ইনসাইড বাংলাদেশ

চ্যানেল আইয়ে গৃহদাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীক গ্রুপ ইমপ্রেসের মধ্যে গৃহদাহর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইমপ্রেস গ্রুপের অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান চ্যানেল আইয়ের কর্তৃত্ব, সম্পাদকীয় নীতি কৌশল এবং পরিচালনা পদ্বতি নিয়েই এই বিরোধের খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে আত্মীয়তার বন্ধন ছাড়া শুধুমাত্র বন্ধুত্বের ভিত্তিতে অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বিশাল পরিসরে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস গ্রুপ। যে ৫ বন্ধু মিলে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন; আব্দুর রশিদ মজুমদার, ফরিদুর রেজা সাগর, জহিরউদ্দীন মাহমুদ, আব্দুল মুকিত মজুমদার, রিয়াজ আহমেদ খান। অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে ১৯৭৮ সালে গড়ে উঠা এই ইমপ্রেস গ্রুপ বর্তমানে ২৫৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এবং ২১ হাজারের বেশি লোক প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন। ইমপ্রেস গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইনসেপটা ফর্মাসিটিক্যাল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানি। এছাড়া চ্যানেল আই দেশের শীর্ষস্থানীয় টিভি চ্যানেলের অন্যতম। কিন্তু চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমেই ইমপ্রেস গ্রুপ পাদপ্রদীপে আসে। চ্যানেল আই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই ইমপ্রেস গ্রুপের ব্যাবসায়ীক সফলতা ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটা বিস্তৃত হয়।

উল্লেখ্য যে, চ্যানেল আইয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন ফরিদুর রেজা সাগর। তার উদ্যোগেই ১৯৯৯ সালে চ্যানেল আই প্রতিষ্ঠিত হয়। চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেও ইমপ্রেসের এই ৫ জনের বাইরে শাইখ সিরাজ চ্যানেল আইয়ের একজন পরিচালক। শাইখ সিরাজের সঙ্গে প্রথম থেকেই ফরিদুর রেজা সাগরের সম্পাদকীয় নীতি নিয়ে মতবিরোধ ছিল কিন্তু সাম্প্রতিক সময় তা চুড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। কিছুদিন আগে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ফরিদুর রেজা সাগর আহত হন। আহত হওয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরপরই ফরিদুর রেজা সাগরের অনুপস্থিতির সুযোগটি নেন শাইখ সিরাজ। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুপস্থিতিতেই পরিচালনা পরিষদের সভা আহ্বান করা হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মজুমদার। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অনুষ্ঠিত এই বোর্ডের সভায় ফরিদুর রেজা সাগরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন কলাকুশলী, শিল্পীকে চ্যানেল আই থেকে আকস্মিকভাবে বাদ দেওয়া হয়। এমনকি তাদের ন্যূনতম আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। তিনি `স্বর্ণকিশোরী’ নামে একটি অনুষ্ঠান করতেন।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানা গেছে যে, শাইখ সিরাজ মূলত বিএনপিপন্থীদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যই ফরিদুর রেজা সাগরপন্থীদের চ্যানেল আইতে কোনঠাসা করেন। প্রশ্ন হচ্ছে যে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে পরিচালক পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত করতে পারে? কিভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে? অবশ্য চ্যানেল আইয়ের চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ মজুমদার বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া বোর্ডের সভা করা যায়। ফরিদুর রেজা সাগর ফিরে আসার পরও এই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দাসংস্থাগুলো বলছে যে, এই বোর্ডের সভার আগে শাইখ সিরাজ একাধিক বিএনপির শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবং বিএনপি নেতারা ফরিদুর রেজা সাগরকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে শাইখ সিরাজকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে দেওয়ার জন্য লবিং করছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এখানে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত একজন টকশো উপস্থাপক শাইখ সিরাজকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করার জন্য বিরোধী দল এবং সরকারের মধ্যে লবিং করেছেন বলেও একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যে জানা গেছে।

ফরিদুর রেজা সাগরকে শুধু কোণঠাসা করা হয়নি বরং তিনি অসুস্থ এই অজুহাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিবর্তনের পায়তারা চলছে বলেও একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চ্যানেল আইয়ে কর্মরত একজন জানিয়েছেন যেহেতু ফরিদুর রেজা সাগর চ্যানেল আইকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং চ্যানেল আই যখন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে কাজেই এইখানে নানামহল সুবিধা আদায়ের জন্য নানারকম পায়তারা করছে। একটি সূত্র বলছে যে, আবদুল মুকিত মজুমদার চ্যানেল আইতে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনিও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ নিতে আগ্রহী। একারণেই চ্যানেল আইয়ের ভেতর তীব্র কোন্দল চলছে। তবে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবদুল মুকিত মজুমদার স্কুল জীবন থেকেই শাইখ সিরাজের বন্ধু। এজন্য শাইখ সিরাজের দাপট চ্যানেল আইতে বেড়ে গেছে।

গোয়েন্দা সংস্থার খবরে বলা হচ্ছে যে, শাইখ সিরাজের সঙ্গে বিভিন্ন বিএনপি নেতৃবৃন্দের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে এবং চ্যানেল আইয়ের খবরসহ বিভিন্ন জিনিসকে নিরপেক্ষ করা এবং বিএনপি পন্থিদেরকে স্পেস দেয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। তার অংশ হিসেবে রুমিন ফারহানা এমপি হওয়ার পরপরই চ্যানেল আইতে তার একান্ত সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, শাইখ সিরাজের উদ্যোগেই বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে চ্যানেল আইতে তারেক জিয়ার একান্ত সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছিল। শুধু বাংলাদেশে নয় বিভিন্ন দেশে চ্যানেল আইয়ের নামে যা প্রচারিত হয় সেগুলো সরকার বিরোধী আলোচনায় পরিপূর্ণ। লন্ডন চ্যানেল আই নিয়মিতভাবে সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত রয়েছে এবং লন্ডন চ্যানেল আই সরাসরি শাইখ সিরাজের নির্দেশনায় এবং পরামর্শে পরিচালিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে এ সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে চ্যানেল আইয়ের চেয়ারম্যান আবদুল রশিদ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, চ্যানেল আই কখনই বিএনপিপন্থি নয়। শাইখ সিরাজের সঙ্গে বিভিন্ন নেতার বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য নাই। তবে তিনি বলেন যে, সরকার নিশ্চয়ই সবকিছু বিবেচনা করেই তাঁকে স্বাধীনতা পদক দিয়েছে। কাজেই এরকম কোনকিছু হলে সেটা সরকারের দৃষ্টিগোচর হবে। তবে চ্যানেল আইয়ের এই গৃহদাহ চ্যানেল আই পরিবারের মধ্যেও অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় সেচের অভাবে অনাবাদি ১০০ বিঘা জমি

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সেচের অভাবে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে ১০০ বিঘা জমি

নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত একটি গভীর নলকূপ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির অভাবে এই সেচযন্ত্রের আশ পাশের প্রায় ১০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। সেচ সংকটের কারণে কিছু কৃষক ধানের আবাদ না করে জমিতে তিলের চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টির কারণে তিলের গাছও মরে যেতে বসেছে।

  

সেচ নিয়ে কৃষকদের এমন দুরাবস্থা নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, সরদার পাড়া, শেখপুরা ও মন্ডলপাড়া এলাকায়।

 

কৃষকদের দাবি, পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লা সংলগ্ন মাঠে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। গভীর নলকূপটি মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করে থাকেন। ওই এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে নলকূপটির মালিক মকবুল হোসেন কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান আবাদের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সেচের জন্য ২ হাজার টাকা করে দাবি করেন। আশপাশের অন্যান্য নলকূপের সেচ খরচের তুলনায় বেশি টাকা দাবি করায় কৃষকেরা ওই পরিমান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। চাহিদা অনুযায়ী সেচ খরচ দিতে রাজি না হওয়ায় সেচযন্ত্রটি বন্ধ রেখেছেন গভীর নলকূপের মালিক মকবুল হোসেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেও কৃষকেরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

 

গত ১৯ মার্চ ৬০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পৌরসভার হাজীপাড়া, সরদারপাড়া ও মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার মধ্যবর্তী মাঠে প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি আছে। এসব জমিতে প্রতি মৌসুমে কয়েক হাজার মণ ধান হয়। বোরো মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই মাঠে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছে। ওই দুটি সেচ যন্ত্রের মধ্যে মকবুল হোসেন পরিচালিত গভীর নলকূপের অধীনে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত তিন বছর ধরে মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাবদ বেশি টাকা আদায় করছে।

 

পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়া, শেখপুরা এলাকায় গভীর নলকূপ থেকে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ যেখানে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে, সেখানে সবুজ তার সেচযন্ত্র থেকে সেচ খরচ দাবি করে ২ হাজার টাকা।

 

অধিকাংশ কৃষক এই পরিমাণ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ সেচ যন্ত্রটি থেকে পানি তোলা বন্ধ করে দেন। ধানের বীজ তলায় সেচ দিতে না পারায় কৃষকদের চারা নষ্ট হয়ে যায়। জমিতে ধান লাগাতে না পেরে অনেক কৃষক জমিতে তিলের চাষ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে এবং সেচ যন্ত্র বন্ধ থাকায় অধিকাংশ তিল গাছ মরে যেতে বসেছে। এই দূরাবস্থা নিরসনে জেলা ও উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।

 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পৌরসভার হাজীপাড়া সংলগ্ন ওই ফসলি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ওই মাঠে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে আছে। কিছু জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে অনাবাদি জমি ও তিলের খেতের জমি শুকিয়ে আছে। পানির অভাবে শুকনো মাটিতে বপন করা তিল বীজ থেকে চারা গজায়নি। আবার কিছু কিছু জমিতে চারা গজালেও পানির অভাবে তিলের গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে লালচে হয়ে মরতে বসেছে।

 

কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেচ যন্ত্রের মালিক মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো বলেন, ‘একটা মৌসুমে একটা ডিপ টিউবওয়েল চালালে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এছাড়া ট্রান্সফরমার বা সেচ যন্ত্রের অন্য কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও বাড়তি খরচ হয়ে যায়। মেশিন চালাতে যে খরচ হবে, সেটা তুলতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। তাই পানি তোলা বন্ধ রেখেছি।’

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সম্ভবত এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছিলাম। কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সেচ যন্ত্রটি চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


অনাবাদি   সেচ   সেচযন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এই জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভুট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   চুয়াডাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৃত্যুর ৩ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।

পরে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।


পিবিআই   মৃত্যু রহস্য   জবানবন্দি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ কর্মসূচী

নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।


সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।

এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।


কৃষি প্রণোদনা   কৃষক   বীজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সংঘর্ষ, বিজয়ী ও পরাজিত উভয় প্রার্থী গ্রেপ্তার


Thumbnail লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আটককৃত বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

 

জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পুলিশবাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।

 

এঘটনায় বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর আবারও দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান  এবং জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর  ইবনে হোসাইন ভুলু এবং  পরাজিত প্রার্থী  তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করেছে।


ইউপি নির্বাচন   সংষর্ঘ   চেয়ারম্যান প্রার্থী   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন