ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণঘাতী করোনাকে জয় করে ফিরলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

দেশে প্রাণঘাতী করোনা সংকটের চার মাস পূর্ণ হল। দীর্ঘ এই চার মাসে এখনো পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন। আর এখন পর্যন্ত মরণ ব্যাধী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেণ ২ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যুর এই তালিকায় রয়েছে রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেন, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, র‍্যাব, পুলিশ, চিকিৎসক, ব্যাংকার, সাংবাদিকসহ আরও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। কিন্তু মন খারাপের এই তালিকার পাশে রয়েছে করোনা জয়ের গল্পও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব মতে, প্রাণঘাতী করোনা এখনো পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ১০২ জন। সুস্থতার এই তালিকা যেন খুব দীর্ঘ হয়ে উঠুক। করোনাকে জয় করে সবাই সুস্থ হয়ে ফিরে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক

গাজীপুর-১ আসনের এমপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক করোনা ভাইরাস জয় করে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু।

বীর বাহাদুর উশৈসিং

টানা ১৯ দিনের লড়াই শেষে করোনা জয় করে বাসায় ফিরলেন মন্ত্রী উশৈসিং। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে হেয়ার রোডের বাসায় ফিরে যান তিনি।

মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন

করোনাকে জয় করলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি গত ১৮ দিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল (৭ জুলাই) তার পুনরায় নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের ফল নেগেটিভ এসেছে। ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এখন সুস্থ ও ভালো আছেন।

সাবেক হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার

দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত সাংসদ শহিদুজ্জামান সরকার করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শহিদুজ্জামান সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রানা দাশগুপ্ত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত করোনাভাইরাসের চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। তার স্ত্রীও সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই প্রবীণ আইনজীবী। গতকাল মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) সস্ত্রীক সুস্থ হওয়ার খবর জানিয়েছেন তিনি।

আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, ১৩ জুন জ্বর এসেছিল। গলা ব্যথার পর ১৫ জুন টেস্ট করা হয়। ১৭ জুন রাতে জানানো হলো স্ত্রীসহ করোনা পজিটিভ। পরদিন মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে বিভিন্ন টেস্ট করানো হলো। এর মধ্যে খবর এলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আমাদের ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। তখন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অক্সিজেনসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৪ দিন পর জানানো হলো করোনা নেগেটিভ। তারপরেও তিনদিন অবজারভেশনে রাখা হলো। সর্বশেষ ২ জুলাই অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রামে নিজ বাসায় ফিরেছেন বলে জানান রানা দাশগুপ্ত।

এমপি এবাদুল করিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) থেকে নির্বাচিত এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবু্লের করোনার নমুনা পরীক্ষায় দ্বিতীয় বারও নেগেটিভ এসেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে সুস্থ আছেন। তিনি তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। একইসাথে দেশের বৃহৎ ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠান বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস এর কর্ণধার। গত ১৯ মে তার নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়।

মুনতাসীর মামুন

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে জয় করে বাসায় ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে টানা ১৬ দিন পর বাসায় ফিরেন তিনি।

স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর

সরকারের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। গত ২২ জুন করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর গত ১০ জুন থেকে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল

নিজ বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা জয় করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। গত ২২ মে তার শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা শুরু করেন। বর্তমানে পরীক্ষা শেষে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। জানা যায়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি মনোবল হারাননি। মনের শক্তি দিয়ে তিনি এখন করোনা মুক্ত।

সুজেয় শ্যাম

টানা ১১ দিন চিকিৎসার পর করোনা জয় করে বাসায় ফিরেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। দুবার করোনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ হওয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি এখন তার দায়িত্বও পালন করছেন। তিনি সুস্থ হয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলো রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান ও সিলগালা। ২৪ জুন তিনি করোনামুক্ত হন। সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। গত ৬ জুন রাতে ফেসবুকে করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি লেখেন- ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ। আলহামদুলিল্লাহ, শারীরিকভাবে ভালো আছি। সবার নিকট দোয়া ও ক্ষমার দরখাস্ত রইল।তার স্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে ভর্তি হলেও বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন সারোয়ার আলম।

গানবাংলা’র নির্বাহী তাপস ও মুন্নী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত সংগীত শিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস। এছাড়া টেলিভিশনটির চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুসংবাদ হলো তারা দুজনই এখন করোনা মুক্ত হয়েছেন।


কোচ আশিকুর রহমান

করোনাকে জয় করলেন সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ আশিকুর রহমান। গত ১২ মে আশিকের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ১৮ মে ও ২৬ মে আবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। পর পর দুইবার করোনা পরীক্ষায় আশিকের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

এছাড়া তথ্য সচিব কামরুন নাহার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান তার ছোট বোন। করোনায় আক্রান্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এবং ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাসাতেই আইসোলেশনে আছেন। তার কোন অসুস্থতা নেই।

তাছাড়া, এখনো পর্যন্ত ৭৮ হাজারের বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি করোনাকে জয় করেছেন। খুব দ্রুত বাড়তে থাকুক করোনা জয়ের এই তালিকা। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক আক্রান্তদের সবাই। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চাল মজুদ, ব্যবসায়ীর ১ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় আড়ৎ এর গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চালের বস্তা মজুদ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় পুলিশ সদস্যদের রেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৩০০ বস্তা চাল মজুত করার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

  

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার মধইল বাজারের ভাই ভাই চাল আড়ৎ মালিক এনামুল হককে এ জরিমানা করেন।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন বলেন, ‘গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে উপজেলার মধইল বাজারের এক চাল ব্যবসায়ীর গুদামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুত করা হয়েছে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে মধইল বাজারের ভাই ভাই চাল আড়ৎ এর গুদামে অভিযান চালানো হয়। গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৩০ কেজি ওজনের ৩০০টি বস্তা পাওয়া যায়। ৩০০ বস্তায় মোট ৯০০০ হাজার কেজি (৯ মেট্রিক টন) চাল ছিল।

 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যবসায়ী বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তার ৯টন চাল তিনি জয়পুরহাট থেকে কিনেছেন। এসব চাল জয়পুরহাট জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া রেশনের চাল।

রেশন কিংবা যে কোনো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তায় চাল বিক্রয় ও বিপণন করা নিষিদ্ধ। এই অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম) প্রতিরোধ আইন-২০২৩-এর ৬ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


খাদ্য অধিদপ্তর   রেশনের চাল   মজুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্কুল খোলার সিদ্ধান্তটা কি জরুরী ছিল?

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তীব্র এই দাবদাহে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ছে। ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুরু হয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম।

তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দেশেরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রথম দিনেই সারা দেশে অনেকেরই ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে প্রাইমারি স্কুলের শিশুসহ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। আর এভাবে চলমান দাবদাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কারণে সরকারের প্রতি অভিবাবকদের একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রথম দিনের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যেই তাপদাহে মৃত্যুর আসঙ্খা বেগতিক দেখে রাতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ থেকে গতকাল রাতেই বার্তা দেয়, তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

গতকাল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলছেন, ‘বেশি গরম পড়ছে বলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটার কোনো মানে নেই। কোন জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে ঐদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের-কলেজ শিক্ষার্থীদের বেলায় বিষয়টা কিছুটা যৌক্তিক মনে হলেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিশুদের ক্লাস পাঠানোর বিরোধিতা করছেন অভিভাবক থেকে সচেতন মহলের অনেকেই।

তাদের মতে, আরও এক সপ্তাহ সরাসরি ক্লাস বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করাতে পারত সরকার। স্কুলে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী হিট স্ট্রোকে মারা গেলে এর দায় কে নেবে? এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা বা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। হিট স্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

যেখানে ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পরে খুলেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তখন জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর জানিয়েছিল, বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী মহামারির এ সময় শ্রেণীকক্ষের বাইরে ছিল। সেখানে বর্তমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুদের স্বাস্থ ও নিরাপদের কথা বিবেচনা করে সরকার তাপপ্রবাহ চলাকালিন শিক্ষাপ্রতিষ্টান বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য বিবেচনয়া শিখাক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে মহামারি করোনার সময়ও করোনা মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন উদ্যেগ নিয়ে সফলতা দিয়ে তা মোকাবিলা করেছে। তখন যদি প্রায় দুই বছর স্কুলগুলো বন্ধ রেখে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে তাহলে এই তীব্র দাবদাহে স্কুলগুলো কি বন্ধ রাখে মৃত্যুর মিছিল কি বন্ধ রাখা যায় না।

এছাড়াও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। বর্তমানে দাবদাহে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চালু করলে হয়ত ‘হিট স্ট্রোক’ কিংবা গরমে শিশু শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক মারা যাওয়া বন্ধ হতে পারে। কেননা, গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়টাতে দেশের জলবায়ুর ফলে বৃষ্টি থাকে, আবহাওয়া অনেকটাই স্বাবাবিক থাকে। যার ফলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেত সহজেই।


দাবদাহ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   হিট স্ট্রোক   সরকার   তীব্রতাপ প্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়।

নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়।

নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


থাইল্যান্ড সফর   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউপির তিনটিতেই নতুন মুখ

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় প্রায় ১৩ বছর পর ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে এ ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষিত হলে দেখা যায়, এই ৫ টি ইউপি’র ৩ টিতেই নতুন মুখ এবং অপর দু’টি তে পুরোনোতেই আস্থা রেখেছে জনগণ। ফলাফল ঘোষণা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা।

চেয়ারম্যান হিসেবে দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁত ও লাহারকান্দি ইউপিতে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছে। অপর দুই ইউপি তেওয়ারীগঞ্জ ও দক্ষিণ হামছাদিতে আবারও নির্বাচিত হয়েছে পুরোনোরা।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে মীর শাহ আলম (ঘোড়া) ৬২৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী (চশমা) পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম (চশমা) ৬৩৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান (চশমা) ৬৪০১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে আশরাফুল আলম (টেলিফোন) ৫৫৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট। আশরাফুল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) ৭৫৪২ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


ইউপি নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   নতুন মুখ   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৪০ হাজার মৃত্যুর শঙ্কা

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ডেঙ্গুত আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ডেঙ্গুর প্রকপ দিনদিন বাড়ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঠিক ওই বছরি বিশ্বে এই সংখ্যা দাড়ায় ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় বিশ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। তবে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে। চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এদিকে ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।

একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। এডিস মশা তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসরও বাড়ছে।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় ১৯৬০ সালের দিকে। ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যার মাঝে মারা যায় ৯৩ জন। এরপর কম-বেশি প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে। কিন্তু সেই সংখ্যা কখনোই ২০২৩ সালের মতো এত প্রকট আকার ধারণ করেনি।

২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই বছরে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে।

আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু ২০২৩ সালে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অর্থাৎ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরে বছরে আরও ভয়াবহ হচ্ছে।

অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস মশা এখনো সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও দুইশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

নগরায়ন এই মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও ধনী উত্তর গোলার্ধ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


ডেঙ্গু   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন