নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০১৭
দেশে বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিদেশী অনুদানের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিভিন্ন খাতে বিদেশি সহায়তা পেয়ে আসছিলো। কিন্তু এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে ৮৫০ কোটি টাকার কম অনুদান এসেছে।
তাছাড়া এনজিওগুলোর অর্ধশত প্রকল্পও কমেছে। বর্তমানে শুধুমাত্র এনজিওর অনুদান বা প্রকল্প কমছে তাই নয়, বরং আন্তর্জাতিক অনেক দাতা সংস্থাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ করে নতুন করে আর অর্থায়ন করছে না। আবার যারা অর্থায়ন করতে আসছে তারা অনেক যাচাই-বাছাই করছে। সব মিলিয়ে সঙ্কটে পড়ছে বাংলাদেশের এনজিও খাত।
প্রতিবছর স্বাস্থ্য খাতে প্রচারণার জন্য বিশ্বব্যাংক যে আর্থিক সহায়তা দিতো, তা এ বছর স্থগিত রাখা হয়েছে। জনসচেতনতা মূলক কাজের জন্য পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় একাধিক টেন্ডার ডেকেছিল তা শেষ মূহুর্তে বাতিল করে দেয়া হয়। অন্যদিকে, ঢাকা শহরে ৩০ ভাগ এলাকায় ডিজিটাল মিটার করার কথা ছিল, কিন্তু এ কাজটিও বিশ্ব ব্যাংক স্থগিত করে রেখেছে। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং ফান্ড অনলাইন ভ্যাটের আইন কার্জকরের জন্য যে টাকা দিতে চেয়েছিল তা এখন তাঁরা দিবে না।
এদিকে, এনজিওগুলোর অর্ধশত প্রকল্পও কমেছে। বর্তমানে শুধুমাত্র এনজিওর অনুদান বা প্রকল্প কমছে তাই নয় বরং আন্তর্জাতিক অনেক দাতা সংস্থাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ করে নতুন করে আর অর্থায়ন করছে না। আবার যারা অর্থায়ন করতে আসছে তারা অনেক যাচাই-বাছাই করছে। সব মিলিয়ে সঙ্কটে পড়েছে বাংলাদেশের এনজিও খাত।
এ সব কিছুর পিছে কারণ তিনটি। প্রথমত, জাতীয় নির্বাচন সামনে। এসময়ে দাতা সংস্থারা বড় ধরনের কোন সাহায্য-সহযোগিতা দিতে চায় না।
এসবের কারনের দেশ, সরকার যততা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হচ্ছে এনজিওগুলো। বর্তমানে এদেশে এনজিওর সঠিক সংখ্যা কতো তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। তবে অধিকাংশ এনজিওই নিষ্ক্রিয়। দেশে সক্রিয় এনজিওগুলো সাধারণত সমাজসেবা অধিদফতর, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর, সমবায় অধিদফতর, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত।
তবে এনজিও ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রায় আড়াই হাজার এনজিও রয়েছে। তার মধ্যে ২৫০টি বিদেশি এবং ২ হাজার ২৪৪টি দেশি এনজিও। তাছাড়া গত ৭ বছরে আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতো এমন ৫শ’ এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এই সহায়তা না পাওয়ার কারণে অনেকগুলো সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
এর পেছনে আরও একটি বড় কারণ বিশ্বে যুদ্ধ ও সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল বেড়ে যাওয়ায়। বর্তমানে সিরিয়া, আফ্রিকার মত দেশেগুলোর দিকে দাতা সংস্থারা নজর দিচ্ছে। দেশগুলোতে শরণার্থীর সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় দাতা সংস্থাগুলো সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে সেখানে। আবার বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে অগ্রগতির কারণেও দাতা সংস্থাগুলো অর্থায়ন কমাচ্ছে।
গতবছর নতুন করে বৈদেশিক অনুদান রেগুলেশন আইন ২০১৬ করা হয়েছে। ওই আইনের কয়েকটি ধারা নিয়েও এনজিওগুলোর আপত্তি আছে। সেটি বাস্তবায়িত হলে অর্থ পেতে আরো সমস্যা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত অর্থবছরে এনজিও খাতে ৪ হাজার ৯৩২ কোটি টাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকার সহায়তা এসেছে স্বাস্থ্য খাতে। চলতি অর্থবছরেও অর্থ আসার পরিমাণ সেভাবে বাড়েনি। এমনকি প্রকল্প অনুমোদনের সংখ্যাও কম। সব মিলিয়ে অনেক এনজিওর অবস্থাই এখন আর আগের মতো ভালো নয়। মূলত অর্থায়নের অভাবেই ছোট ছোট অনেক এনজিও নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে।
যেখানে দেশের উন্নয়ে নিরব ভাবে বিপ্লব ঘটিয়ে গেছে এ সব এনজিওগুলো, সেখানে এই সহযোগিতা বন্ধ করে দিলে কি করে উন্নয়ন ঘটাবে এই সংস্থা গুলো?
বাংলা ইনসাইডার/আরএস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।