নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২০
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার তদন্ত করছে র্যাব। ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এই মামলার যারা সাক্ষী ছিল তাঁদেরকেও র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। র্যাবের সূত্রে বলা হয়েছে যে, কেন, কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে এটা নিয়ে তাঁরা অনুসন্ধান করছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার অনুসন্ধানের জন্যে যে সরকারি তদন্ত কমিটি হয়েছে সেই তদন্ত কমিটিও ৭ দিনের সময় বাড়িয়েছে। আবার নাগরিকরাও এই নিয়ে তদন্ত এবং গণশুনানির আয়োজন করেছে।
নিশ্চয়ই এই সমস্ত তদন্ত থেকে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের সময় এবং তাঁর পূর্ব এবং পরের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এর সম্বন্ধে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর এবং সন্দেহজনক প্রশ্নের উদ্বেগ ঘটেছে। সিনহা হত্যার তদন্তে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মীমাংসিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষত এই ঘটনার সঙ্গে যে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে তাঁদের অতীত রাজনৈতিক অবস্থান এবং দায়িত্ব পালনের তাঁদের ভূমিকার কারণে এই প্রশ্নগুলো উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সিনহা হত্যা কি কেবল নিছক একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড? নাকি এটা ঐ অঞ্চলের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাদের অপরাধপ্রবণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ- সেই প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয়ই তদন্তে পাওয়া যাবে। তবে এই ঘটনার বিশ্লেষণে যে প্রশ্নগুলো উত্থাপিত হয়েছে সেই প্রশ্নগুলোর মীমাংসা হওয়া দরকার। যেমন-
১. সিনহা হত্যার ঘটনার আগে থেকেই টেকনাফ এবং কক্সবাজার এলাকায় একাধিক ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে এবং প্রায় সময়েই ভিকটিমকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বা চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে প্রতিপন্ন করে ওই সমস্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলোকে জায়েজ করার একটা চেষ্টা ছিল। অর্থাৎ ওইখানে সরকারের ইমেজ নষ্ট করার জন্যেই কি পরিকল্পিতভাবে এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছিল?
২. যে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজনের জামাত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, আরেকজন বিএনপির আমলে পদকপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এছাড়াও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছে বিভিন্ন মহল। তাহলে তাঁরা কি সম্মিলিতভাবে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে?
৩. অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা সেখানে গিয়েছিল একটি ডকুমেন্টরির শুটিংয়ের জন্যে। সেখানে তিনি কিছুদিন ছিলেন এবং অনেকগুলো চেকপোস্ট পার করেই তাঁদের বিভিন্ন স্থানে যেতে হতো। কাজেই পুলিশ তাঁর সম্পর্কে জানতো না বা তাঁর সম্পর্কে কোন তথ্য ছিলোনা এমন ভাবার কোন কারণ নেই। বরং সিনহা অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তা এবং এই ধরণের একটি ঘটনা ঘটার ঘটলে তা সরকারের উপরে একটি বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে- এই ধরণের চিন্তা থেকেই কি এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে?
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে যে, এই রহস্যগুলো উদঘাটন করা উচিত। কারণ এর আগেও দেখা গেছে যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অপকর্মগুলো ঘটেছে সেগুলোকে প্রথমে নিছক ব্যক্তির অপরাধ হিসেবে দেখা হলেও পরবর্তীতে দেখা গেছে এগুলোর পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছিল। এখন সিনহার ঘটনাতেও এই ধরণের কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছিলো কিনা, বিএনপি-জামাতের কোন ব্লু প্রিন্ট আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর থেকেই জামাত-শিবির গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের নীলনকশা করে আসছে এবং সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাশকতা, হামলার চেষ্টা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দিয়েছে। এখন এই ঘটনার সঙ্গেও সেই ধরণের কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা তদন্তে সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
মন্তব্য করুন
কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।
এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বকেয়া বেতন দাবি পোশাক শ্রমিক সড়ক অবরোধ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের প্রভাব বিস্তার ও থানায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের উপর হামলার অভিযোগে অপর প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না” এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না।
আরও পড়ুন: এসিতে সব সময় থাকলে যে সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে
কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভিতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মোঃ বদিউজ্জামান ফকিররের উপর আক্রমণ করেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা ২ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুন: আদর্শবানরা ক্ষমতায় বিনয়ী হন, অযোগ্যরা বদলে যায়
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি শোকজ
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন ও ওয়াগনের লাইনচ্যুত ১১ বগি উদ্ধারে রাতভর অভিযান চলেছে। এখন পর্যন্ত লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
শুক্রবার দুর্ঘটনার পর আজ শনিবার (৪ মে) সকাল পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল। কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।
ভোর ৬টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। ফলে এই ট্রেনটি কখন ছাড়বে জানেন না যাত্রীরা।
একইভাবে ৪ নং প্ল্যাটফর্ম থেকে ভোর সোয়া ৬টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি কখন ছেড়ে যাবে তা বলতে পারছেন না কেউ। এখন পর্যন্ত ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেনি।
সকাল পৌনে ৭টায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখান থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বলা হচ্ছে ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাবে। কিন্তু ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। জানা গেছে, ট্রেনটি এখনও ঢাকায়ই আসতে পারেনি।
সকাল সোয়া ৭টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির প্ল্যাটফর্ম জানানো হয়নি। যদিও স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৮টায় কমলাপুর ছাড়বে।
এমন অবস্থায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে, আজ সারাদিন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনেরই ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয় হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতভর উদ্ধার অভিযানের পর সকাল থেকে আবারও লাইনের ওপর থেকে ক্রেন দিয়ে বেঁধে একে একে সরানো হচ্ছে বগি। টাঙ্গাইল কম্পিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনের দুটি অংশ ও তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন এখনো লাইনের ওপর পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাঙ্গাইল কম্পিউটারের ইঞ্জিন ও তেলবাহী ওয়াগান সরানো গেলেই শুরু হবে লাইন মেরামতের কাজ।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল থেকে একটি কমিউটার ট্রেন ঢাকায় ফিরছিল। পথে জয়দেবপুর জংশনে পৌঁছালে একই লাইনে ঢাকা থেকে আসা দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় বগি। ঘটনাস্থল থেকে দুই লোকোমাস্টারসহ চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে। দুই রেলের ইঞ্জিনসহ ১১টি বগি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
তাপদাহ হাঁসফাঁস করছে মানুষ। স্বস্থি পেতে ব্যাবহার করছে এসি। এসিতে মানুষকে একটু হলে স্বস্তি দিচ্ছে। তবে এই আরামও আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যদি দীর্ঘ সময় এসিতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিন এসিতে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে।
শ্বাসকষ্ট
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা এসিতে থাকার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসি রুমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট বা খুশখুশে কাশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে গলা শুকিয়ে আসা, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহের সমস্যাও হতে পারে এই অভ্যাসের ফলে।
পানি শূন্যতা
গরমের সময় যেকোনোভাবে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এসি থাকলে আপনার শরীর বেশি আর্দ্রতা শোষণ করবে। যে কারণে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়ার ভয় থাকে। তাই এসিতে থাকলেও আপনাকে একটু পর পর পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি।
মাথাব্যথা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। তবে শুধু মাইগ্রেন নয়, সেইসঙ্গে যেকোনো ধরনের মাথাব্যথাই বেড়ে যেতে পারে এই অভ্যাসের কারণে। ঠান্ডাজনিত অসুখের কারণে মাথা ব্যথার প্রকোপও দেখা যায়। তাই এসি রুমে থাকার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন।
ত্বকের সমস্যা
তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে ত্বকের ওপর প্রভাব পড়ে। কারণ এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় ত্বক ফেটে গিয়ে চুলকানি দেখা দিতে পারে। আবার রোদ ও এসির ঠান্ডা এই দুইয়ের মাঝে আমাদের ত্বক অনেক সময় খাপ খাওয়াতে পারে না। যে কারণে ত্বকে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন