নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সদরঘাট থেকে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানের আগেই নদীর পাড়ের অবৈধ কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হয়। ক্রেন, গ্যাস কাটার, শ্রমিক দিয়ে নিজ নিজ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে অনেক প্রভাবশালী।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নিচ্ছেন। অবৈধ স্থাপনা ভাঙার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বুলডোজার, স্ক্যাভেটর, পে-লোডার, ট্রাকসহ সরঞ্জাম দিয়েছে। ১শ’ শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ করছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তিনদিন সার্ভে করেছি। একসঙ্গে অভিযান চালাবো। প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হবে। কোনো লোক আছে কিনা তল্লাশি করবো। এরপর ভাঙা হবে। দিনের আলো থাকা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
তিনি জানান, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে। যত দিন সব স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে ততদিন অভিযান চলবে। সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ১০ একর জমি উদ্ধার হবে। কে বড়, কে ছোট-সেটি বিবেচ্য নয়। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদের পর জায়গাগুলো কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে রাখা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল, নগরীর জলাবদ্ধতা, পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে কর্ণফুলীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে সীমানা পিলার স্থাপন, অবৈধ স্থাপনা লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা, মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযানে সবচেয়ে বেশি সরঞ্জাম দিয়েছে চসিক। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পিডিবি, বিআইডব্লিউটিএ, ভূমি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধি অভিযানে সহযোগিতা করছেন।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) আবদুর রউফ জানান, নারী সদস্যসহ দেড় শতাধিক পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।