ইনসাইড বাংলাদেশ

অর্থ-সংকটে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ০৩ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ সালের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে হিসেবে ২০০৭ সালের পর থেকে টানা এক যুগ ক্ষমতার (সরকার বা বিরোধী দলে) বাইরে বিএনপি। এরমধ্যে ক্রমেই বাড়ছে দেশের অন্যতম এই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটির অর্থসঙ্কট।

এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়, দলের ব্যবসায়ী নেতারা বা শুভাকাঙ্খি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনুদান দেওয়া প্রায় বন্ধই করে রেখেছে। অথচ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই অনুদান বাড়ার কথা। কারণ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বা আন্দোলন চাঙ্গা করতে হবে, যার ফলে খরচ বাড়তেই থাকবে।

অনুদান কমিয়ে দেওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, দলটির প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ বা সরকার তাদের নজরে রাখছে। অনুদান অব্যাহত রাখলে মামলা-হামলায় জড়িয়ে দিতে পারে তাদের। তাই তারা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, এটি কোনো কারণ নয়, বরং অজুহাত। আর এই অজুহাত কাজে লাগিয়ে তারা দলে অনুদান দেয়া বন্ধ রাখছে। অথচ দল ক্ষমতায় থাকার সময় তারা নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে ব্যবসা চাঙ্গা রেখেছে। বর্তমানে দল ক্ষমতায় আসবে এমন নিশ্চয়তা দেখতে না পাওয়ায় আর অনুদানের নামে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। পাঁচ বছর বিরোধী দলে থাকার অভিজ্ঞতা থাকলেও বর্তমানে প্রায় একযুগ ক্ষমতার বাহিরে থাকায় এই অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে।

এক কথায় বিশ্লেষকদের মতে, কোনো অঙ্গীকার থেকে নয়, শুধুই ব্যবসায়ীক কারণে বিনিয়োগের চিন্তা থাকায় ক্রমবর্ধমান অনীহা এসব বিনিয়োগকারীদের। দল ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকলেই প্রত্যাশা বা দর কষাকষি হতো যে, কে মন্ত্রী হবেন, কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন বা কে কোন ঠিকাদারি পাবেন? সে বিবেচনায় তারা বিনিয়োগও করতেন।

তাদের মতে, সরকারের নজরদারিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো যেতেই পারে। তবে আন্তরিকতা থাকলেও দলে অনুদান দেয়া যায়, যে কোনও বাধা এড়িয়েই তা দেয়া যায়।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ কয়েক জন ছাড়া অন্যরা এখন আর অনুদান দিচ্ছেন না বললেই চলে। আগে অনুদান দিলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এড়িয়ে চলা নেতারা হলেন, বরকতউল্লাহ বুলু, জয়নাল আবদীন ফারুক, মির্জা আব্বাস ও এহসানুল হক মিলন।

বিএনপির মাসিক স্বাভাবিক খরচ প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এরমধ্যে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের অফিস ও স্টাফদের মাসিক খরচ প্রায় ৬ লাখ টাকা। আর নয়াপল্টন কার্যালয়ের স্টাফ ও অফিস খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া সভা-সমাবেশ, যাতায়াত, নেতা-কর্মীদের মামলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বেশ কিছু টাকা খরচ হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতারা নিয়মিত মাসিক চাঁদা দিলেই কারও অনুদানের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। কিন্তু অঙ্গিকারের অভাবে তা হচ্ছে না। উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, গত বছর মার্চে দলের জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত সব কেন্দ্রীয় নেতারই চাঁদা পরিশোধিত। এরপর থেকেই অনেকেই চাঁদা নিয়মিত দিচ্ছেন না। কাউন্সিলের আগেও তারা নিয়মিত চাঁদা দিতেন না। কাউন্সিলকে সামনে রেখে দিয়েছেন। কাউন্সিল হয়ে যাওয়ার পর পদ-পদবী পাওয়া বা না পাওয়ার হিসেব শেষ। অর্থ্যাৎ চাাঁদার জন্য কারও পদ যাবে না, আবার নিয়মিত চাাঁদা দিলেও কারও পদ-পদবী পাওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে না। অর্থ্যাৎ দলের প্রতি অঙ্গিকারের অভাব থাকায় এই অর্থসঙ্কট, বাকিটা অজুহাত।

তারা বলছেন, দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন করে জেলা, মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির নেতাদের মাসিক চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়নে ৫০ টাকা, মহানগরীর ওয়ার্ডে ১০০ টাকা, উপজেলা-থানা-পৌরসভায় ২০০ টাকা, মহানগরে ৪০০ টাকা ও জেলায় ৫০০ টাকা। এসব কমিটির ইউনিট ভেদে সহসভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা ও ৩০০ টাকা। সম্পাদকদের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা, ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ১৫০ টাকা ও ২০০ টাকা। সহ-সম্পাদকদের ক্ষেত্রে ২০ টাকা, ৩০ টাকা, ৪০ টাকা ও ১০০ টাকা। সদস্যদের ধরা হয়েছে ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৩০ টাকা, ৪০ টাকা ও ৫০ টাকা। তবে কেউ এর চেয়ে বেশি পরিমাণ চাঁদা দিতে চাইলে দিতে পারবে। কিন্তু সামর্থ্যরে অভাব বিবেচনা করে চাঁদা মওকুফ কিংবা পরিমাণ হ্রাস করতে পারবে। তবে জাতীয় নির্বাহী কমিটির চাঁদার পরিমাণ আগের পরিমাণই রয়েছে। চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের মাসিক চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার টাকা। সমপরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা ৫০০, যুগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদক ও সহসম্পাদক ৩০০ এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদের নেতা ছাড়াও দল থেকে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তারাও পদাধিকার বলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তাদেরও মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। অবশ্য নির্বাচন বর্জন করায় দশম জাতীয় সংসদে বিএনপির কোনো এমপি নেই।

জানা গেছে, পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনাসহ নানা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জর্জরিত থাকলেও অর্থের অভাবে ঠিকঠাক আইনী সহায়তা দিতে পারছে না বিএনপি। এক্ষেত্রে দলীয় আইনজীবী নেতারাও দায়সারা বলে পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষকদের। ভালো ফি পাওয়া মামলার মতো করে তারা এই মামলাগুলোও দেখতেন যদি তেমন অঙ্গিকার থাকতো।


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ, ২ ছাত্রদল নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

 

আরও পড়ুন: থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপর হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ


শোকজ দুই ছাত্রদলের নেতা হলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভ ও নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা।

 

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনি একটি প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন। দল যেখানে নির্বাচন থেকে দূরে আছে যা দলীয় শৃঙ্খলা। এমন অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কেন সাংগঠনিক চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল ৷ অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


শোকজের বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা বিল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সবাই জানে যে মন্টু চৌধুরীর সাথে বেশি চলাফেরা। ওনার সাথে থাকি, একটু ঘোরাঘুরি করছি, সেজন্য জেলা থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা বলেন, ‘নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভকে আমরা ভিডিওতে প্রচারণায় দেখতে পাই। এই জন্য আমরা তাকে বহিষ্কার করবো এবং নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা ফোন করে পরবর্তীতে এমন ভুল হবেনা জানিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ।’


উপজেলা নির্বাচন   প্রচারণা   ছাত্রদল   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বকেয়া বেতনের দাবিতে বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।

এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


বকেয়া বেতন   দাবি   পোশাক   শ্রমিক   সড়ক   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপর হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ১০:১৬ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের প্রভাব বিস্তার ও থানায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের উপর হামলার অভিযোগে অপর প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।


আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা 

 

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না” এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না। 


আরও পড়ুন: এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে

 

কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভিতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মোঃ বদিউজ্জামান ফকিররের উপর আক্রমণ করেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ২ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো।


আরও পড়ুন: আদর্শবানরা ক্ষমতায় বিনয়ী হন, অযোগ্যরা বদলে যায়

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   নির্বাচনী আচরণবিধি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমলাপুরে এখনও আসেনি ভোরের ট্রেন, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন ও ওয়াগনের লাইনচ্যুত ১১ বগি উদ্ধারে রাতভর অভিযান চলেছে। এখন পর্যন্ত লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

শুক্রবার দুর্ঘটনার পর আজ শনিবার (৪ মে) সকাল পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল। কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।

ভোর ৬টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। ফলে এই ট্রেনটি কখন ছাড়বে জানেন না যাত্রীরা।

একইভাবে ৪ নং প্ল্যাটফর্ম থেকে ভোর সোয়া ৬টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি কখন ছেড়ে যাবে তা বলতে পারছেন না কেউ। এখন পর্যন্ত ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেনি।

সকাল পৌনে ৭টায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখান থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বলা হচ্ছে ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাবে। কিন্তু ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। জানা গেছে, ট্রেনটি এখনও ঢাকায়ই আসতে পারেনি।

সকাল সোয়া ৭টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির প্ল্যাটফর্ম জানানো হয়নি। যদিও স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৮টায় কমলাপুর ছাড়বে।

এমন অবস্থায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে, আজ সারাদিন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনেরই ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয় হবে। 

 এদিকে দুর্ঘটনার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতভর উদ্ধার অভিযানের পর সকাল থেকে আবারও লাইনের ওপর থেকে ক্রেন দিয়ে বেঁধে একে একে সরানো হচ্ছে বগি। টাঙ্গাইল কম্পিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনের দুটি অংশ ও তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন এখনো লাইনের ওপর পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাঙ্গাইল কম্পিউটারের ইঞ্জিন ও তেলবাহী ওয়াগান সরানো গেলেই শুরু হবে লাইন মেরামতের কাজ।

 শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল থেকে একটি কমিউটার ট্রেন ঢাকায় ফিরছিল। পথে জয়দেবপুর জংশনে পৌঁছালে একই লাইনে ঢাকা থেকে আসা দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় বগি। ঘটনাস্থল থেকে দুই লোকোমাস্টারসহ চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে। দুই রেলের ইঞ্জিনসহ ১১টি বগি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


ট্রেন   ভয়াবহ   শিডিউল   বিপর্যয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

তাপদাহ হাঁসফাঁস করছে মানুষ। স্বস্থি পেতে ব্যাবহার করছে এসি। এসিতে মানুষকে একটু হলে স্বস্তি দিচ্ছে। তবে এই আরামও আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যদি দীর্ঘ সময় এসিতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিন এসিতে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে।

শ্বাসকষ্ট

যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা এসিতে থাকার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসি রুমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট বা খুশখুশে কাশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে গলা শুকিয়ে আসা, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহের সমস্যাও হতে পারে এই অভ্যাসের ফলে।

পানি শূন্যতা

গরমের সময় যেকোনোভাবে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এসি থাকলে আপনার শরীর বেশি আর্দ্রতা শোষণ করবে। যে কারণে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়ার ভয় থাকে। তাই এসিতে থাকলেও আপনাকে একটু পর পর পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি।

মাথাব্যথা

মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। তবে শুধু মাইগ্রেন নয়, সেইসঙ্গে যেকোনো ধরনের মাথাব্যথাই বেড়ে যেতে পারে এই অভ্যাসের কারণে। ঠান্ডাজনিত অসুখের কারণে মাথা ব্যথার প্রকোপও দেখা যায়। তাই এসি রুমে থাকার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন।

ত্বকের সমস্যা

তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে ত্বকের ওপর প্রভাব পড়ে। কারণ এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় ত্বক ফেটে গিয়ে চুলকানি দেখা দিতে পারে। আবার রোদ ও এসির ঠান্ডা এই দুইয়ের মাঝে আমাদের ত্বক অনেক সময় খাপ খাওয়াতে পারে না। যে কারণে ত্বকে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা।




এসি   সমস্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন