নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০
ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির ভাষার মাস। এই ভাষার মাস শুরু হলেই সবচেয়ে বড় আকর্ষণ শুরু হয় সেটা হলো একুশে বইমেলা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিবারের মতো এবারেও শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের বইমেলা। এই মেলা চলে সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষদিন পর্যন্ত। এই একুশে বইমেলা শুধু একটা বইয়ের উৎসব, তাই নয়। বরং বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। সব ধরনের ঝড় ঝঞ্ঝার মধ্যেও একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার একটা রেওয়াজ, ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। কিন্তু এবার কি সেই রেওয়াজ, সেই ঐতিহ্য ভাঙা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন সর্বমহলে। কারণ ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ভোটের দিন বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান কীভাবে হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বইমেলার আয়োজনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আওতাভুক্ত। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, বইমেলা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটি কিছুটা পিছিয়ে অর্থাৎ ভোটগ্রহণের পর বইমেলার কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে একবার সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ রাখা, আরেকবার বইমেলা শুরুর দিনে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ- এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন যে অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন নয় এবং বাঙালি কৃষ্টি সংস্কৃতির দিনগুলোর প্রতি তার যে কোনো খেয়াল নেই সেটাই আবার প্রমাণিত হয়েছে।
এখন একুশে বইমেলা পিছিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে নাকি একুশে বইমেলা ভোটগ্রহণ শেষে করা হবে- এ নিয়েও নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। নির্বাচন কমিশন একটি নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের সময় যে সবগুলো বিষয়কে মাথায় নেওয়া দরকার- সেই বিষয়গুলো তারা মাথায় নিচ্ছে না বলেই এরকম সমস্যা বার বার ঘটছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।