নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯
বিএনপিতে এখন গণপদত্যাগের হিরিক চলছে। তাছাড়া অন্য একাধিক ইস্যু নিয়ে বিএনপিতে এখন মতবিরোধ তুঙ্গে। এই মতবিরোধের মধ্যেই প্যারোল নিয়ে বিএনপিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন তার পরিবারের পাঁচ জন সদস্য। সেখানে শামীম সিকান্দার ছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার বোন ছিলেন। তাদেরকে তিনি বলেছেন যে, তিনি জামিন চান। জামিন নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে চান।
কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই এবং তাদের আইনজীবিদেরও এ বিষয়ে তেমন তৎপর দেখা যায় না। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবিদের তত্ত্বাবধান করেন লন্ডন থেকে তারেক জিয়া। তারেক জিয়ার কারণেই আইনজীবিরা বেগম জিয়ার জামিনের জন্য অতটা সোচ্চার না। তাছাড়া বেগম জিয়ার মুখ্য কৌশলি খন্দকার মাহবুব হোসেনকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও তিনি বিএনপির একাধিক নেতাকে বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার জামিন এখন সম্ভব না। কারণ এতগুলো মামলা থেকে জামিন পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার।
খন্দকার মাহবুব হোসেন হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সমাঝোতার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি এনেছিলেন। সেই সময় বিএনপির মধ্যে তার এই বক্তব্য সমালোচিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এই পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিএনপির একাধিক নেতাকে তারেক জিয়া ফোন করেছেন এবং তিনি বেগম জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
তারেক জিয়ার সঙ্গে যারা কথা বলেছেন তাদের একজন বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, তারেক জিয়ার যুক্তি হলো, বেগম খালেদা জিয়াকে যেকোনো ভাবে বের করাই হলো সবচেয়ে বড় কাজ। এবং তিনি যদি একবার বের হতে পারেন তাহলে তাকে দেশের বাইরেও নিয়ে আসা হবে। তখন তিনি সব কিছুই করতে পারবেন। কাজেই সম্মানজনক আর কোনটা অসম্মানজনক সেটা দেখার এখন সময় না। যদিও বিএনপির অধিকাংশ নেতাই এই প্যারোলের বিরুদ্ধে। কিন্তু তারেক জিয়ার প্রভাব বলয়ে থাকা নেতারা এতদিন নিরব থাকলেও এখন তারা প্যারোলের পক্ষে সোচ্চার হচ্ছেন। বিশেষ করে বিএনপির এমপিরা সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এই বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল আবেদন যদি করা হয় তাহলে বিএনপি অনিবার্য একটি ভাঙনের মুখে পড়বে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, প্যারোলের মতো একটি অমর্যদাকর বিষয়ে বিএনপি যদি সম্মতি দেয় তাহলে তারা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করবেন। তাই প্যারোল ইস্যু নিয়ে বিভক্ত বিএনপিতে আরো কয়েকজন শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী
লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ
তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক
পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের
বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ
হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন
মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ
হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা
উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের
ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে
রক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা
হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান
সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া
পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের
লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে
বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে
হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি
করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক
শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে
ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার
খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে
তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া
পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত
কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন
ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা
বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত
করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম
ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন
কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময়
উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)
এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি
হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে
হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ
বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান
করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি
১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে
লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা
(কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক
প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।