ইনসাইড বাংলাদেশ

চুক্তিচ্যাপ্টা প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ৩১ মে, ২০১৭


Thumbnail


প্রশাসনে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। বর্তমান সরকার শুরুর দিকে এই প্রবণতা এড়িয়ে চললেও সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে এই প্রথা অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে প্রশাসনে সচিব নিয়োগে চুক্তিচ্যাপ্টা হয়ে পড়েছে প্রশাসন।

১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী অবসর আইনের ৫(৩) ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই আইনের স্পিরিট হচ্ছে, সরকারি কাজে যদি কাউকে বিশেষভাবে প্রয়োজন হয়, কিন্তু প্রজাতন্ত্রের ওই কর্মচারি অবসরে চলে যাচ্ছেন, সেই ক্ষেত্রে। হতে পারে কোনো একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে একটা বিশেষ কাজ শুরু করেছিল সরকার। কিন্তু কাজটি সম্পন্ন হতে আরও কয়েক মাস বাকি থাকলেও ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারি এখনই অবসরে চলে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা যেতে পারে।

তবে বাস্তবতা ভিন্ন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া এই গণকর্মচারীদের কমবেশি সবাই ক্ষমতাসীনদের ‘নিজের লোক’ বিবেচনায় এই নিয়োগ পেয়ে থাকেন। যারা সত্যিকারার্থেই প্রয়োজনে এই নিয়োগ পেয়ে থাকেন, তারাও সরকারের লোক বলে বিবেচিত হন।

বলা হয়ে থাকে, চুক্তিভিত্তিক একটি নিয়োগের ফলে নিচের দিকে ক্রমান্বয়ে প্রায় চারজন পদোন্নতি বঞ্চিত হন। তারাসহ পদোন্নতি বঞ্চিতরা সরকার পরিবর্তন হলে পদোন্নতির আশা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে যাদের অবসরের সময় হয়ে যায়, তারা আবার নতুন সরকারের কাছে পদোন্নতি প্রত্যাশা করেন। আর এভাবেই বছরের পর বছর প্রজাতন্ত্রের প্রয়োজনে নয়, বরং রাজনৈতিক কারণে বাড়তে থাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। তাছাড়া ‘নিজেদের লোক’ বিবেচনায় পদোন্নতি দেয়া এবং ‘নিজেদের নয়’ বিবেচনায় পদোন্নতি বঞ্চিত করার রেওয়াজতো সব সরকারের মধ্যেই আছে।

তারা বলছেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ফলে পদোন্নতি বঞ্চিতদের মধ্যে কাজ করে হতাশা, কমে যায় কর্মস্পৃহা। যার ফলে নতুন ক্যাডারদের অনেকেই ছুটি নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমান। পরবর্তীতে এসব মেধাবীদের অনেকেই আর দেশে ফেরেন না।

সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রজাতন্ত্রের সেবার স্থলে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি প্রধান হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সব দলই এই ধারাটি লালন করছে। কোন দলই এই ধারা থেকে বের হতে চায় না, বরং অব্যাহত রাখে।

জানা গেছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরকালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে নীতিমালা করার তাগিদ দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে অর্থমন্ত্রী বলেছে, অবসরের পরে চাকরির মেয়াদ বাড়ালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের কোনো দলের সদস্য বলে অপবাদ দেওয়া সহজ হয়।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে চিঠিতে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে তাঁদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি পরিহার করতে হবে। আগে তাঁরা ৫৭ বছরেই চাকরি থেকে অবসরে যেতেন। ২০১১ সালে সেটা বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে।
তবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টিকে একেবারে বাদও দেননি অর্থমন্ত্রী। সে কারণে এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, কী ধরনের জনবল ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে অবসরে যাবে, তাদের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রজাতন্ত্রের প্রয়োজনে সরকারের দরকার, যে পদে বা ক্যাডারের কোন কর্মকর্তাকে অবসরের পরও সরকার ব্যবহার করতে চায় তাঁদের ক্যাডারবহির্ভূত বিশেষ পদে নিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি। অবশ্য অর্থমন্ত্রীর এসব প্রস্তাব ফাইলবন্দী অবস্থাতেই আছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।

জানা গেছে, সচিবদের মধ্যে সর্বশেষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম। গতবছর ২৭ নভেম্বর জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে বদলি করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর তাঁর অবসরে চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৭ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটি বাতিল করে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ গত ২২ জানুয়ারি এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। গত ২৭ নভেম্বর নতুন পদ ‘এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক’ সৃষ্টি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদকে। গত ১০ অক্টোবর এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক। সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব কাজী মো. আমিনুল ইসলামকে তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া হলেও চাকরি থেকে চলে যাওয়ার অনেক দিন পর সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়কে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১৯ জুলাই শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত পদে প্রেষণে কর্মরত সরকারের সচিব মো. সাহাব উল্লাহকে গত ১৫ মে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয়ে ‘বিকল্প নির্বাহী পরিচালক’ পদে যোগদানের জন্য ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞাকে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। সম্প্রতি সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়েছে সরকার। আর বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমানকে আরো এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পিআরএল বাতিল করে কেনিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. হুমায়ুন কবিরকেও চুক্তি ভিত্তিতে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এছাড়া সম্প্রতি বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভিত্তিতে কাজ করছেন।
সবমিলে বর্তমান প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা আছেন দেড় শতাধিক। তাছাড়া আরো শতাধিক সরকারি কর্মচারী রয়েছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভিত্তিতে।

জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিবসহ দায়িত্বশীল পদ প্রায় ৮৩টি। এর মধ্য ১৭ জন অতিরিক্ত সচিব দিয়ে দায়িত্ব চালিয়ে নিচ্ছেন। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে সরকারের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সুপারিশের ভিত্তিতে সম্প্রতি ১৩ জনকে চুক্তিতে নিয়োজিত করা হয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মঙ্গলবার থেকে খুলছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪) বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী চলবে।

ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘এতদিন বইয়ের জ্ঞান নিয়েছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জনের পালা’

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটি গর্বিত দেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এতদিন বইয়ের জ্ঞান অর্জন করেছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জন করার পালা। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দেশের জন্য কাজ করে যাবেন এবং আপনাদের অবদান যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

সোমবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। দেশসেবায় নবীন কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা এবং উদ্যমই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেবে।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, কোনো আঁকাবাঁকা পথ ধরে নয়, লক্ষ্য স্থির থাকলে সৎ এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের লক্ষ্য অর্জন যেরকম সম্ভব, তেমনি জাতীয় জীবনেও ভূমিকা রাখা সম্ভব।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোকে বাইরের কেউ এসে উন্নত করে দেয়নি। তারা নিজেদের প্রচেষ্টাতেই আজ উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমাদেরও একটি দর্শন রয়েছে, যেখানে আমরাও চাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।


এলজিআরডিমন্ত্রী   তাজুল ইসলাম   জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় ৩টি ইটভাটায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে ইটভাটাকে জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী

অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে পাবনার তিনটি ইটভাটাকে লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।  সময় ইটভাটা তিনটি ইটভাটার কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ই মে) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চর আশুতোষপুর এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে মেসার্স কেআরবি ব্রিকস, মেসার্স এআরবি ব্রিকস এবং মেসার্স  আরএবি ব্রিকসকে লাখ টাকা করে মোট লাখ টাকা জরিমানা ধার্য তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল মমিন। সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, র‌্যাব-১২, সিপিসি-, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। সময় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে  চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।


ইটভাটা   অবৈধ   বন্ধ   জরিমানা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার (৮ মে)। এ উপলক্ষে এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার (৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৬ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ৮ মে রংপুর বিভাগের ১৯টি, রাজশাহী বিভাগের ২৩টি, খুলনা বিভাগের ১৭টি, বরিশাল বিভাগের ৫টি, ঢাকা বিভাগের ২৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৮টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৪১টি উপজেলা পরিষদের (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী) সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ৮ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলো।

ভোটের দিন   সাধারণ ছুটি   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ৭৫ ভাগ শেষ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

 

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে ২১৪ একর জমিতে বসানো হয়েছে ২৭ হাজার পিলার। এই পিলারের উপর বসানো হচ্ছে শক্তিশালী সোলার প্যানেল। ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা খরচের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি। এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানী আমদানীর উপর চাপ কমাতে দেশে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে।

 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২৭ হাজার পিলারে দেড় লাখ সোলার প্যানেল উৎপাদন হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। চরের জমিতে করা যাবে মৌসুমি আবাদও।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে পতিত চরের জমিতে সারিবদ্ধ ও সুউচ্চ ২৭ হাজার পিলার বসানো হয়েছে। আর এসব পিলারের উপর বসানো হয়েছে দেড় লক্ষাধিক সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেলের নিচের জমিও সম্পূর্ণ কৃষিবান্ধব। এই জমিতে করা যাবে মৌসুমি ফসলের আবাদ। বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (বিসিআরইসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।'

 

প্রকল্প ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তিকালীন ডলারের বিনিময় হার ১০৫ টাকা হিসাবে প্রায় ৯২১ কোটি টাকা) । যৌথ অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৫০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। আর বাকি অর্ধেক মালিকানা চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি)

 

চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) এর ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের ৭৫ ভাগের উপরে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশাবাদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যে ২৭ হাজার পিলার স্থাপন করা হয়েছে। পিলারের উপরে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও শেষের দিকে। ভবন গুলোর কাজও ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আমাদের প্লান আছে জুনের প্রথম সপ্তাহে উৎপাদনে যাবো।’

 

বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাম এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দিন রাত শ্রমিকরা কাজ করছেন। কন্ট্রোল বিল্ডিং, অফিসার ডরমিটরি, রেস্টহাউস, নিরাপত্তা ভবনসহ অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ব্যতিক্রম। কেন্দ্রটিতে উঁচু পিলারের ওপর সোলার প্যানেল বসানোর কারনে নিচে বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজি চাষ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ ও উৎপাদন হবে আবার ফসলের চাষাবাদ করা যাবে।'


সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র   বিদ্যুৎ উৎপাদন   জাতীয় গ্রীড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন