ইনসাইড বাংলাদেশ

স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ১৫ টুকরো, গ্রেপ্তার ঘাতক স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

হালুয়ায় ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্ত্রীকে অচেতন করে গলাটিপে হত্যার পর খণ্ড খণ্ড করেন স্বামী। এরপর শরীরের বিভিন্ন অংশ আলাদা করে ব্যাগে ও বস্তায় ভরেন ফেলে দেওয়ার জন্য। ব্যাগ ফেলে দিলেও বস্তা ফেলতে পারেননি। তার আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন খুনী মামুন (৩৫)। মামুনকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কবিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

ইলেক্টট্রিক মিস্ত্রী মামুন মিয়ার বাড়ি জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বড়ইবাড়ি গ্রামে। বুধবার দুপুরে গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুস সবুর ও শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকার সাভার থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার শ্রীপুরের আসপাডা মোড় এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার স্ত্রী সুমি আক্তারের (২৩) বস্তাবন্দি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সুমি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে। শ্রীপুর উপজেলার গিলারচালা এলাকার সাবলাইম গ্রিনটেক নামে একটি পোশাক কারখানার সুইং অপারেটর ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুরের আসপাডা মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। মামুন ওই এলাকায় ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করতেন।

জানা গেছে, দেড় বছর আগে মামুন ও সুমির বিয়ে হয়। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। সম্প্রতি নারীঘটিত ব্যাপারে স্বামীর প্রতি অবিশ্বাস দেখা দেয় সুমির। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। গত বৃহস্পতিবার এর জের ধরে স্ত্রীকে খুন করেন মামুন। পালিয়ে যাওয়ার সময় সুমির জমানো ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যান তিনি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন নিজেই কথাগুলো বলেন। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে সাভারে তার ফুফাতো ভাইয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় মামুন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে রুটি-হালুয়ার সঙ্গে ঘুমের ওষধ খাইয়ে দেন তিনি। সুমি ঘুমিয়ে গেলে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে গোসলখানায় স্ত্রীর লাশ নিয়ে একটি চাকুর মাধ্যমে প্রথমে সুমির মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করেন।

পরে শরীরের অন্যান্য অংশের পাঁচ খণ্ড করেন মামুন। এরপর পলিথিনের বস্তায় সুমির খণ্ডিত দেহ ভরে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখেন। বিচ্ছিন্ন মাথা, হাত ও পা একটি ট্রাভেল ব্যাগে ভরে সে রাতেই কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকার বানার নদী ব্রিজের নিচে সেটি ফেলে দেন মামুন।

এরপর শ্বাশুড়ির মোবাইলে ফোন দিয়ে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়েছেন বলে জানান। এ সময় সুমি ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছেছেন কী না তাও জানতে চান। কথা শেষ হওয়ার পর মোবাইল বন্ধ করে গা-ঢাকা দেন তিনি।

নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি জানান, গত শুক্রবার সুমির সঙ্গে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেদিন সকালে তিনি বোনকে কয়েকবার কল দিলেও তার মোবাইল বন্ধ ছিল। গত শনিবার বৃষ্টি ও তার স্বামী আসপাডা মোড় এলাকায় বোনের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে কাউকে না পেয়ে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। কাউকে না পেয়ে ফেরত যাওয়ার সময় মামুনকে দেখতে পান তারা। তাকে নিয়ে ফের বোনের বাড়ি যাওয়া সময় কৌশলে পালিয়ে যান মামুন।

সেদিনই গ্রামের বাড়ি চলে যান বৃষ্টি ও তার স্বামী। বাড়ি ফিরে বোনকে না পেয়ে আবারও তার সঙ্গে যোগযোগ করার চেষ্টা করেন। মামুনকেও ফোন করেন। কিন্তু দুজনেরই মোবাইল নাম্বার বন্ধ ছিল। গত রোববার বাড়িতে অবস্থান করে সোমবার আবারও বোনের বাসায় যান বৃষ্টি ও তার স্বামী। ঘরে ঢোকার পর মেঝেতে রক্ত ও দুর্গন্ধ পান তারা। পরে ড্রেসিং টেবিল খুলে পলিথিনের বস্তায় জড়ানো অবস্থায় বোনের লাশের একাংশ পান। তারা খবর দিলে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষন দাস জানান, পলিথিনে থাকা মাংস খণ্ডে মানুষের চামড়া ও নারীর আলামত ছিল। তবে সেখানে মাথা, হাত ও পা ছিল না। গতকাল মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে সুমির বাবা নিজামউদ্দিন বাদি হয়ে মামুনসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আদালত খোলা হলে তাকে তোলা হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি

ময়মনসিংহ সদরের আলালপুরে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী ১ নারীসহ ২ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে নালিতাবাড়িগামী একটি বাসের সাথে ময়মনসিংহগামী অপর একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা স্থলেই ১ নারী ও ১ পুরুষ মারা যায়।

 

তবে, হতাহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

এঘটনার সাথে জড়িত চালক পালিয়ে গেছে এবং বাসটিকে আটক করা হয়েচে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।


সড়ক দুর্ঘটনা   বাস-সিএনজি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পুরান ঢাকায় ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বংশালে বাসার ছাদ থেকে নিচে পড়ে উরাইশিদ ইসলাম আয়ান (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বংশাল আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিশুটির চাচা মকবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে আয়ানদের বাড়ি। তারা বাড়িটির ৪র্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। সে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আমিনুল ইসলাম ইমন বংশালে মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আয়ান ছিল বড়’।

তিনি আরও বলেন, সারা দিন বাসাতেই ছিল আয়ান। দুপুরে তিনি জানতে পারেন, বাড়ির ৬ তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে সে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলেও চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানায় জানানো হয়েছে।


শিশু মৃত্যু   ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরেই চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) বাস্তবায়নে প্রকল্পটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে আগামী বছর। তবে এর আগে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। পরে দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে।

চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে আগামী অক্টোবরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার দিকে যাচ্ছি। অক্টোবরে প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রোসাটম)। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি(+) ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আরো প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য রাশিয়ায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর এর পরিচালনার কাজে যুক্ত হবেন।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের টিম ওয়ার্ক ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে জ্বালানি আসা পর্যন্ত সব কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরো বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর তারা কাজ করবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুইটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট অর্থাৎ দুইটি ইউনিট থেকে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসটামের প্রধানের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনাও শুরু হয়েছে।


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র   রোসাটম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকার মধ্যে ১০টি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ লক্ষ্য করা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজকের কিশোর আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি ‘কিশোর গ্যাং’।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। পরিবার থেকে মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

মোবাইলের দুটি দিক উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, একটি নেতিবাচক অন্যটি ইতিবাচক। একটি মোবাইল একটি লাইব্রেরি, একটি জ্ঞান ভাণ্ডার। মোবাইলের পজিটিভ দিক শিক্ষার্থীরা যেন ব্যবহার করে সেই শিক্ষাটা অভিভাবকদের দিতে হবে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।


রাজধানী   কিশোর গ্যাং   ডিএমপি   কমিশনার হাবিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন