নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘এখন করোনাকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা আমাদের অনেক এলাকাকে গ্রাস করছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বন্যাদুর্গত এলাকায় করোনা যেন ব্যাপকভাবে সংক্রমিত না হয় এবং বন্যার দুর্দশার পাশাপাশি যেন করোনায় স্বাস্থ্যহানি না ঘটে, সেজন্য এখন থেকে নজর দিতে হবে। এজন্য সরকারকে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে বিভিন্ন বিষয়ে যে সুপষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনার মধ্যে একটি ছিল নদীবেষ্টিত জেলাগুলোতে নৌ অ্যাম্বুলেন্স অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে। নৌ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে ত্রাণ সাহায্যের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে হবে।’ বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার বিস্তৃতিতে এমনিতেই মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এর মধ্যে একের পর এক দুর্যোগ আমাদের সামনে আসছে। এই দুর্যোগগুলো করোনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কিছুদিন আগে আম্পান হয়ে গেল। এরপর লঞ্চডুবি। আর এখন আবার বিভিন্ন জেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার সময় এ সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। আর এজন্য সরকারকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যায় যে পানিবন্দি মানুষ তাদের জন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত কঠিন। আর এ কারণে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সরকারের পক্ষ থেকে যেসব ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে, তাতে খাদ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কাপড়ের মাস্ক দেওয়া যেতে পারে। এটার খরচ খুব বেশি নয়। তারা যেন মাস্কটা ব্যবহার করে। তাদের অবশ্যই পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিতে হবে, যেন তারা বিশুদ্ধ পানি খেতে পারে। এই এলাকাগুলোতে কারও যদি কোনোরকম করোনার উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাদের সরাসরি উপজেলা হাসপাতাল বা নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে নৌ অ্যাম্বুলেন্স অত্যন্ত ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। আপাতত যদি নৌ আম্বুলেন্স নাও হয়, তাহলে নৌকার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ডা. আব্দুল্লাহ মনে করেন যে, এই করোনাকালীন সময় আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন- কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত করতে হবে, যাতে বন্যায় যারা অসুস্থ হবেন, বা করোনায় আক্রান্ত হবেন, তাদের যেন দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ‘এখন এমনিতেই মানুষ জীবিকার সংকটে রয়েছে। এ সময় ত্রাণ তৎপরতা যেন অব্যাহত রাখা যায়। মানুষের কাছে যেন খাদ্য সরবরাহ পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বন্যাকালীন সময়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় করোনা মোকাবেলার ব্যাপারে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। একসঙ্গে কাজ করতে হবে সবাইকে। নাহলে বন্যাকালীন সময়ে এ সমস্ত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নিয়ে পারে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।