নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২০
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে চিকিৎসকদের নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। করোনা সংক্রমণের পর থেকেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নানা অজুহাতে চিকিৎসা প্রদানে অনীহা প্রকাশ করেন, তাঁরা তাঁদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী দাবি করেন। এরপর স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী যখন দেওয়া হয়, তখন তাঁরা প্রণোদনা এবং নানা রকমের আর্থিক সহায়তার জন্যে দেনদরবার করতে থাকেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে যখন হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের আলাদা কোন প্রণোদনা দেওয়া হয়নি, সেখানে বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসায় মাত্র ৭ দিন দায়িত্ব পালনে ১ মাসের সমপরিমাণ বেতন এবং কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় আর্থিক অনুদানসহ নানারকম ভাতা এবং প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই করোনা চিকিৎসা করছেন তাঁরা পেয়েছেন শুধু হাততালি, অস্ট্রেলিয়াতে যারা করোনা চিকিৎসা করেছেন তাঁদেরকে একটি করে আপেল উপহার দেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসার জন্যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে যেন তাঁরা করোনা চিকিৎসা করেন।
কিন্তু এর মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে অনিয়ম। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক পর্যায়ের সিনিয়র চিকিৎসকরা করোনার দায়িত্ব পালন না করেও প্রণোদনা ভাতা চাইছেন। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজে যারা করোনা চিকিৎসায় দায়িত্ব পালন করেছেন সেই চিকিৎসকদের একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যে তালিকা অনুযায়ী চিকিৎসকদের প্রণোদনা ভাতা দেওয়া হবে। সরকার নিয়ম করেছে যে, একজন চিকিৎসক টানা ৭ দিন চিকিৎসা করবেন এবং পরবর্তীতে টানা ১৪ দিন তিনি কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এই সাত দিন দায়িত্ব পালনের জন্যে তিনি বেতনের অতিরিক্ত ১ মাসের ভাতা পাবেন। আর কোয়ারেন্টিনে থাকাবস্থায় আগে হোটেলে থাকার কথা থাকলেও এখন হোটেল সুবিধা বাতিল করে দৈনিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা দিয়েছেন একেবারে তরুণ চিকিৎসকরা। সহকারী অধ্যাপক পর্যন্ত চিকিৎসকরাই শুধু করোনা ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দান করেছেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা কখনোই করোনা ওয়ার্ডে যাননি এবং করোনার চিকিৎসাও দেননি। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সেই তালিকায় দেখা গেছে যে, অধ্যাপকদের নাম রয়েছে সবার আগে। এই তালিকার প্রথম দিকে যে ক’জন অধ্যাপকের নাম রয়েছে তাঁরা কখনো করোনা ওয়ার্ডে যাননি, চিকিৎসাও দেননি। এই ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন যে, তাঁরা বাড়ি থেকেই টেলিমেডিসেন সেবা দিয়েছেন টেলিফোনের মাধ্যমে। কিন্তু সরকারি যে নির্দেশনা, সেই নির্দেশনায় টেলিমেডিসিন সেবা কখনোই সরাসরি চিকিৎসা সেবা দান করা হিসেবে পরিগণিত হয় না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে, সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছে সেই প্রণোদনা কেবল সম্মুখ সমরের যোদ্ধাদের জন্যে। যে সমস্ত চিকিৎসক সরাসরি করোনার চিকিৎসা দিবেন তাঁদের জন্যে। যারা দূর থেকে চিকিৎসা দেবেন তাঁদের জন্যে এটা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ একাধিক সরকারি হাসপাতালের প্রণোদনা পাওয়ার জন্যে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেখানে এমন সব অধ্যাপকের নাম আছে যার করোনা সংক্রমণের পর থেকে একদিনও করোনা চিকিৎসা তো দেয়নি, অনেকে হাসপাতালেও যাননি। তারপরেও তাঁদেরকে কেন এই ধরণের প্রণোদনা দেওয়া হবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। প্রণোদনার জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেই তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যাচাইবাছাই করবে। নিরীক্ষা করবে এবং তারপর তাঁরা প্রণোদনা পাওয়ার যোগ্য কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। যে সমস্ত অধ্যাপকদের নাম এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাঁরা সকলেই প্রথিতযশা। বিপুল অর্থ সম্পদের মালিকও বটে। কিন্তু তারপরেও তাঁরা প্রণোদনার অর্থ নেওয়ার জন্যে কেন এভাবে তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে উদগ্রীব হলেন তা নিয়ে বিষ্মিত সকল মহল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর স্বাচিপ সম্মেলন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
মন্তব্য করুন
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের
জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের
উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে দেশে
পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। বুধবার (১ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয়
শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি
থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলায়
রূপান্তরিত করব।’ বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের
বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের
সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের
কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত
শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন
জলিল বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম
এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার
গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি
মো. আব্দুল মজিদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার শ্রমিক মে দিবস
মন্তব্য করুন
বেনাপোল পৌরসভার ঢাকা-বেনাপোল হাইওয়ে সড়কের রজনী ক্লিনিক এর সামনে দুইজন বাইসাইকেল চালক ও ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী বাসের মধ্যে দুর্ঘটনায় গোলাম মোস্তফা (৪৮) নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গী আনিসুর রহমান (৩৩) নামে আর একজন শ্রমিক মারাত্মক আহত হয়েছেন।
বুধবার (০১ মে) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা ও আহত আনিসুর রহমান উভয় শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বাসের চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপার পলাতক রয়েছে।
বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর শাহীন আলম জানান, ‘আমার পার্শ্ববর্তী লাউতাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও আনিসুর রহমান দুইজনই মাঠে ধান কাটার শ্রমিক। তারা কাজের সন্ধানে বাইসাইকেল চালিয়ে বেনাপোল বাজারের উদ্দেশ্যে স্থানীয় রজনী ক্লিনিকের সামনে দিয়ে আসছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি বাস তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে গোলাম মোস্তফা মারা যায়। এবং আনিসুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়। আনিসুরকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে নাভারন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুমন ভক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শ্রমিক হতাহতের ঘটনা স্বীকার করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে ফোর্স পাঠায়। সেখান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা শ্রমিক ধানকাটা ময়নাতদন্ত
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।