নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২০
সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের শীর্ষ সংগঠন পাবলিক সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশন এক নজিরবিহীন কাজ করেছে। তারা সভা করে একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিচার দাবি করেছে। একজন সংসদ সদস্য যদি কোন অন্যায় করেন আইনের লঙ্ঘন করেন তাহলে আইনের স্বাভাবিক গতিতে তার বিচার হবে । ঘটা করে আমলাদের সংগঠন তার বিচার দাবি করাটা কতটুক শিষ্টাচার সম্মত এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। যে এমপি একজন আমলাকে হুমকি ধামকি গালাগালি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেটি নিঃসন্ধেহে অন্যায় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। কিন্তু সেটার জবাব দিতে গিয়ে ফরিদপুরে স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা জড় হয়ে প্রতিবাদ করা, ঢাকায় সভা করে সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বিচার দাবি করাটা কতটুকু রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুসরণ করা হয়েছে সে প্রশ্ন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং প্রশাসনিক অঙ্গনে নানারকম আলোচনা হচ্ছে। নিশ্চয়ই নিক্সন চৌধুরী যে কাজটি করেছেন সে কাজটি সঠিক হয়নি। সত্যি সত্যি তিনি যদি এ ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি অন্যায় । এ ব্যাপারে যেহেতু এখন মামলা হয়েছে, এটি একটি বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে তিনি মিথ্যা বলেছেন বা কতটুক সত্য বলেছেন সে নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখার অধিকার আমাদের নেই। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বাংলাদেশের আমলারা অনেক অপরাধ করেন। কিন্তু তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান। আমলাদের কোন অপরাধের বিচার হয় না, তাদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশনের দরজায় কড়া নাড়তে হয় না। এমনকি তাদের অপরাধগুলোকে আস্তে আস্তে পরিকল্পিতভাবে আড়াল করা হয়। আমরা শুধু এই সরকারের আমলে নয়, স্বাধীনতার পর থেকে দেখেছি আমলারাযেন সবকিছু থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং তাদেরযেন সাতখুন মাফ।
আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই আমরা দেখব যে, বঙ্গবন্ধুর আমলে যারা আমলা ছিলেন, যারা ছোড়ি ঘুরিয়েছিলেন, এমনকি যারা প্রধান আমলা ছিলেন তাদেরই একজন ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর খুনি মোস্তাককে শপথ পাঠ করিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের বদৌলতে আমলারাই ক্ষমতাবান হয়েছিলেন। আবার এরশাদের আমলে এই আমলারাই সরকারের মুলশক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। এমকে আনোয়ার এবং কেরামত আলীর উদাহরণটা বাংলাদেশ আমলাতন্ত্রের ডিগবাজির একটি ভালো উদাহরণ হিসেবে সব সময় উল্লেখ করার মতো। এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলী দুজনেই ছিলেন এরশাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সচিবদের অন্যতম। কেরামত আলী ছিলেন এরশাদের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, তিনি অন্যান্য মন্ত্রীদের কেও নিয়ন্ত্রণ করতেন। এরশাদের পতনের পর এই দুই আমলাই ছুটে গিয়েছিলেন ৩২ নম্বরে। কিন্তু শেখ হাসিনা এরশাদের বিশ্বস্ত আমলাদের তার দলে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর তারা ছুটে যান বিএনপিতে এবং চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পান।
নাটকীয় ভাবে বিএনপি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয় এবং ওই বিজয়ের পর দেখা যায় এই দুইজনই আমলা থেকে পদোন্নতি পেয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার আমলেও আমরা দেখেছি যে ডাকসাইডে আমলারা রাজনীতি কে নিয়ন্ত্রন করেছেন। কিন্তু সে সমস্ত আমলারা বিচারের ঊর্ধ্বে থেকে গেছেন। ডঃ কামাল সিদ্দিকী বেগম জিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী আমলাদের একজন ছিলেন। কিন্তু কামাল সিদ্দিকী এখন বহাল তবিয়তে বিদেশে শিক্ষকতা করছেন। আর বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ আমলা ছাবিহ উদ্দিনের কোন বিচার হয়েছে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের আমলে উপরমহল থেকে শুরু করে নিচের আমলাদের অনেক অপকর্ম দুর্নীতি এবং অনিয়মের কোন বিচার হয়নি। সর্বশেষ উদাহরণ দেয়া যায় রিজেন্ট হাসপাতাল এর যে কেলেঙ্কারি ঘটে গেল। প্রতারক শাহেদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যখন চুক্তি করলো করোনার চিকিৎসার জন্য, যখন শাহেদকে ধরা হলো তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে জানতে চাওয়া হলো তারা কি ভাবে চুক্তি করেছে? স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তৎকালীন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বললেন, তৎকালীন সচিব আসাদুল ইসলাম এর মৌখিক টেলিফোনের নির্দেশে তিনি এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। প্রতারক শাহেদের বিচার হচ্ছে কিন্তু যেই সচিবের নির্দেশে এটি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে সে সচিব এর ব্যাপারে তদন্ত কতটুকু এগিয়েছে? সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য খাতে করোনা কালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিভাগে যে দুর্নীতি অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর দায়ভার তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলামেরও, কিন্তু তার কিছুই হয়নি। বরং তিনি পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সচিব হয়েছেন।
বাংলাদেশে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দুর্দান্ত প্রতাপশালী আমলারা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট জালিয়াতি করেছিলেন। এই জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন জনপ্রশাসনকে এদের চাকুরীচুত্য করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। সেই সুপারিশে কয়েকজন আমলা পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু জালিয়াতির অভিযোগে তাদের বিচার হয়েছে কি? আমরা দেখি যে জামালপুরের জেলা প্রশাসক যেভাবে ন্যক্কারজনক কান্ড করেছেন তার বিরুদ্ধে কি কোনো নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে? কিংবা কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক যেভাবে রাতের অন্ধকারে সাংবাদিককে পিটিয়েছেন সেটি কি ফৌজধারী কার্যবিধিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়? আমলাদের কাজে যেমন হস্তক্ষেপ করা উচিত না, জনপ্রতিনিধিরা যেমন আমলাদেরকে যখন তখন গালমন্দ করতে পারেন না ঠিক তেমনি ভাবে আমলাদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার। সাম্প্রতিক সময়ে একটি আইন হয়েছে যে, কোনো আমলাকে সরকারের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার করা যাবে না। এর ফলে আমলাতন্ত্রের মধ্যে একটি বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে । যার কারণে আমলাদের যে কেউ কেউ এক ধরনের নতুন দৌরাত্ম্য এবং অনিয়ম করার আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন। আর এ প্রেক্ষিতে আমলাদের জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে। আমলারা যদি জবাবদিহিতার বাইরে থাকে তাহলে সুশাসন সুদূরপরাহত হতে বাধ্য।
মন্তব্য করুন
তীব্র দাবদাহে অসহনীয় গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কখনও তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। এই গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন পার করছে জনগণ। নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে জীবনব্যবস্থা। এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবংকি চলতি মে মাসেও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।
দেশের তাপমাত্রায় যখন এমন দূর্বিসহ দিন যাচ্ছে তখন বসে নেই সরকার।
জনগণকে এই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে সরকার নিচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ, করছে কার্যকর।
শুধু সরকারের পদক্ষেপেই কি মিলবে স্বস্তি নাকি দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে দাবদাহ
মোকাবিলা নিতে হবে নানান ব্যবস্থা। দেশপ্রেমের স্থান থেকেও সরকারকে সহযোগিতা করে তীব্রগরমেও
আনতে হবে স্বস্তি।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পানি ছিটানো হচ্ছে
ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকে থাকা গাছপালাতেও। তপ্ত গরমের মধ্যেও যারা জীবিকার তাগিদে ঘরের
বাইরে বের হচ্ছেন তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যেগ নেওয়া হয়ে।
বসে নেই আবহওয়া অধদপ্তরও। স্বস্তিবোধের খবর দিতে কাজ করে যাচ্ছে
অনায়েসে। ক্রমাগত ভাবে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে খবর দিয়ে যাচ্ছে দেশবাসিকে।
দফায় দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করে জনগণকে সচেতন করছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রনালয় তৎপরতার সহিত তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করছে। শিক্ষার্থীদের কল্যানে যাতে করে এই তাপপ্রবাহ
শিক্ষাখাতে কোন প্রভাব না আনতে পারে সে জন্য নিচ্ছেন নানান ব্যবস্থা।
তবে কি শুধু সরকার এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলেই মিলবে গরমের স্বস্তি?
নাকি জনগেণেরও নিজেরা উদ্যেগ গ্রহন করে সামাজি ও পারিবারিকভাবে সচেতন হওয়া উচিৎ?
বসতবাড়িতে তীব্র তাপপ্রবাহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যক্তিগত
এয়ার কন্ডিশনার, ফ্যান, বা অন্যান্য কুলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের নকশা
যত্ন যাথে করে তাপমাত্রা কমানো যায়। যা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। অতিরিক্ত গরমে দেহ
থেকে পানি হারিয়ে যায়। তাপমাত্রা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
এতে করে পানিশূণ্যতাযনিত রোগ থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যাবে তেমনি গরমে কিছুটা স্বস্তি
পেতে পারে। শুধু পানি পান করা নয় , তীব্র গরমে জীবন চলার পথে উষ্ণতাও বন্ধ করা উচিত।
অতিরিক্ত গরমে সারি, জামা, ও অন্যান্য সংগ্রহশালা এবং কুলিং বাস্ত্র পরিহার করা উচিত
যাতে দেহ ঠাণ্ডা রাখা জরুরী।
আর এতে করে মিলতে পারে ব্যক্তিগত স্বস্তি। যা নিজের অবস্থান সুস্থ্যতাকে
ভালো ফলশ্রুত দিতে পারে। দাবদাহে চলার পথে শুষ্ক এবং শীতল স্থানে সময় ব্যয় করা উচিত।
যেমন বাড়ির ভিতর থাকা, জলস্থল বা বারি পর্যবেক্ষণ করা। গাছের ছায়ার নিচে থাকা। এক
কথায় শরীরের জন্য যত্ন নেওয়া জরুরি যেন হার্মনিক হয়। এটি উষ্ণতা রেগুলেশন, উষ্ণতা
ব্যবহার এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করে। সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে। চলমান
দাবদাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জণগনের কল্যানে বিভিন্নভাবে সতর্ক করছে। এমনকি স্বাস্থ্য
মন্ত্রী নিজেই গ্রামীন পরিবেশে গিয়ে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে।
এই তীব্র গরমের মধ্যেও বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল গ্রামে ঘুরে হাসপাতালগুলোর সার্বিক অবস্থা ও জণগনের স্বাস্থ সংক্রান্ত বিষয়ে খবর নিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।
এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্ত দিয়েছে ৪ নির্দেশনা..
১। তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
২। প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
৩। গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
৪। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শের জন্য প্রয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে
যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও, সরকারের সকল নির্দেশ মেনে চলা এবং নির্দেশাবলী মানতে সমাজ
ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব স্থান থেকে একে অপরে পাশে থেকে সহযোগিতা করা উচিৎ। কেননা প্রতিটি
সামাজ দেশ ও জাতির প্রতিটি মানুষই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিটি জনগণকে
সচেতন হয়ে দাবদাহ মোকাবিলা করতে হবে।
তীব্র তাপপ্রবাহ ডিএনসিসি জনসচেতনতা আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তীব্র দাবদাহে অসহনীয় গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কখনও তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। এই গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন পার করছে জনগণ। নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে জীবনব্যবস্থা। এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবংকি চলতি মে মাসেও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস। দেশের তাপমাত্রায় যখন এমন দূর্বিসহ দিন যাচ্ছে তখন বসে নেই সরকার। জনগণকে এই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে সরকার নিচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ, করছে কার্যকর।
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।