ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা যুদ্ধে আলোকিত যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে করোনার চার মাস পূর্ণ হলো আজ। এই চার মাসে জনস্বাস্থ্য যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি অর্থনীতির ধকলও সামলাতে হচ্ছে দেশকে। এই যুদ্ধে একাই লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশ যে সুখবরগুলো পাচ্ছে বা যা কিছু ইতিবাচক সব কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি দিনরাত ২৪ ঘন্টা একাকার করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছেন, কর্মপরিকল্পনা করছেন। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে কিছু মানুষ সঙ্কট মোকাবেলায় যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছেন এবং শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিচ্ছেন। তাদের উদ্যোগের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমাহীন ব্যর্থতার পরেও বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে। বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলেও অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখে নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে করোনার সঙ্গে লড়ে যারা আলোকিত হয়েছেন তাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন-

ড. আহমেদ কায়কাউস

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় করোনা মোকাবেলার সব দিক দেখভাল করছে, নির্দেশনা দিচ্ছে। ড. আহমেদ কায়কাউস যেখানে স্থবিরতা, দূর্নীতি, অনিয়ম সেখানেই নজর দিচ্ছেন এবং কাজে গতি আনার জন্য পরিশ্রম করছেন। ড. আহমেদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বেশিদিন নয়। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছেন, যোগ্যতা প্রমাণ করে করোনা মোকাবেলায় একটি বিশ্বস্ততার নামে পরিণত হয়েছেন। অনেক সংসদ সদস্য বলেছেন যে, তাকে যেকোন সময় ফোনে পাওয়া যায়। ফোনে করোনা সংক্রান্ত বা ত্রাণ সংক্রান্ত কোন সমস্যার কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধানের জন্য কাজ করেন এবং আন্তরিকতার পরিচয় দেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রধানমন্ত্রীর সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসেছেন গত জানুয়ারি মাসের পরে। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন। করোনা সঙ্কটে তিনি আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি টিম তৈরি হয়েছে যে টিমটি সারাদেশের করোনা সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো দেখাশোনা করছেন। কোথাও যেন সমস্যা না হয়, সঙ্কট যেন দ্রুত সমাধান হয় সে ব্যাপারে তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সচিব সারাদেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা করার বিষয়টিতে মূখ্য সচিবের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন এবং সর্বত্র বিভিন্ন ধরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

বর্তমান করোনা সঙ্কটে নামীদামি অনেক চিকিৎসক যখন নামকাওয়াস্তে কাজ করে নিজেদের দায় মেটানোর চেষ্টা করছেন, সেখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ স্বেচ্ছা প্রনোদিত হয়েই করোনা নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলছেন। চিকিৎসকদের দাবিগুলো তুলে ধরছেন, একই সঙ্গে রোগীদের দুরবস্থার কথাগুলোও তিনি কোনোপ্রকার রাখঢাক না করেই বলছেন।

শেখ ইউসুফ হারুন

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনও করোনা মোকাবেলায় আলোচিত এবং আলোকিত নাম হিসেবে সামনে এসেছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৬ হাজার নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন যে, আন্তরিকতা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন বাঁধাই বড় হয়ে দাঁড়াতে পারেনা। এছাড়াও জনপ্রশাসন সচিব এই সংকটাপন্ন সময়ে প্রশাসনকে চলমান রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

 মো. আবদুল মান্নান

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান প্রতিকূল পরিবেশের মাঝে নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের ১ সপ্তাহের মধ্যে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তার দুই সন্তান করোনায় আক্রান্ত হন। এই পরিস্থিতির মাঝেও আবদুল মান্নান কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরেই দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে দুর্নীতির সিন্ডিকেট তা ভেঙে দেওয়ারও তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আবদুল মান্নানই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কোভিড চিকিৎসা চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আগামীকাল তিনি ২৪ টি হাসপাতালে ১৪৫ জন টেকনোলজিস্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন, এছাড়াও আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

হেলাল উদ্দিন

স্থানীয় সরকার সচিব হেলাল উদ্দিন-ও করোনা মোকাবেলার সময়ে আলোচিত হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির সময় ত্রাণ লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। করোনা সঙ্কটের সময় যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের ত্রাণ চুরি করেছে সেই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আইইডিসিআরের মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আলোচনায় আসেন। তিনি সাবলীলভাবে কোনোরকম আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে বৈজ্ঞানিক শিষ্টাচার মেনে অত্যন্ত শান্ত, ধীরস্থিরভাবে যেভাবে টানা সংবাদ সম্মেলন করে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করেছেন- তাতে তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করেছেন। আইইডিসিআরকে তিনি যেমন জনগণের কাছে পরিচিত করেছেন, ঠিক তেমনিভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তিনি যে একজন যোগ্য পরিচালক, সেটিও প্রমাণ করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন