কার পেয়েছে। আগামী বছর আরও দশজনকে দেওয়া হবে।’

এরপর তিনি ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বই নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে তিনি জানান, ‘পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে তার কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট পাঠাতো। এরই ভিত্তিতে বিনা বিচারে আটক, মামলাসহ নানামুখী নির্যাতন চলতো। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামে স্পেশাল ব্রাঞ্চে খোলা ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট সংকলন করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা আমাদের ইতিহাসকে জানার জন্য এক অমূল্য সম্পদ। এই বইটি আমাদের আরও সমৃদ্ধ করবে।’ এ সময় তিনি বইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন,‘ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকতেই এটা অর্জন করি। ইতিমধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সকল মাতৃভাষা সংরক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। বইমেলা শুধু বই কেনাবেচা নয়, বই মেলা হচ্ছে আমাদের প্রানের মেলা। যদিও আগে যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন এই মেলায় আসতাম। ঘুরে বেড়াতাম সারাদিন। এখন তো আর সেই সুযোগ নেই। আর আসতে গেলে অন্যেরও অসুবিধা হয়। আমার নিরাপত্তায় যে অন্যের অসুবিধা হবে, সেটা বিবেচনা করেও অনেক সময় আসা হয় না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, সবসময় মনটা পরে থাকে এই বইমেলায়।’

এরপর প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। তার সঙ্গে ছিলেন শিল্প সাহিত্যের গুনী ব্যাক্তিত্বরা। 

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘বিজয়: বায়ান্ন থেকে একাত্তর (নবপর্যায়)’। একই সঙ্গে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যাত্রাও শুরু হয় এই মেলা থেকে।

প্রতিবছরের মতো একুশে গ্রন্থমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইয়ের দোকানগুলো। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাউবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। 

বাউবির তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ.ফ.ম. মেজবাহ উদ্দিন রবিবার (০৫ মে) রাতে এই তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী ও কর্মমূখী শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী বান্ধব প্রযুক্তি সহায়তা, বহিঃবাংলাদেশে বাউবির প্রসারসহ সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। 

এসময় রাষ্ট্রপতিকে উপাচার্য বাউবির নতুন লোগো, ক্রেস্ট, বার্ষিক প্রতিবেদন, পরিক্রমা, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তার হাতে তুলে দেন। 

রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনা দেন।


রাষ্ট্রপতি   বাউবি   উপাচার্য   সাক্ষাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছেলেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাল বাবা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের নকলার পিপড়ি গ্রামে আব্দুর রহমান পচন (৫৫) নামের এক কৃষক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। রবিবার (৫ মে) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় নিহত আব্দুর রহমান পচন উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পিপড়ি গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে।

 

জানা গেছে, পিপড়ি গ্রামের নিহত আব্দুর রহমান পচনের ছেলে মোখলেসুর রহমান তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিয়েছিলো। এতে অটোরিকশাটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। মোখলেসুর রহমান অটোরিকশাটি বের করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে সে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ছেলের আহত অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাবা আব্দুর রহমান পচন ওই অটোরিকশা বের করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিতা পুত্রকে  নকলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পচনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছেলে মোখলেসকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আব্দুর রহমান পচনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   অটোরিকশা   চার্জ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তৃষ্ণার্ত ট্রেনযাত্রীদের পানি পান করিয়ে প্রশংসিত টিটিই

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে পানি বিতরণ করছেন টিটিই আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু

পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের টিউবওয়েলে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি ওঠেনা প্রায় দুই মাস। ফলে অকেজো সবগলো টিউবওয়েল। এদিকে ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।

 

এমন অবস্থায় ট্রেনে ভ্রমণকারী শত শত সাধারণ ট্রেনযাত্রী প্রতিদিন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। শিশু বৃদ্ধদের নিয়ে যাত্রীরা পড়ছেন মহা বিপাকে।

 

ট্রেন যাত্রীদের এমন কষ্টের দৃশ্য দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ঈশ্বরদী রেলওয়ের একজন মানবিক টিকিট পরিদর্শক (সিনিয়র টিটিই) আব্দুল আলীম মিঠু। তিনি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি থেকে পানি এনে ট্রেন যাত্রীদের পান করানোর মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। টিটিই মিঠু প্রতিদিন তৃষ্ণার্ত ট্রেনযাত্রীদের এই পানি পানের ব্যবস্থা করায় এই গরমে ট্রেনযাত্রীরা অনেকটা পানির কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। 

 

দেখা গেছে, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কোনো ট্রেন এসে থামলেই বড় বড় পানির বোতল থেকে গ্লাসে ও ছোট বোতলে ঢেলে ট্রেন যাত্রীদের পানি খাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিটিই মিঠু।

 

ট্রেন যাত্রীরা বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন ট্রেন থেকে নেমেই এক-দু গ্লাস সুপেয় ঠান্ডা পানি পান করতে পারছি। শুকিয়ে যাওয়া গলাটা ভেজাতে পারছি এই প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এটা অনেক বড় উপকার। 

 

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলের সিনিয়র টিটিই আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠু বলেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন দেশের অন্যতম বড় ও ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি ট্রেন চলাচল করে। অথচ এই স্টেশনের একমাত্র টিউবওয়েলটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। তাপদাহ শুরুর পর থেকে পানি ওঠে না। এই অবস্থায় প্রতিদিন ট্রেন যাত্রীরা যখন ট্রেন থেকে নেমে টিউবওয়েল থেকে পানি না পেয়ে হতাশ হন, সে দৃশ্য দেখে আমার কষ্ট হয়। সে কারণে ব্যাক্তিগতভাবে বড় বড় পানির জার ও বোতল বাজার থেকে কিনে বাড়ি থেকে তা ভর্তি করে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান ও ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের পানি পান করানোর এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এতে আমি মানসিকভাবে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করি। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ইতোমধ্যে চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের শরবত পান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। টিটিই মিঠুর এই মানিবক উদ্যোগের কথাও আমি জেনেছি। তার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গরমে সকলেরই এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ।’        


ট্রেন   পানি   তৃষ্ণার্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

রোববার (৫ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করার পর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়। ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এই অনুমতি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী বলেন, গত শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা অনেকেই খামারবাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের মধ্য রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আরো আবেদন পড়েছে যেগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এলসি করার জন্য ব্যাংকগুলোতে যোগাযোগ শুরু করেছি দুই একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে। 

তিনি আরো বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের ওপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ৫৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।


হিলি বন্দর   পেঁয়াজ আমদানি   অনুমতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ০৯:৪৮ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। যাত্রাবাড়ীর এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল আউটগোয়িং ইউ টার্ন পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল চিশতিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে কবির হোসেন মারা যান।

নিহতরা হলেন, পিকআপ ভ‍্যান চালক বাবুল চিশতী (৪৫) ও কবির হোসেন (৫০)।

পিকআপ ভ্যানের চালক বাবুল চিশতি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানার সামন্ত সাহা গ্রামের আব্দুর রশিদ আকন্দ ছেলে এবং কবির হোসেন একই জেলার ভেদরগঞ্জ থানার সিঁংঢালা গ্রামের আব্দুর রশিদ বেপারির ছেলে। বর্তমানে দুজনই মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

পথচারী তরিকুল ইসলাম জানান, গতরাতে মাতুয়াইল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সামনের রাস্তায় একটি পিকআপ ভ্যান ইউ টার্ন নিচ্ছিল। তখন তুহিন নামে যাত্রীবাহী একটি বাস পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ভ্যানটি দুমরে মুচরে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পিকআপ ভ্যানের ভিতর থেকে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা মুমূর্ষ অবস্থায় ওই দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবুল চিশতিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং ভোরের দিকে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির হোসেন মারা যান।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অবগত আছেন।

তিনি আরো বলেন, নিহত বাবুল চিশতীর মরদেহ তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার শনাক্ত করেন। প্রথমে কবির হোসেনের পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে তার স্ত্রী নাসরিন বেগম তার স্বামীর পরিচয় নিশ্চিত করেন।


ঢামেক হাসপাতাল   সড়ক দুর্ঘটনা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন