নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ২৯ মে, ২০২০
বাংলাদেশের মত যে সব দেশে যেখানে WHO গাইডলাইন সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারের অনুরোধ উপেক্ষা করে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে অবাধে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফিরা করছেন তাঁদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ ভাগ আছেন উপসর্গ-হীন করোনা রোগী। বিশেষ করে যারা কায়িক পরিশ্রম করেন, নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁদের মধ্যে এই উপসর্গ-হীন করোনা রোগীর সংখ্যায় বেশি। এরাই আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণের জন্য বড় ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত বেশি থাকে। কারণ, সৃষ্টিকর্তা জন্মের সময় থেকেই আমাদের শরীরে Innate Immunity দিয়ে দিয়েছেন, যা আমাদেরকে সুরক্ষা দিচ্ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এছাড়াও নানা ধরণের টীকা, ওষুধ প্রয়োগ করে ও বিভিন্ন রোগে ভুগে ভুগে মানুষ তাঁদের শরীরে Acquired Immunity তৈরি করে, বা তৈরি হয় মানুষের দেহে।
ইমিউনিটি আমাদের শরীরকে রক্ষা করার এক ধরণের সৈন্য-সামন্তের মত। যারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাঁরা আবার খুব কৌশলী, যুদ্ধের জন্য এরা প্রতিনিয়ত আমাদের দেহের মধ্যে কোটি কোটি নতুন রূপান্তর ঘটিয়ে নতুন শক্তি অর্জন করে আমাদের রক্ষা করে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের সাথে যেহেতু আমাদের শরীর পরিচিত নয়, সেহেতু একমাত্র Innate Immunity বাহিনীই এর সাথে সফলভাবে যুদ্ধ করতে পারে৷ শিশুদের Innate Immunity খুব শক্তিশালী বিধায়, করোনা ভাইরাস তাদেরকে কাবু করতে পারেনা৷ সেই জন্য সব দেশেই শিশুদের মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম আর বয়স্কদের মৃত্যুর হার বেশি। যাদের পরিবারে বা সে সমাজে উপসর্গ-হীন করোনা রোগী যত বেশি সেখানে বয়স্কদের মৃত্যুর হার বা আক্রান্তের হার তত বেশি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের এক সাংবাদিক তাঁর করোনা উপসর্গ-ওয়ালা তাঁর শশুরকে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার জন্য নিলে ঐ শশুরের চলাফেরার ইতিহাস খতিয়ে দেখা হয়। এতে দেখা যায় যে, ঐ মুরুব্বি গত ২ মাসের বেশি সময় কোনদিনও একবারের জন্যেও বাইরে বের হন নি। তখন ঐ সাংবাদিককে উপসর্গ-হীন করোনা রোগী অনুমান করে টেস্ট করলে বুঝা যায় যে, তিনি আসলেই উপসর্গ-হীন করোনা রোগী। সাংবাদিক সাহেব উপসর্গ-হীন করোনা রোগী হওয়ায় বাসায় সবার সাথেই খোলামেলা মিশেছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন করোনা সংক্রমণের অচেনা বাহক। তাই এখন ডাক্তারগন বলছেন যে, আমাদের ভাবতে হবে যে, ‘আমি ছাড়া সবাই রোগী। এমন চিন্তাই আমাদের রক্ষা করতে পারে। বাসার বাইরে বেরুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হওয়া দরকার’।
বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের অন্য দেশকে অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে দেশের সব কর্মকাণ্ড খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনটিতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো ও সংক্রমণ রোধ করতে মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও মাস্ক পরা নিয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো অবস্থাতেই বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিন্তু পত্রিকার খবরে দেখা গেছে যে, WHO বলেছে- আক্রান্ত ছাড়া মাস্ক পরার দরকার নেই। WHO এর কথায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। কারণ চীনারা গরম-পানির ব্যবহার করেছেন করোনা মোকাবিলায়। অথচ WHO একবারের জন্যেও এসব কথা বলছে না! একেক সময় একেক কথা মানে উল্টাপাল্টা কথা বলছে, তাতে বিশ্বের অনেক দেশের মানুষকে কি WHO বিভ্রান্ত করছে না!
এদিকে আরেকটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের মত দেশে সবাই প্রায় করোনা বিশেষজ্ঞদের মত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। এটা করলে এটা হবে, সেটা করলে ওইটা হবে ইত্যাদি। মুখে কারোই লাগাম নেই। আসলে করোনা সম্পর্কে কেউ কিছু ভালভাবে জানেন না, তাই এমন কথা সবাই শুনছেন নিজেদের জীবন রক্ষা করতে। তবে গত তিন মাসে এসব শুনে শুনে অনেকেই এটা বুঝতে পেরেছেন যে, কিছু বলনে-ওয়ালা মানুষ আছেন যারা সব বিষয়েই কথা বলে নিজেকে আলোচনায় রাখাতে চান।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সব কিছু খুলে দেওয়ার সরকারি এই সিদ্ধান্তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘এতে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি’।
শুক্রবার গণমাধ্যমকে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘এখন যদি সবকিছু খুলে দেয়া হয় তাহলে তো অবস্থা আরও খারাপ হবে। আমাদের দেশে এখন যে হারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এর মধ্যে সব খুলে দেয়া তো ভুল হবে’।
করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে করোনা পরীক্ষাও সেভাবে হচ্ছে না। করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা যদি আরও করা যেত, তাহলে আক্রান্তের হার আরও বেড়ে যেত’। উনি এটা ঠিক বলেছেন। কিন্তু এটা বলেন নি যে, আমাদের পরীক্ষার সেই অবকাঠামোগত সুবিধা, আর পরীক্ষা করার মত দক্ষ জনশক্তি আমাদের আছে কি না।
ধান কাটায় সমস্যা হবার পর ক্রিকেটার মাশরাফি নিজের টাকায় ধান কাটার মেশিন কিনে দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দেশের অনেক ধনী লোক ও কোম্পানি পিসিআর মেশিন কিনে দিয়েছেন, হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছেন করোনার পরীক্ষা আর চিকিৎসার জন্য। ড. কামাল হোসেন সাহেব অনেক ধনী রাজনীতিবিদ, তিনি করোনায় এমন কিছু করে দেখিয়ে দিতে পারতেন। মানে সেই প্রাচীন কথার মত, ‘আপনি আচরি ধর্ম, অপরে শেখাও’, করলে ভালো হতো না!
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।
পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।
এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।
মন্তব্য করুন
আজ থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। এছাড়া বাড়ছে কনটেইনার পরিবহণ ভাড়াও। রেলওয়ে অপারেশন দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, শনিবার থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই।
২৪ এপ্রিল থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়। কারণ ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
অতীতের নিয়ম অনুযায়ী, ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এ সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রভাব সব যাত্রীর ওপর পড়বে না। ১০০ কিলোমিটারের বেশি যারা ভ্রমণ করবে তারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। রেয়াতি সুবিধা বাতিলের কারণে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় হবে রেলের।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উপর হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ
শোকজ দুই ছাত্রদলের নেতা হলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভ ও নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা বলেন, ‘নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন সৌরভকে আমরা ভিডিওতে প্রচারণায় দেখতে পাই। এই জন্য আমরা তাকে বহিষ্কার করবো এবং নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা ফোন করে পরবর্তীতে এমন ভুল হবেনা জানিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ।’
উপজেলা নির্বাচন প্রচারণা ছাত্রদল শোকজ
মন্তব্য করুন
কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।
এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বকেয়া বেতন দাবি পোশাক শ্রমিক সড়ক অবরোধ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের প্রভাব বিস্তার ও থানায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের উপর হামলার অভিযোগে অপর প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না” এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না।
আরও পড়ুন: এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে
কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভিতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মোঃ বদিউজ্জামান ফকিররের উপর আক্রমণ করেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ২ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুন: আদর্শবানরা ক্ষমতায় বিনয়ী হন, অযোগ্যরা বদলে যায়
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি শোকজ
মন্তব্য করুন
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।