নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ০৫ এপ্রিল, ২০১৯
‘বেগম খালেদা জিয়ার যে মামলা সে মামলা আওয়ামী লীগের দেওয়া নয়। এটা ছিল তত্বাবধায়ক সরকারের দেওয়া। তত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাষ্ট্রপ্রধান, সেনা প্রধানসহ সবই ছিল খালেদা জিয়ার নিজের পছন্দের লোকজন দিয়ে দেওয়া। তাদের হাতেই এতিমের মামলা আত্মসাতসহ বিভিন্ন মামলায় তিনি এখন জেলে।’ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে চলছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় এই বৈঠক শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। সেখানে তিনি বলেন,‘তার (খালেদার জিয়া) ছেলেও মানি লন্ডারিং থেকে শুরু করে নানা দুর্নীতি মামলায় এখন বিদেশে পলাতক। এই মানি লন্ডারিং কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, এটা আবিস্কার হয়েছে আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুরে। তার বিরুদ্ধে গ্রেণেড হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হয়ে বিভিন্ন মামলায় সাজা প্রাপ্ত এই দুর্নীতিবাজ।’
তিনি আরো বলেন,‘তারা দুর্নীতি করে যে অগাধ সম্পত্তি অর্জন করেছে সেটা এখান থেকেই বোঝা যায় তাদের জীবনযাপন দেখে। এইসব অর্জন করেছে ব্যাপক দুর্নীতি করে। এভাবে যারা অপকর্ম করে গেছে বাংলাদেশের জনগন কখনো তাদের চায়নি। বিএনপি নির্বাচনে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু জনগন তাদের চায়নি।’
নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সময়ও আমরা তাদের দুর্নীতির চেহারা দেখেছি। এক একটা সিটে তারা ২ থেকে চারজনও নমিনেশন দিয়েছে। ৩০০ সিটে তারা ৬৯২ জনকে নমিনেশন দিয়েছে। সকালে একজনকে দিলে সেটা দুপুরে পাল্টে, দুপুরে পাল্টালে সেটা সন্ধ্যায় পাল্টায়। তাদের যে নমিনেশন বাণিজ্য যে সমস্ত সিটে যাদের নমিনেশন দিলে জিততে পারতো। তাদের নমিনেশন না দিয়ে যার কাছ থেকে ভালো অংকের টাকা পেয়েছে তাকেই নমিনেশন দিয়েছে।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।