ইনসাইড বাংলাদেশ

কেন একের পর এক উদ্ভট সিদ্ধান্ত?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ২৪ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনা সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে করোনা সঙ্কট থেকে বাঁচার জন্য, অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য। তবে এই সিদ্ধান্তগুলো প্রায় চটজলদি নেয়া হচ্ছে এবং পরিকল্পিত হচ্ছেনা। যার ফলে সিদ্ধান্তগুলো উদ্ভট সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হচ্ছে এবং এই উদ্ভট সিদ্ধান্তগুলোর ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি জনজীবনে অস্থিরতা এবং নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে। যেমন সরকার শুরুতেই যখন ২৬শে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলো তখন প্রশ্ন উঠলো যে এটা সাধারণ ছুটি না লক ডাউন? তখন মন্ত্রীপরিষদ সচিব জানালেন যে এটা ‘সোশ্যাল ডিস্টেনসিং’, আমরা লকডাউন বলতে চাইনা। কিন্তু এই ছুটিকে লকডাউন না বলার কারণে মানুষ মনে করলো যে, এটা বোধহয় উপভোগের ছুটি। লোকজন লঞ্চে, বাসে, ট্রেনে ঘরমুখী হয়ে ছুটলো।

শুধু তাই নয়, এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো যে, কেউ কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারবে না। অথচ গণপরিবহন উন্মুক্ত রাখা হলো। যার ফলে ২৩শে মার্চ ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে গণপরিবহনে মানুষ বাড়িতে যাওয়া শুরু করলো। পঞ্চম দফা ছুটির মেয়াদ সময় বলা হলো যে, এই ছুটি হবে অত্যন্ত কঠোর। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়া যাবেনা এবং কি কারণে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় সরকারি অফিস আংশিক খুলে দেয়া হলো, ব্যাংক আগে থেকেই খোলা ছিল, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হলো এবং দোকানপাট খুলে দেওয়া হলো। দোকানপাট খুলে দেওয়ার সময় জানানো হলো যে দোকানে যেতে হলে ভোটার আইডি কার্ড, ইলেকট্রিক বিলের কপি বা পরিচয়পত্র- যেকোন কিছু নিয়ে যেতে হবে এবং এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় গিয়ে কেনাকাটা করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত শুধু উদ্ভটই ছিল না, হাস্যকরও ছিল এবং পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত কাউকে বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে যে, যদি একটি সিদ্ধান্ত নেওয়াই হবে তা বাস্তবায়ন করা হবেনা কেন। দোকানপাট খোলা থাকবে কিন্তু ফুটপাত বন্ধ থাকবে। অথচ কিছুদিন আগেই সরকার মাঠের মধ্যে কাঁচাবাজার বসানোর নির্দেশনা দিল এবং তখন বলা হলো যে উন্মুক্ত স্থানে বাজার হলে লোকজন সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ কম হবে। তাহলে ঈদের কেনাকাটার জন্যে দোকান খোলা হলেও ফুটপাত বন্ধ হলো কেন? আবার যখন সপ্তম দফায় ছুটি যখন বাড়ানো হলো তখন সরকার বললো যে, কেউ ঢাকা থেকে বের হতে পারবে না, কেউ ঢুকতেও পারবে না। কিন্তু লোকজন যখন দল বেঁধে ঢাকা থেকে বের হতে শুরু করলো তখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ঢাকায় প্রবেশ এবং ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো এবং বলা হলো যে, গণপরিবহন চলবে না। তবে ব্যক্তিগত যানবাহনে যাওয়া যেতে পারে। যদি ব্যক্তিগত যানবাহনে যেতে পারে তাহলে গণপরিবহনে যাওয়া যাবেনা কেন? বরং এর ফলে যেটা হচ্ছে যে, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত পরিবহন গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হলো এবং করোনা সংক্রমণের আরো ঝুঁকি বৃদ্ধি পেল। প্রশ্ন উঠেছে যে কেন একের পর এক এই ধরণের উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে? এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা কতগুলো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করেছেন।

১. সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব

দেখা যাচ্ছে, যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হচ্ছে তা পরিকল্পিত নয়। যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হচ্ছে সেগুলোর ইমপ্যাক্ট কিভাবে হবে, কিভাবে দেশ লাভবান হবে সে ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

২. সুদূরপ্রসারী কোন ভাবনা নেই

একটি সিদ্ধান্তের কোন সুদূরপ্রসারী চিন্তা ছাড়াই তা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে যখন যে সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, তখন তা নেয়া হচ্ছে। এর পরিণাম কি হবে তা ভাবা হচ্ছেনা।

৩. আমলাতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি

প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তের মধ্যে কোন গবেষণা নেই এবং এই সিদ্ধান্তগুলোর পেছনের কার্যকারণ বিশ্লেষণ করার কোন প্রবণতা নেই। আমলাতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুধু যেটুকু প্রয়োজনে সেটুকু মেটানোর জন্যেই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হচ্ছে।

৪. মেধা, দক্ষতা, দূরদৃষ্টিতার অভাব

প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তের পেছনে মেধা, দক্ষতা, দূরদৃষ্টিতার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে অনেক ভাবনা ভেবে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে তেমন একটি প্রতীয়মান হচ্ছেনা, সমস্যার গভীরে যাওয়া হচ্ছেনা। যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সমস্যার গভীরে যেতে হয় এবং কেন সমস্যাটি তৈরি হয়েছে সেটা বুঝতে হয়। তা না বুঝে যদি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে সেই সিদ্ধান্তটা হিতে বিপরীত হতে পারে এবং এখন যেটা হচ্ছে। সমস্যার গভীরে না যাওয়ার কারণে সিদ্ধান্তগুলো এমন হচ্ছে। তবে এই ধরণের অগোছালো এবং উদ্ভট সিদ্ধান্তের কারণে করোনা মোকাবেলায় দেশের সামগ্রিক পরিকল্পনায় একটি বড় ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় দুই প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময় উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস) এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন