ইনসাইড বাংলাদেশ

চীন আসছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৬ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনা পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন আসবে তার সুস্পষ্ট ইংগিত ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। করোনায় শুধু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাননি অনেক রাষ্ট্রনায়ক তাঁদের স্বজন হারিয়েছে। করোনার উৎপত্তি সম্পর্কে সবাই মোটামুটি নিশ্চিত হলেও এর বিস্তার নিয়ে চীন নিজেকে সন্দেহাতীতভাবে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি বলে সত্য মিথ্যের মিশেল দুনিয়া জুড়ে মানুষ আর রাষ্ট্রের কর্ণধারদের অন্তরের গভীরে সন্দেহের বীজ গেড়ে বসেছে। এছাড়া সস্তা শ্রম আর পণ্য মূল্যের কারণে চীনের উপর নির্ভরশীলতার পরে নিত্য ব্যবহার্য পণ্য সরবরাহে করোনাকালে যে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে চীনে বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রসমূহ এক বা একাধিক বিকল্প পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমেরিকা ইউরোপ ছাড়াও এশিয়ার অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ জাপানও তাঁদের শিল্প কারখানা চীন থেকে অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। মনের ভিতর ক্ষোভ পুষে রাখা ইউরোপ অন্তর্মুখী ভাব দেখালেও যুক্তরাষ্ট্র তার স্বভাব সুলভ ভাষায় কথা বলছে যাতে মনে হচ্ছে চীনের সাথে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের শুরু হতে যাচ্ছে আমেরিকার। আসলে কি শুধুই আমেরিকা একাই না সাথে আরও কেউ আছে?  

 

অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন যে, পারমানবিক বোমা মেরে দেশ জয়ের দিন আর নেই। এখন অর্থনৈতিক যুদ্ধের সময়। মঙ্গোলিয়ান চেঙ্গিস খান সারা দুনিয়ার অর্ধেক দখল করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও অল্পের জন্য সফল হতে পারেন নি। তারই উত্তরসূরি চায়নিজরা সারা দুনিয়ার বাণিজ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চেয়েছিল বলে এখন অনেক দেশ সন্দেহ করছে। তাই তারা বিকল্পের সন্ধানে আছেন, কোথা থেকে কম মূল্যে  তাদের জন্য ভোগ্য পণ্য আর ক্যাপিটাল মেশিনারি বানানো যায়।    

 

বিপুল জনসংখ্যার দেশ ভারত। গবেষণা আর প্রযুক্তির দিক দিয়েও তারা খুব পিছিয়ে নেই। অনেক ক্ষেত্রেই তারা তাদের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। তাই ইউরোপ আমেরিকা, জাপানের মত অনেক দেশ ভারতে তাদের শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠায় বেশী আগ্রহী হতে পারে, কারণ ভারতে তাঁরা কম করে হলেও ২০ বছর তাঁদের ব্যবসা চালাতে পারবেন। এছাড়া আছে বাংলাদেশ। এর জনসম্পদও কম নয়, অবকাঠামোগত দিক দিয়ে দেশটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যা শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য খুব জরুরি। এর পাশে আছে অল্প জনসংখ্যার উন্নয়নে আগ্রাসী ভূমিকার দেশ ভিয়েতনাম সাথে কম্বোডিয়া, লাউস, ইত্যাদি। আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপানের মত দেশ যদি তাদের শিল্প কারখানা এসব দেশে স্থানান্তর করতে শুরু করে তাহলে তারা চীনের চেয়ে কম মূল্যে তাদের পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে বলে আশাবাদী। তখন বিশ্ববাণিজ্যে চীন হবে অনেকটা কোন ঠাঁসা। এমতাবস্থায় চীন কী করবে তার বিপুল দক্ষ কর্মী বাহিনী নিয়ে? কীভাবে তারা সস্তায় পণ্য তৈরি করে আন্তর্জাতিক বাজার দখলে রাখবে বর্তমানের মত করে? কারণ সব দেশের মানুষ সস্তায় পণ্য সামগ্রী কিনতে চান।     

 

চীনের সঙ্গে চলমান সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বৈশ্বিক করোনাভাইরাস সংকট ও হংকংয়ে নতুন আইন পাসসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গত রোববার তিনি এ মন্তব্য করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনৈতিক শক্তিকে দোষারোপ করেছেন। ওয়াং ই বলেন, `যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনৈতিক শক্তি চীন-মার্কিন সম্পর্ককে জিম্মি করছে এবং এই দুই দেশকে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।`

 

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ তিক্ত। বাণিজ্য, মানবাধিকার ও অন্যান্য ইস্যুতে দুই দেশের মতানৈক্য তীব্র আকার ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এই সংকট নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়শই অভিযোগ করছেন যে, নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের হাত রয়েছে।

 

ওদিকে চীনের নতুন আইন প্রণয়নকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হংকং। প্রযুক্তিতে উন্নত তাইওয়ানের সাথে শুরু হয়েছে নতুন ঝামেলা, তাইওয়ান স্বাধীনতা চায়। এর পিছনে আমেরিকার হাত আছে বলে চীন অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে। ফলে হংকংও তাইওয়ানকে সামাল দিতে চীনের সামরিক ব্যয় বাড়বে। অর্থনীতিতে পড়বে চাপ।

 

উপরের অবস্থা বিবেচনা করে একজন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন যে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বাংলাদেশের সরকারী অফিস সংস্কৃতির কারণে প্রথম ধাক্কায় চীন থেকে আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপানের শিল্প বাণিজ্য স্থানান্তরে বাংলাদেশের ভাগ্যে খুব কম সুযোগ জুটতে পারে। আর সেই সুযোগ লুফে নিতে পারে চীন। কারণ বাংলাদেশ একসাথে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি ভারত, চীন ও জাপানের সাথে একতালে সম্পর্ক রেখে চলেছে। এছাড়া ভারতের সাথে চীনের সম্পর্ক খুব মধুর নয়, বরং বৈরী। অন্যদিকে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাউস জনসংখ্যার নিরিখে বড় দেশ নয়। পুরো শিল্প কারখানা কম্পিউটারাইজড করতেও সময় নেবে। তখন চীনের সামনে বিকল্প হিসেবে এশিয়ায় থাকবে একমাত্র বাংলাদেশ। ততদিনে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে অনেক বেশী, বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বাংলাদেশের সরকারী অফিস সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন আসবে, আসতে বাধ্য হবে। এমতাবস্থায় চীন তার বিনিয়োগের বিরাট অংশ আনবে বাংলাদেশে। কিছু হয়তো যাবে আফ্রিকার কোন কোন দেশে।          

 

করোনা স্থিতু হলেই আগামী কয়েক বছরেই চীন থেকে শিল্প বাণিজ্য স্থানান্তরের পুরো চিত্রটা পরিষ্কার হতে শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক গবেষণা-প্রতিষ্ঠান পপুলেশন কাউন্সিলের ২০১৯ সালের ভাষ্যমতে, `২০৩৭ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে হবে কমপক্ষে ২১ কোটি’ হবে। এই বিপুল জনসংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে চীন এখানে শ্রমঘন শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে উৎসাহী হবে, আর তার সম্ভাবনাও অনেক বেশী। এখন দরকার বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠন আর কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো জোরদার করা চীন, জাপান ও অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে শিল্প বাণিজ্যে বিনিয়োগ আনায়।           



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেল ৫ টায় কেওক্রাডং পাহাড় সংলগ্ন দুর্গম পাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টহল দলের তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ে কেএনএ এর একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, পরবর্তীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহারকৃত বাঙ্কার, পর্যবেক্ষণ চৌকি ছাড়াও ৩টি একে-২২ রাইফেল, ১টি শটগান, ৭১ রাউন্ড তাজা এ্যামোনিশন, ১৫৭ রাউন্ড শটগান এ্যামোনিশন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি, ১টি ড্রোন, ৩টি জুম্মল্যান্ডের পতাকা ও মোবাইল ফোনসহ ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফের ঢাকা সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফের বাংলাদেশ সফরে ঢাকা আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তার সফরটি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক একটি সূত্র। 

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটি লুর প্রথম ঢাকা সফর হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৬ মে ঢাকা সফর করতে পারেন লু। তিনি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসবেন। 

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, গত মাসে ডোনাল্ড লু ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে লু ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে তার ঢাকা সফরের আগ্রহের কথা জানান। চলতি মাসের শুরুর দিকেও লুর ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে ঠিক কবে নাগাদ লুর সফর হবে, তা চূড়ান্ত ছিল না।

এর মধ্যে সোমবার (৬ মে) ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র-সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে লুর ঢাকা সফরের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।

ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পোস্তগোলা শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবিত হবে কিনা, প্রশ্ন ড. আওলাদ হোসেনের (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পোস্তগোলা-শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল আবার পুনরুজ্জীবিত হবে কিনা জানতে চেয়েছেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে সম্পূরক প্রশ্ন উত্তর পর্বে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর কাছে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

ড. মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এক সময় পোস্তগোলা-শ্যামপুর শিল্প এলাকা ছিল। সেখানে ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, চাঁন টেক্সটাইল সহ অসংখ্য পুরোনো ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। তবে সেগুলো এখন বন্ধ রয়েছে। নদীর পাড়ে এই মূল্যবান জায়গা এবং বন্ধ হয়ে থাকা শিল্প কারখানা গুলোর ব্যাপারে কোন সুরাহা আছে কিনা জানতে চান ড. আওলাদ হোসেন।

ড. আওলাদ হোসেন এর প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আপনি অপ্রিয় সত্য কথা বলেছেন। আমি নিজেও ওই অঞ্চলের সন্তান। স্বাধীনতার পর থেকে সেখানে বেশ কিছু ইন্ডাস্ট্রি ছিল। এরপর বিভিন্ন সময় সেগুলো অবৈধভাবে দখল হয়েছে।  আমাদের সেনাবাহিনার কিছু জমিও আছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘিরে। মাননীয় সংসদ সদস্য যদি আমাকে সহযোগিতা করেন তাহলে শিল্প মন্ত্রণালয় সঠিব সিদ্ধান্ত নেবে। এবং সরকার সেখানে অবশ্যই এগুলো যারা বেআইনি ভাবে দখল করেছে সেগুলোকে দখলমুক্ত করে আমরা সেগুলোকে কাজে লাগাব। কারণ এই জায়গাগুলো অত্যন্ত মূল্যবান জায়গা। সেখানে নতুন কলকারখানা স্থাপন করা যাবে। দরকার হলে শ্রমিকদের জন্য আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থাও করা যাবে।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেনকে তার (শিল্পমন্ত্রী) সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আহ্বান করেন।


বুড়িগঙ্গা নদী   পোস্তগোলা শিল্পাঞ্চল   ড. আওলাদ হোসেন   ঢাকা-৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘এ স্ট্যাটাস’ পেতে সহায়তা দিবে এপিএফ

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় মানবাধিকার বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ‘এ স্ট্যাটাস’ পেতে সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের (এপিএফ)। 

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনের (জিএএনএইচআরআই) বার্ষিক সম্মেলনে এ আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (৬ মে) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৬-৮ মে তিন দিন ব্যাপী গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশন এর বার্ষিক সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের (এপিএফ) সভায় এ ই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক। 

সভায় এপিএফের পক্ষ থেকে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সদস্য জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার আশ্বাস প্রদান করা হয়। বিশেষ করে বি স্ট্যাটাস প্রাপ্ত জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়নের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখার কথা জানানো হয়। 

এছাড়া সভায় ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জোরালো ভূমিকার জন্য ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংস্থা ফিলিস্তিন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   এপিএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বজ্রপাতে অসহায় শ্রমিকের শেষ সম্বল ২টি গবাদি পশুর মৃত্যু


Thumbnail বজ্রপাতে অসহায় শ্রমিকের শেষ সম্বল ২ টি গবাদি পশুর মৃত্যু, সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসক

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বজ্রপাতে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক পরিবারের শেষ সম্বল দুটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন হাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তরং নতুন হাটি গ্রামের মৃত নুর জামালের ছেলে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক আসাদ খান সোমবার (৬ মে) সকালে বাড়ির সামনে থাকা পালই হাওরের কান্দায় ঘাঁস খাওয়ার জন্য দুটি গরু বেধে রেখে আসেন। এরপর কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত পড়লে গরু দুটি হাওরের কান্দায় মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদ খান বলেন, ‘আমি বোরো মৌসুমে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করি, বর্ষায় ফেরী নৌকা চালিয়ে জনের সংসারের ভরণ পোষণ চালাই। শ্রমের টাকায় গত দুই বছর আগে ৮০ হাজার টাকায় গরু দুটি কিনে লালন পালন করি। ইচ্ছে ছিল আগামী কোবারবানীর হাটে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকায় গরু দুটি বিক্রি করে সংসারের কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনব কিন্তু আমার শেষ সম্বল দুটি গরু বজ্রপাতে মারা গেল।

উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলেয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ‘সরকারি কিংবা কোন এনজিও সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তা অথবা দুটি গরু কিনে দিয়ে সহায়তা করলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদের পরিবার আবারো আশার আলো দেখবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ‘বজ্রপাতে দুটি গরু মারা গেছে জেনেছি, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিককে সরকারি ভাবে সহায়তার সুযোগ থাকলে অবশ্যই সহায়তা করা হবে।


বজ্রপাত   গবাদি পশু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন