নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫২ পিএম, ১২ জুলাই, ২০২০
ঢাকায় গাড়িচাপা দিয়ে এক গাড়িচালককে হত্যার ঘটনায় আলোচিত হওয়া এমপিপুত্র শাবাব চৌধুরী এবার চট্টগ্রামে দ্রুতগামী গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিলেন খোদ পুলিশের গাড়িকেই। এ ঘটনায় অল্পের জন্য কয়েকজন পুলিশ সদস্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
শনিবার (১১ জুলাই) রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজারে এ ঘটনা ঘটে। শাবাব চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর একমাত্র পুত্র। এদিকে ঘটনার পর রাতেই শাবাব চৌধুরীকে খুলশী থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ঢাকার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে গভীর রাতে তিনি ছাড়া পান।
শাবাব চৌধুরী এএন্ডজে গ্রুপ নামে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তার বাবা সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠানটি শিপিং ও স্টিভিডোরসহ বন্দরভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এর কার্যালয় আগ্রাবাদের বনানী কমপ্লেক্স ভবনে।
জানা গেছে, শনিবার (১১ জুলাই) রাত নয়টার দিকে নগরীর লালখানবাজারে ঢোকার মুখে হাইওয়ে প্লাজার গলির সামনে আগে থেকে টহলে থাকা পুলিশের অপেক্ষমাণ একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় বিপরীত দিক থেকে দ্রুতবেগে আসা একটি বিলাসবহুল গাড়ি। গাড়িতে থাকা খুলশী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে ওই গাড়িটিকে আটকে ফেলেন। এ সময় শাবাব চৌধুরী নিজেকে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র পরিচয় দিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। উল্টো পুলিশকেই হুমকি দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। লালখানবাজারে সংঘটিত ওইদিনের ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে এসেছে।
লালখানবাজার চানমারী রোডে ট্যাংকির পাহাড়ের পাশে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নিজস্ব বাসভবন। এমপিপুত্র শাবাব চৌধুরী সেখানেই থাকেন।
এদিকে ঘটনার একপর্যায়ে খুলশী থানা পুলিশের একটি দল গাড়িসহ শাবাব চৌধুরীকে থানায় নিয়ে যায়। জানা গেছে, ঢাকার প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।