নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০
গেলো বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলায় হামলার শিকার হয়েছিলেন ভিপি নুরুল হক নুর। সেই ঘটনায় তার মেরুদণ্ডের দুইটি হাড় একেবারে ভেঙে গেছে। নুরকে এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেন।
এ বিষয় আজ (১৪ জানুয়ারি) নুর বলেন, “গতকাল এমআরআই (ম্যাগনেটিক রিসোন্যান্স ইমেজিং) করিয়েছিলাম। রেডিওলোজিস্ট বলেছিলেন, মেরুদণ্ডের অন্তত দুটি হাড় ভেঙে গেছে। তবে হাড়ের ভাঙা অংশ জায়গা থেকে সরে যায়নি।”
নুর বলেন, “এরপর এমআরআই রিপোর্টটি গতরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেনের কাছে গিয়েছিলাম। রিপোর্ট দেখে তিনিও বলেছেন যে, আমার মেরুদণ্ডের দুটি হাড় একেবারে ভেঙে গেছে। যাকে বলে মেজর ফ্র্যাকচার। তবে হাড়ের ভাঙা অংশ সরে যায়নি, জায়গামতোই আছে।”
“সেজন্য চিকিৎসক আমাকে বেশ কয়েকদিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে ভারী কেনো কাজ করতে নিষেধ করেছেন। কিছুদিন পর আবার চেকআপ করানোর জন্য তার কাছে যেতে বলেছেন”, যোগ করেন নুর।
উল্লেখ্য, ডাকসু ভবনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলায় নুর ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে আটক করে পুলিশ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।