নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২০
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দিকনির্দেশনাহীন, অগোছালো, এলোমেলো এবং অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর একক উদ্যোগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকনির্দেশনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কিছুটা সঠিক পথে এসেছে এবং বিশেষ করে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সমন্বয়হীনতা বন্ধের জন্যে প্রধানমন্ত্রী নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নেওয়া হয়েছে নানারকম উদ্যোগ। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে এখন একটি সহনীয় অবস্থায় এসেছে।
যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হতে পারতো যদি শুরু থেকেই স্বাস্থ্যখাতে সমন্বয়হীনতা না থাকতো, দুর্নীতি না থাকতো, অযোগ্যতা না থাকতো। এখন বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে এবং স্বাস্থ্যখাতের সুরক্ষার জন্য একটি প্রধান উপায় হলো কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের দিকে নজর দেওয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যখন করোনার ভ্যাকসিনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে, আগাম অর্থ বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিচ্ছে এবং গবেষণায় সহযোগিতা করছে, তখন বাংলাদেশ সবকিছু থেকে নিজেদের দূরে রাখছে। বরং বাংলাদেশে কথামালার যুদ্ধ চলছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন যে, করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে এবং সচিবও বলছেন যে, ভ্যাকসিন বিশ্বে এলে বাংলাদেশ এক মুহুর্তও দেরি করবে না। কিন্তু বাস্তবে এটা কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যে ১৪টি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে রয়েছে তাঁর একটির সঙ্গেও বাংলাদেশ যোগাযোগ করেনি। গতকাল অর্থমন্ত্রী ক্রয় কমিটি সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় স্পষ্ট বলেছেন যে, ভ্যাকসিনের জন্যে আমাদের আলাদা অর্থ বরাদ্দ আছে এবং এখনই ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের আগাম অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্প্রতি রাশিয়া একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক থাকার পরেও দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বের বহু দেশ এই ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতও আগাম অর্ডার দিয়েছে এই ভ্যাকসিনের। চীনা ভ্যাকসিনের জন্যে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে আগাম অর্থ পরিশোধ করেছে। মর্ডানার ভ্যাকসিনের জন্যে এখন পর্যন্ত ৫২ টি দেশ আগাম বুকিং দিয়েছে, যেন ভ্যাকসিন বাজারে এলেই তাঁরা তাঁদের দেশের জনগণের জন্যে পায়। বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে যে, একটি দেশ যখন ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে তখন তাঁরা প্রথমে তাঁর দেশের চাহিদা মেটাবে এবং এরপর যারা প্রথম বুকিং দিবে তাঁদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং আস্তে আস্তে এটা অন্যান্য দেশে যাবে। কাজে এখনই যদি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে দৌড়ঝাঁপ না করে এবং আগাম অর্থ বরাদ্দ না করে বুকিং না করে তাহলে ভ্যাকসিন বাজারে এলে কবে নাগাদ তা বাংলাদেশ হাতে পাবে সেটা এক বিরল প্রশ্ন।
ইতিমধ্যে আবার চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রয়ালয়ই এর গতি শ্লথ করে দিয়েছে। কি কারণে দিয়েছে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। অথচ যদি চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে হতো তাহলে চীনা ভ্যাকসিন এলে বাংলাদেশ প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ভ্যাকসিন পেত। এখন যদি শেষ পর্যন্ত চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে না দেওয়া হয় তাহলে চীনের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, গ্যাভির সঙ্গে যে চুক্তি সেই চুক্তি অনুযায়ী করোনার ভ্যাকসিন এলে বিনামূল্যে তা বাংলাদেশের জনগণ পাবে। কিন্তু গ্যাভির যে নিয়মনীতি, তা পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিশ্বে ভ্যাকসিন এলে প্রথমে যে দেশ আবিষ্কার করেছে তাঁরা পাবে, দ্বিতীয়ত যারা এর জন্যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে বা গবেষণায় সহযোগিতা করেছে তাঁরা পাবে এবং এরপর গরীব মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের সব মানুষের জন্য একসঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব নয়, এটা ধাপে ধাপে উৎপাদন করতে হবে। আর এই কারণেই মনে হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন দৌড়ে বাংলাদেশ এলোমেলো, বিভ্রান্ত। করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে যেমন শুরু থেকে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে পারেনি, বিদেশ ফেরতদেরকে কোয়ারেন্টিন করতে পারেনি, চিকিৎসকদের সুরক্ষা দিতে পারেনি, একইভাবে ভ্যাকসিনেও বাংলাদেশ এলোমেলো কিনা সেই প্রশ্ন জোরেশোরে উঠেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনোরেকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া না। তিনি এমপি মন্ত্রী যেই হোক। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়।’
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পাবনা জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সাধারন মানুষের কাছে হেনস্তা করবে, নির্বাচনকে কলুষিত করবে, দেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের কোনো কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাশেদা সুলতানা বলেন, 'দেশের নিদারুণ বাস্তবতা হলো ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভাল নেই। ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে ওইদিন চলে গেছে। তাই প্রার্থী যারা আছেন তারা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেরই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচনী আইন মেনে প্রচারণা করেন। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মুল্যে ভাল ভোট করবে।'
রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির সিইও গোলাম কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত মতবনিমিয় সভায় পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ করেন, '২ জন শিক্ষককে বিশেষ লোকের নাম বলে দু'টি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর সভায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন শুরুর আগেই তো প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার চলছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।'
নির্বাচন প্রভাব বিস্তার নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।