নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
রাজনৈতিক সরকারে একটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান ব্যক্তি হলেন মন্ত্রী। আর সচিব হলেন প্রশাসনিক কেন্দ্র বিন্দু। অন্য অর্থে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসূত্র। একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবের ক্ষমতার ভারসাম্যই মন্ত্রণালয়ের কাজে শৃংখলা আনে, জবাবদিহিতা তৈরি করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মন্ত্রী-সচিবের দ্বন্দ্ব মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিবেশ নষ্ট করে। আবার অনেক সময় মন্ত্রীর একচ্ছত্র কর্তৃত্বে কোণঠাসা হয়ে যান সচিব। মন্ত্রণালয়ের অনেক সিদ্ধান্তই নেয়া হয় সচিবকে অন্ধকারে রেখে। এর উল্টো পিঠও আছে। এখন অনেক মন্ত্রণালয়েই সচিবরা মন্ত্রীর চেয়ে ক্ষমতাবান। ধর্ম মন্ত্রণালয় এখন সচিব দিয়েই চলছে। এরকম আরো কয়েকটি মন্ত্রণালয় আছে যেখানে আমলা বেশ ক্ষমতাবান, কোন কোন ক্ষেত্রে মন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাবান। এ রকম কয়েকজন সচিবকে নিয়ে এই প্রতিবেদন-
শেখ ইউসুফ হারুন
জনপ্রশাসন সচিব সব সময় ক্ষমতাবান। দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর তত্বাবধানে পরিচালিত হতো। গত মেয়াদে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এবারও এই মন্ত্রণালয়ে ফরহাদ হোসেনকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী থাকলেও উর্ধ্বতন পদোন্নতি বদলি ইত্যাদি বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন। অনেক ক্ষেত্রেই সচিব সরাসরি এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেন। জনপ্রশাসন সচিব যেহেতু সব কর্মকর্তাদের খবর রাখেন এ কারণেই বদলি, পদোন্নতি তে তার ভূমিকা বেশি, তার মতামত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অতীতের মতো এখনো জনপ্রশাসন সচিব অত্যন্ত ক্ষমতাবান।
হেলাল উদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশ সরকারে স্থানীয় সরকার বিভাগ সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় গুলোর একটি। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী থাকতেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারন সম্পাদক। গত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী এই রীতি ভাঙ্গেন। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী করা হয়। তখন থেকেই এই মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী-সচিবের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হয়। এই দ্বন্দ্বেই সরে যেতে হয় আবদুল মালেককে। এবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় তাজুল ইসলামকে। গত বছরের ৭ জানুয়ারির মন্ত্রিসভায় এটি ছিলো বড় চমক। এই মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেব আছেন হেলাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের নেতাও। নবীন মন্ত্রী আর নেতা সচিব। তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতার ভারসাম্য সচিবের দিকেই ঝুকে পরেছে।
শহীদুল্লাহ খন্দকার
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন শহীদুল্লাহ খন্দকার। আছেন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে। সেই চুক্তির মেয়াদও বেড়েছে দুবার। স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রণালয়ে তার ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। ৭ জানুয়ারি মন্ত্রী সভায় এই মন্ত্রণালয়ে একজন পূনাঙ্গ মন্ত্রী দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এক রহস্যময় কারণে শ.ম. রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এখন প্রতিমন্ত্রী দিয়েই চলছে গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়। তাই এই মন্ত্রণালয়ে সচিব এখন অনেক ক্ষমতাবান।
আবদুর রউফ তালুকদার
বাংলাদেশে অর্থমন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অলিখিতভাবে অর্থমন্ত্রী সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবেই বিবেচিত হন। তাজউদ্দিন আহমেদ অর্থমন্ত্রী ছিলেন। সাইফুর রহমান, শাহ এম.এস কিবরিয়া এবং আবুল মাল আবদুল মুহিতের মতো মন্ত্রীরা যখন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তখন সচিবদের কেউ চিনতেন না। মন্ত্রীরাই অর্থ মন্ত্রণালয় আলোকিত করে রাখতেন। কিন্তু এবার আ.হ.ম মোস্তফা কামালকে অর্থমন্ত্রী করার পর দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ক্রমশঃ ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছেন সচিব আবদুর রউফ তালুকদার। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে তার কাজ দিয়েই তিনি ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছেন।
কবির বিন আনোয়ার
পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী দু’জন। কিন্তু কেউই পূর্ণ মন্ত্রী নন। একজন প্রতিমন্ত্রী এবং একজন উপমন্ত্রী। সচিব কবির বিন আনোয়ার ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। দুই মন্ত্রীই তার বয়সে এবং রাজনীতিতে জুনিয়র। তাই কবির বিন আনোয়ারের ‘ক্ষমতাবান’ হয়ে ওঠা অনেকটা সংক্রিয় পদ্ধতির মতো।
এ রকম অনেক ক্ষমতাবান সচিব আছেন। যারা সরকারের নীতি নির্ধারণে মন্ত্রীর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তবে সচিবদের ক্ষমতাবান হয়ে ওঠা গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক না নেতিবাচক, সে এক বিতর্ক।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার
(১ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে
গত ১৫ এপ্রিল এই অধিবেশন আহ্বান করেন।
অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক
হবে।
বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে
আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী
মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।
ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ
করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোক প্রস্তাব গৃহীত
হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে। চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাবের
ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের
প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।
মন্তব্য করুন
চলতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি
কমছে, তা জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
করা হবে।
গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)
সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত মে (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি
অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো
হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে
১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮
টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে
২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
একইসঙ্গে এপ্রিল মাসে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছিল বিইআরসি। এপ্রিল
মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ
করা করেছিল সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার
৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ
করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
মন্তব্য করুন
রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় আপাতত রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া
ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময়
কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর
২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই
রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে
দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত
ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।
মন্তব্য করুন
নিজের বাবাকে পেটানোর পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকায় চলে আসেন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান বহুল আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার।
ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে চাকরি শুরু করেন। তবে ফার্মেসি থেকে ওষুধ চুরি করায়
তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বুধবার (০১ মে) তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন
অর রশীদ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পিটানোয় এলাকাবাসী
ধরে তাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন।
ওষুধ চুরি করায় সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কিছু পড়াশোনা করেন। পরে
মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, এরপর তার চিন্তায় আসল তিনি একটা ওল্ড এজ
কেয়ার চালু করবেন। পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামে
একটা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেখানে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসেন। আপনারা দেখেছেন ভিডিও
ভাইরাল হয়েছে সেখানে অপারেশন থিয়েটার আছে। মানুষ সেখানে বিভিন্ন সেবা নেয়। কিন্তু অপারেশন
থিয়েটার থাকতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন, যা তার নেই। এছাড়া তিনি মরদেহ রাতে দাফন করেন
এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ডেড সার্টিফিকেট দেন, যা তিনি স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করব। লাশগুলো রাতে দাফন করেছেন কেন, ডেড সার্টিফিকেট নিজে কেন তৈরি করেন। এছাড়া তার
প্রতিষ্ঠানে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের তিনি টর্চারসেলে নিয়ে পিটিয়েছেন। এগুলো জিজ্ঞাসাবাদ
করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দাঁড়িয়ে
মেয়েদের উদ্দেশ্যে ইশারা ইঙ্গিত ও অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি করার দায়ে মো. জাকির হোসেন (২৭)
নামে এক যুবককে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও
মুশফিকুল আলম হালিম।
জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর
ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় জিয়া পুকুর বিনোদন কেন্দ্রের
পাহারাদার।
এর আগে, বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে
ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুল
হালিম।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী
নিবাসে থাকা ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরে নানানভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন জাকির। পরে
ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করেন। পরে
পুলিশ এসে বুধবার বিকেলে জাকির হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে।
জাকির হোসেন দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা
অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডা দেন। তৎক্ষনাৎ জাকির হোসেন ১ হাজার টাকা পরিশোধ করলে
আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ মো. আতাউল খান বলেন, আমাদের
কলেজের ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করেন। সেটি
প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে
গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন
আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
ছাত্রীনিবাস অশ্লীল ভিডিও কারাদণ্ড
মন্তব্য করুন