নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ খুবই উত্তেজিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উত্তেজনার কারণ অবশ্য তার অসুখ বা খাবার বিষয় নিয়ে নয়। বরং টেলিভিশনে ভারতীয় চ্যানেলের সংযোগ না পাওয়ায় তিনি উত্তেজিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া যে কেবিন কক্ষে থাকে সেখানে একটি রঙিন টেলিভিশন রয়েছে। এই টেলিভিশনে বাংলাদেশি বিভিন্ন চ্যানেলের পাশাপাশি হিন্দী চ্যানেলও ছিল। কিন্তু সম্প্রতি জেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী সেই হিন্দী চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র বিটিভির সংযোগ রাখা হয়।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জেল কোড অনুযায়ী একজন বন্দি শুধুমাত্র বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখতে পারেন, বেসরকারী চ্যানেল নয়। কিন্তু জানা গেছে যে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে কারও কারও অতিআগ্রহের কারণে বিদেশি চ্যানেলগুলো দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি স্টার প্লাস, সনি এবং কালারস- এই তিনটি চ্যানেলের নিয়মিত দর্শক ছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত এই চ্যানেলগুলোতে তিনি সিরিয়াল দেখতেন। এটি জেল কর্তৃপক্ষর নজড়ে আসার পরপরই কারাবিধি অনুযায়ী জেল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয় যে একজন দন্ডিত আসামী বা কারান্তরীণ ব্যক্তি শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখতে পারবেন। এই প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি তার টেলিভিশন থেকে অন্যান্য লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। অত্যন্ত উত্তেজিতভাবে চিকিৎসক নার্সদের সঙ্গে চিৎকার চেচামেচি করেছেন খালেদা জিয়া। তাদেরকে গালাগালিও করেছেন।
একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি মৃত্যুপথযাত্রী। অথচ তিনি যেভাবে উত্তেজিত হলেন সেটা বিস্ময়কর। কোন অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে এই উত্তেজনা সম্ভব নয়।
তবে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিনি যে কেবিনে আছেন সেটা আসলে একটা সাবজেলেরই অংশ। এখানে জেল কর্তৃপক্ষর নির্দেশের বাইরে তাদের কিছু করণীয় নেই। কাজেই এখানে বেগম খালেদা জিয়া এখানে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন না পাবেন ইত্যাদি সম্পূর্ণই জেল কর্তৃপক্ষর এখতিয়ারাধীন বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।