নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৯ এএম, ০১ মে, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ এবং ১৯ এপ্রিল সাধারণ রোগীদের মত ১০ টাকায় টিকিট কেটে শেরে বাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেদিন চিকিৎসক পরামর্শ মোতাবেকই তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ ও চেক আপের পরামর্শ দেওয়া হয়। তখন তিন সদস্যের চিকিৎসক দল ছানি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন ঢাকাতেই তার অপারেশন হোক। কিন্তু তার নিকটজন এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি লন্ডনে চোখের অপারেশনের জন্য যাচ্ছেন।
আজ ১ মে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় থাকার কথা রয়েছে। চোখের চিকিৎসা ও পারিবারিকভাবে সময় কাটানোসহ দুই দেশের রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ে একান্ত বৈঠকও করবেন শেখ হাসিনা।
তার সঙ্গে যাচ্ছেন বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ বেশ কয়েকজন। দলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী এবারও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে চোখের চিকিৎসার জন্য যাবেন। এবারও মায়ের লন্ডন সফর উপলক্ষে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার স্ত্রীসহ ছেলে-মেয়েরা লন্ডনে অবস্থান করছেন। এছাড়া ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিকী মুজিব ববি ও ভাগনি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিকও প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে একান্তভাবে সময় দেবেন বলে জানা গেছে।
টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার পর দেশের বাইরে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ব্যক্তিগত সফর।
এবারও তিনি লন্ডনের হিলটন পার্ক লেইন হোটেলেই অবস্থান করবেন। সেখান থেকেই তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়া-আসা ছাড়া বাকি সময়টা পরিবার স্বজনদের সঙ্গে হোটেল কক্ষে কাটাবেন।
সফরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যুক্তরাজ্য সরকার ও দেশটির রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সফর শেষে আগামী ১০মে দেশে ফিরে ১১মে গণভবনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বিনিময় করার কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।