ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্যার হাহাকার না কাটতেই আবার…

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ০৫ অগাস্ট, ২০১৭


Thumbnail

ঘরের চালের বেড়ায় ফুটো, ফুটো টিনের চালেও। এই দিয়ে গড়িয়ে পড়া টিপটিপ পানি এখনো চিহ্ন বহন করে বন্যার বিভীষিকার। বন্যায় অবর্ণনীয় কষ্টের শিকার হন সাবের উদ্দিনের ৬ সদস্যের পরিবার। সিলিটের মৌলভীবাজারে বসবাস সাবের। একটা টিনের ঘর ছাড়া জমি জমা বলতে তেমন কিছু নেই তার। বন্যার পানিতে সেই শেষ সম্বলটুকুও হাড়িয়ে সাবের সপরিবারে আশ্রয় নেয় উঁচু সড়কে। এরপর একটু একটু করে পানি কমে যায়, বেড়ে যায় বিভিন্ন জটিল রোগ বালাইয়ের প্রকোপ। তারপরও যুদ্ধ করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পানি কমে আসায় ধীরে ধীরে যখন বাড়ি ফিরে সব ঠিক করতে শুরু করলেন তখনই জানতে পারলেন সামনেই আরেক বন্যার পদধ্বনি। এক বন্যার ধকল কাটাতে না কাটাতেই আরেকটি বন্যা। সাবের কোনো কুলকিনারা পান না কী করবেন। কীভাবে রক্ষা করবেন পরিবার।

এ রকম হাজারো সাবের এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলের জনগণ। এই এক বন্যার ধকল সামলে না উঠতেই আরেক বন্যার আশঙ্কা সাধারণ মানুষসহ দিশেহারা করে দিয়েছে সরকারকেও।

সম্প্রতি বন্যায় মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে। ওই ঘরবাড়ি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বসবাসের উপায় নেই। ঘরবাড়ির সঙ্গে সঙ্গে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও। ভেঙে গেছে সেতু, কালভার্ট। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যাকবলিত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পৌঁছাতে পারছেন না মেডিকেল টিম। ঠিক মত পৌছতে পারছে না ত্রাণ। অনেক এলাকার মানুষ এখনও ত্রানের দেখা পায় নি, আবার অনেকে পেয়ে থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ নিয়ে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা নিয়ে কোনো তথ্যই দিচ্ছে না দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে হাজার হাজার বানভাসী মানুষ।

বন্যার পর নদী ভাঙ্গনের ফলে আরও দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে বানভাসী এসব মানুষের জীবন। বন্যার মতো সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য নদীতে বাঁধ নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া হলেও এই পর্যন্ত এই কৌশল খুব কার্যকর হয়নি। ফলে বাঁধের দু’পাশে বৃষ্টির পানি জমে তীরবর্তী মানুষের কষ্ট ও ক্ষতি আরও বাড়িয়েছে। নদীর পানি উচ্চতা বৃদ্ধি হওয়ায় বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।

এদিকে, বাংলাদেশের উজানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বৃষ্টিজনিত বন্যার পানি নেমে ভাটির জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ফলে থামছে না গৃহহারা ও বানভাসী মানুষের কান্না। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে ভাটির জনপদ।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হতে পারে। একই সঙ্গে রাজধানীর চারপাশের নদীর পানিও বাড়তে পারে। এতে রাজধানীর নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, দক্ষিণ এশিয়ার পাহাড় বিষয়ক সংস্থা ইসিমুড এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মিলিতভাবে এই পূর্বাভাস দিয়েছে।

সাধারণত ভাটির এ দেশে বন্যা হয় আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তবে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এবার আগাম বন্যা হয়েছে। আগাম এই বন্যায় ত্রাণসহ নানা বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা থাকার পাশাপাশি এর পরবর্তী পুনর্বাসন ব্যবস্থা নিয়েও অনেকে অসামাঞ্জস্যতা সৃষ্টি হয়। এসবের মাঝে আসন্ন এই বন্যা মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে, আগস্ট মাসে আমন ধানের বোরো রোপনের সময়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার টন। কিন্তু এর মধ্যে ছয় জেলার হাওরের দুই লাখ হেক্টরের বেশি জমির বোরো ধান ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার জমি থেকে এবার এক ছটাক ধানও পাওয়া যাবে না। ফলে বেরে যাবে দ্রব্যমূল্য, খাদ্য সংকটে পড়বে দেশ। চালের দাম এখনো কমেনি। আমদানিকৃত খাদ্যের মজুদও প্রায় শেষ, এমন অবস্থায় এই দ্বিতীয় বন্যা মোকাবেলায় সরকার অপ্রস্তুতই বলা যায়। সুতরাং আগামী বন্যায় বড় ধরের বিপর্যয় ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রতিনিয়তই অপ্রতুল ত্রাণ, পুনর্বাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠছেই। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকলে এমন হওয়াই স্বাভাবিক, বন্যায় অন্যান্য বছরগুলোতেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে বন্যাকবলিত মানুষদের। ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন যে প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাপ্তাইয়ে বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের ‍সুইচ ইয়ার্ডে আগুন

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (৫ মে) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।


বিদ্যুতের সাব-স্টেশন   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা সেনানিবাসে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির (এএফআইপি) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধন শেষে প্যাথলজি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনা প্রাঙ্গণ’ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।

 

বিস্তারিত আসছে....


এএফআইপি   প্রধানমন্ত্রী   সেনানিবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ

প্রকাশ: ০৯:৫২ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। আজ রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচি শুরু করবেন।

জানা গেছে, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা বাংলাদেশে আসবেন। আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম।

এ ছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। অ্যামি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।

এর আগে তি‌নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।


আইওএম   অ্যামি পোপ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনে আগুন, ভয়াবহ রূপে ছড়িয়েছে ৩ কিলোমিটার জুড়ে

প্রকাশ: ১১:০৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সন্ধ্যায় পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেনি।

খবর পেয়ে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারেক সুলতান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে বনরক্ষী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন দেখতে পায়। এ সময় বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে পানি অনেক দূরে হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত ফায়ার ইউনিটগুলো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে লাইন স্থাপনের কাজ করছে তারা। সকালে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারে বলে ঈঙ্গিত দেন এ বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবন বিভাগের বিটিআরটির সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করছে। বিটিআরটি সদস্যরা জানান, তারা পানির অভাবে আগুন নেভাতে পারছে না। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত কাজ শুরু করতে না পারলে তীব্র দাবদাহের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়েছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পরে শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ মোট ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। এখন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। লাইন স্থাপন শেষে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে।


সুন্দরবন   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের এখন বাড়বাড়ন্ত। আমলারাই যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছেন। তারাই যেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। এরকম একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতিবিদদেরকে ব্যাকসিটে দিয়ে আমলারাই যেন এখন রাষ্ট্র পরিচালনার ড্রাইভিং সিটে। আর এরকম পরিস্থিতিতে আমলারা এখন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছেন। তাদের বিচার করা যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। আমলারা যৌন নির্যাতন, নারী কেলেঙ্কারি এবং ফৌজদারি অপরাধ করলেও শুধুমাত্র ইনক্রিমেন্ট বন্ধের মত লঘু শাস্তি পাচ্ছেন এবং সেই লঘু শাস্তিগুলো পরবর্তীতে ক্ষমা করা হচ্ছে।

আমলাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা আয়-ব্যয়ের হিসাবও এখন পর্যন্ত দাখিল করছেন না। অর্থাৎ সরকারি কোনও আইন, নীতি, নিয়ম কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না বাংলাদেশের আমলারা। এর মধ্যে আমলারা নতুন বায়না ধরেছেন। তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ে যে সমস্ত শীর্ষ আমলারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগেরই সন্তানরা উচ্চশিক্ষা নেন বিদেশে। তারা শিক্ষাজীবনে একটি পর্যায়ের পর তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদেশে পাঠান। দেখা যাচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলোতে সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের শতাধিক আমলার সন্তানরা পড়াশোনা করে এবং এদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই বৃত্তি পান। বাকিদের ব্যয়ভার বহন করেন আমলারাই। এই বিপুল ব্যয় বহনের অর্থ আমলারা কোথায় থেকে পান সেটি যেমন একটি প্রশ্ন, তেমনই আমলাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর প্রবণতা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাদের অনাস্থারই প্রতিফলন।

সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই মনোভাবটি আবার নতুন করে দেখা দিল- যখন তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করলেন। প্রশ্ন উঠেছে, আমালাদের বেশিরভাগ সন্তানই যখন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন তখন তাদের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

আরও পড়ুন: জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে সমস্ত আমালাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন, সেই সমস্ত দেশগুলোতে এখন মানি লন্ডারিং এবং আয়ের উৎস একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক আমলার সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে এখন বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, কোথায় থেকে তার টাকা আসছে এবং কোথায় থেকে এই শিক্ষা ব্যয় বহন করা হচ্ছে এটি এখন দেশে দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়া টিউশন ফি’র বাইরে আমলাদের সন্তানদের যে বিলাসবহুল জীবনযাপন সেই বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য টাকা পাঠানো এখন আগের মত আর সহজ নেই। আর এ কারণেই আমলারা মনে করছেন যে, ভবিষ্যতে এই মানি লন্ডারিং এবং অর্থ পাচারের ইস্যুতে তাদের বড় ধরনের সর্বনাশ ঘটতে পারে। আর তাই তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছেন। কিন্তু আমাদের এই দাবি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমলারা কি তাহলে তাদের জন্য সুবিধার সবকিছু নিংড়ে নিতে চান? এই প্রশ্নটি এখন সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে।


সচিবালয়   আমলা   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন