ইনসাইড বাংলাদেশ

সব নগরে সংকট এক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২০ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

নগরায়ন হচ্ছে। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতে হচ্ছে দালানকোটা। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে সব শহরই পরিণত হচ্ছে আবর্জনায়। সব শহরই জলাবদ্ধতায় ডুবে যাচ্ছে সামান্য বৃষ্টিতেই। সব শহরের ভোগান্তি একই।
 
জলযটে ঢাকার যে অবস্থা তাতে এটাকে নিত্য বন্যা বলা চলে। বন্যা যেমন একটানা কয়েকদিন থাকে তেমনি ঢাকার অনেক এলাকার মানুষই বর্ষাকালে একপ্রকার পানিবন্দী জীবন যাপন করেন। পার্থক্য বন্যার্তদের ত্রাণ লাগে, আর ঢাকাবাসীর ত্রাণ লাগে না। তবে ভোগান্তি বন্যার্তদের চেয়ে কোনো অংশে কম না। কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রষ্ঠিান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি কবরস্থানও জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পায় না। একদিকে বিশুদ্ধ পানির সংকট অন্যদিকে নোংরা পানির জলাবদ্ধতা নগরবাসীকে দুশ্চিন্তায় রাখছে সারাক্ষণ। খবরের কাগজ আর মিডিয়ার টকশোর বিষয় থাকে জলাবদ্ধতা। বর্ষা শেষ তো জলাবদ্ধতার ইস্যুও শেষ।
 
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় জলাবদ্ধতার যে অবস্থা তাতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ঢাকার পানিতেই ডুববে ঢাকা। পানি বের হওয়ার যেমন উপায় নেই, তেমনি সারা শহর কংক্রিটে আবৃত হওয়ায় পানি ভুপৃষ্ঠে ফেরত যাওয়ারও উপায় নেই। তার উপর নদীনালা, খাল, ড্রেনের অবৈধ দখলের মহোৎসব তো রয়েছেই। ঢাকায় জলাবদ্ধতার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে দুই ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি প্রশাসন আর জেলা পরিষদকে। 
 
জলাবদ্ধতা সংকট চেপে ধরেছে রাজশাহীকেও। হালকা কিংবা ভারী বৃষ্টিপাতে উপশহরসহ গোটা নগরীই জলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। রাজশাহীতে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় রাস্তায় জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখলেই সেখানকার পরিস্থিতি কতটা সঙিন তা বোঝা যায়। রাজশাহীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে এখন প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। এখানে পরিকল্পনা হয়েছে, দেওয়া হয়েছিল বাজেটও। কিন্তু উন্নয়নের পরিবর্তে হয়েছে বিরাট দুর্নীতি। গত তিন বছরে রাজশাহীতে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ হয়েছে। বাস্তবে কাজ আর হয়নি, হয়েছে হরিলুট। ড্রেন তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো ভেঙ্গে পড়ে। এই ভাঙ্গা ড্রেনে কোন পানি অপসারিত হয় না। সরকারের টাকা গচ্চা গেছে পুরো প্রকল্পেই। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাজশাহীর জলাবদ্ধতা দুর করতে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে সকল প্রকার দুর্নীতির উর্দ্ধে থেকে। আর সেই সঙ্গে এসব দুর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। 
 
সিলেট শহরটি মূলত ছোট ছোট বিপুুল সংখ্যাক টিলাবেষ্টিত। তাই যখন বৃষ্টি হয় তখন, তখন সব পানি নিচু এলাকার দিকে প্রবাহিত হয়। ফলে এই শহরে একই সময়ে একসঙ্গে অনেক পানি প্রবাহিত হয়। সিলেটে জলাবদ্ধতার শুরুতে থাকে পানির ¯্রােত। পানির ¯্রােতে হালকা যানবাহন ভেসে যাওয়ার নজিরও এ অঞ্চলে রয়েছে। এরপরই পানি জমতে থাকে সড়ক আর বাসাবাড়িতে। পানি নিস্কাশনের জন্য সিলেট নগরীর ভেতর ১২ টি খাল ও ছড়া রয়েছে। কিন্তু খালের অস্তিত্ব শুধু মানচিত্রেই। ছড়াগুলো সংকীর্ন হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে ছড়া ও খালের কোনো অস্তিত্বই নেই। ছড়া ও খালের উভয় পাশ ভরাট করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। অনেকে খাল ভরাট করে দালান নির্মাণ করেছে। ছড়া ও খাল উদ্ধারে বছর বছর নেওয়া হয় পরিকল্পনা। কিন্তু পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন হয়না, খালও উদ্ধার হয়না, জলবদ্ধতাও কমেনা।
 
খুলনা শহর গড়ে উঠেছে নদীর তীরে। খুলনায় জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং খাল দখল। এসব এলাকায় নগরায়ন এতটাই অপরিকল্পিত যে কোথাও কোথাও পানি নিস্কাশনের ড্রেনটাও নেই। তার উপর এই অঞ্চলে খাল দখল যেন একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষেরও অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। খুলনার জলবদ্ধতা আগে তেমন প্রকট না হলেও সম্প্রতি জলাবদ্ধতা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে স্থায়ীত্ব। সুষ্ঠ নগর পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা না নিলে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো অবস্থা হতে পারে এ শহরটিরও। 
 
ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরীতে। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় নেয় না কেউ। কিছুদিন পর পর নেওয়া হয় পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা, আরও কত কি! কিন্তু জলাবদ্ধতা আর কমেনা। জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বলে একেকজন নগরপিতা হন। আর নগরপিতা হওয়ার পর দুষতে থাকেন সাবেক মেয়রদের। এভাবেই চলছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার সংকট নিরসন। জল দুর করতে সাবেক তিন মেয়র জলে ঢেলেছেন ৩০০ কোটি টাকা। ফলাফল শূণ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা যে কোন অঞ্চলের চেয়ে একটু জটিল। এ অঞ্চলের খালগুলো সক্রিয় থাকাটাও একটা ফ্যাক্টর। জোয়ারের কারণে স্বাভাবিকভাবে খালে পানি আসে। তার ওপর ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়ে পানির চাপ। ফলে প্লাবিত হয় পুরো নগরী। বার বার জোয়ার ভাটার কারণে পলি পরে খাল হয়ে যায় ভরাট। ময়লা-আবর্জনা আর খাল দখলের লড়াই তো আছেই। সবকিছু মিলে পুরো শহরের জলাবদ্ধতা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতায় জটিলতাও বাড়ছে। তাই চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিরসনে মহাপরিকল্পনা করতে হবে সমন্বয় করে। অনেক সময় প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সুফল পাওয়ার পরিবর্তে প্রকল্পটি হয়ে ওঠে গলার কাঁটা। তাই সবগুলো সম্ভাবনা আর ঝুঁকির কথা চিন্তা করেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।
 
 বাংলা ইনসাইডার/এএন


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাজাহান খানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি অভিযোগ তুলেছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ডিসির ব্রিজ এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান তার নিজ নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে শফিক খান অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে আসিবুর রহমান খান। শাজাহান খান তার ছেলেকে বিজয়ী করতে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। 

শফিক খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ১৫টি অভিযোগ দিলেও সে বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনাসহ ইলেকট্ররাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।’

সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ।
 
তবে সংবাদ সম্মেলনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শাজাহান খান এলাকায় থাকলেও তিনি নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করছেন না।’ শাজাহান খান নিজেও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনভাবেই নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করিনি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

শাজাহান খান   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন