নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৮ মে, ২০২০
সরকার করোনা মোকাবেলার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে উপেক্ষাই করলো। বিশেষজ্ঞরা আরো অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন কঠোর লকডাউন বা কারফিউ জারি করার কথা বলেছিল। কিন্তু সরকার বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গ্রহণ না করে বরং উল্টো পথেই হাঁটলো। আগামী রোববার থেকে বাংলাদেশ আবারও চালু হচ্ছে, সীমিত আকারে বলা হলেও দৃশ্যত বাংলাদেশে সব খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলার এক নতুন প্রেক্ষাপটে উপনিত হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, বিশেষজ্ঞদের মতামত কেন উপেক্ষা করলো সরকার? বিশেষজ্ঞদের কথাকে কেন পাত্তা দিলোনা সরকার? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া যায় কতগুলো সুনির্দিষ্ট কারণ।
১. বিশেষজ্ঞরা বলতে পারছেন না করোনা কতদিন থাকবে বা কি পর্যায়ে আছে
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের সূচণা হয় গত ৮ মারচ এবং তারপর থেকে সরকার একের পর এক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে থাকে। সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয় এবং ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সে সময় বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে, মে মাসের মাঝামাঝিতে করোনা পিক সময়ে পৌঁছাবে এবং মে মাসের শেষের দিকে সংক্রমণের হার কমতে থাকবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বিশেষজ্ঞদের এই কথা ঠিক হয়নি। বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত কোন প্রক্ষেপণ করতে পারছে না যে কতদিন থাকবে বা কিভাবে এই করোনার সমাপ্তি ঘটোবে।
২. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিজ্ঞতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে, করোনা চটজলদি চলে যাওয়ার নয় এবং যতদিন পর্যন্ত ভ্যাক্সিন বা ওষধ আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের করোনা নিয়েই বসবাস করতে হবে। দেশের বিশেষজ্ঞ নয় বরং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এই প্রেক্ষিতেই সরকার মনে করছে আমাদের যেহেতু করোনার সঙ্গেই চলতে হবে, কাজেই অর্থনীতি বন্ধ রেখে চলা সম্ভব নয়।
৩. দরিদ্র মানুষের জন্য ভাবনা
সরকার চিন্তা করেছে যে, করোনার কারণে যদি দীর্ঘদিন সবকিছু বন্ধ রাখা হয় তাহলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দরিদ্র মানুষ এবং তাঁদেরকে সহায়তা দিয়ে দীর্ঘদিন চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এই বাস্তবতায় করোনা মোকাবেলার চেয়ে অর্থনৈতিক বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের সামন। আর এই প্রেক্ষাপটে সরকার বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে পারেনি। বরং জীবন এবং জীবীকার মধ্যে সরকার জীবিকাকেই বেঁছে নিয়েছে এবগ প্রত্যেকটি মানুষকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে, আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।