ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ফেইসবুক লাইভে এসে ভান্ডারীকে একহাত নিলেন নদভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

 

এবার সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে হেফাজতে ইসলামের ‘আমির’ হওয়ার পরামর্শ দিলেন সাংসদ অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। এর আগে রোববার (২৫ অক্টোবর) নজিবুল বশর হেফাজতের আমির হিসেবে বর্তমান মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর নাম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই প্রস্তাবেরই পাল্টা হিসেবে নদভীর এই ফেসবুক লাইভে আসা— এমনটি মনে করছেন অনেকে।

রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে উদ্দেশ্য করে সাংসদ নদভী বলেন, ‘আমাদের কওমীদের সাথে যদি আপনি বেশি মহব্বত (ভালোবাসা) রাখেন, তাহলে আপনি হেফাজতের আমির হয়ে গেলে বেশি ভালো হবে। আমিরে হেফাজত, আল্লামা আহমদ শফী সাহেব মারা গেছেন। (এখন) আপনি আমিরে হেফাজত হয়ে গেলে বেশি ভালো হবে।’

মাইজভান্ডারীকে উদ্দেশ্য করে নদভী বলেন, ‘আমাকে নিয়ে এসব বলার কোনো গুরুত্ব নেই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি ডাইরেক্ট। আমি নৌকার এমপি। আপনি নৌকার এমপি না। আপনি তরিকত ফেডারেশন। আমি নৌকার এমপি, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি। আমাকে আপনি কী বলবেন? আমাকে এগুলো বলে লাভ কী? আপনি আল্লামা আহমদ শফী সাহেবকে সংসদে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেছেন এবং চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন বাহাস করবেন’।

অশালীন গালি দেওয়া নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফীকে গালি দেওয়া মানে মওলানা হোছাইন আহমদ মাদানীকে গালি দেওয়া। আপনাদের এটা জানা দরকার, ভারতবর্ষকে ইংরেজ থেকে মুক্ত করার জন্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন মুসলমানরা। মুসলমানদের মধ্যে সব থেকে বেশি ভূমিকা রেখেছেন আলেম ওলামারা। ওসব আলেম ওলামা কারা? আকায়েদে দেওবন্দ (দেওবন্দের অনুসারীরা), মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি, মাওলানা রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি, মাহমুদুল হাসান দেওবন্দি, হোছাইন আহমদ মাদানী— ইনাদের নেতৃত্বে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে। উনাদের ব্যাপারে কথা বলা, উনাদের সমালোচনা করাটা কাম্য নয়। আল্লামা আহমদ শফীকে গালি দেওয়া মানে মওলানা হোছাইন আহমদ মাদানীকে গালি দেওয়া।’

এলাকার কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বেশ কয়েকবার ৫০ হাজার ডলারের চেক এবং বিদেশী মেহমান নিয়ে একাধিকবার গিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন সাংসদ নদভী। মাদ্রাসাগুলোতে বিদেশী সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে সাংসদ নদভী চিঠি দিয়ে আবার বিদেশি সাহায্য চালু করেছেন— এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এসব মাদ্রাসার সাথে আমার সম্পর্ক এভাবে হয়েছে।’ এসব মাদ্রাসায় তাফসীর, সুন্নাহ, ফিকাহ, ইসলামের ইতিহাস ও আদবে আরবীর উপর লেকচার দেওয়ার কথাও উল্লেখ করে তিনি।

সাংসদ ভান্ডারীকে উদ্দেশ্য করে নদভী বলেন, ‘দেওবন্দ তরিকার আলেমরা নিজেরাই শুদ্ধ, নেককার, আল্লাহওয়ালা। তাদের মূল্যায়ন বা সত্যায়িত বা সার্টিফাই করতে অন্য মানুষ দরকার নেই। আপনার মতো ব্যক্তির বলার দরকার নেই যে দেওবন্দ তরিকার অমুক অনেক বড়, অনেক বড়’।

ফেসবুক লাইভের শেষ দিকে তিনি দেওবন্দের অনুসারী আলেমদেরকে সহিহ আকিদায় অটল থাকার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি, দেশব্যাপী ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ: হাইকমিশনার

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেছেন, ‌ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে, বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এ আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। 

শনিবার (০৪ মে) হাইকমিশনার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালকম-লীর সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, ওমর মুক্তাদির, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ক্লারেন্স চং, সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ’র লিম উই চিয়াং, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির।

 


সিঙ্গাপুর   হাইকমিশনার   ডেরেক লো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর তাই আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ৩ দিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই ৩ দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন। এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

যে সমস্ত মন্ত্রীরা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন-

১. শিক্ষামন্ত্রী: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন। বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী: গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ একদিকে যেমন নানারকম চাপে আছে তেমনি নানারকম সঙ্কট ক্রমশ দানা বেধে উঠছে। তবে আওয়ামী লীগের সামনে কোন রাজনৈতিক সংকট নেই, আন্তর্জাতিক চাপও নেই। বরং জনজীবনের নানা কষ্ট এবং দুর্ভোগ আওয়ামী লীগ সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলেছে। জনজীবনে বিভিন্ন অস্বস্তি মোকাবেলা করা আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে জনজীবনে যেসমস্ত ইস্যুতে অস্বস্তি বাড়ছে তার মধ্যে রয়েছে..

দ্রব্যমূল্য: দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত অসহনীয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে এবং এটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইতিমধ্যেই চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি এখন রীতিমতো ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারী আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

আরও পড়ুন:  ভর্তুকির চাপ সামলাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম

বিদ্যুৎ সংকট: তীব্র দাবদাহে বিদ্যুৎ সংকট জনজীবনের জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে এখন লোড শেডিং আস্তে আস্তে বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করতে না পারলে সরকারের জন্য একটি জনঅসন্তোষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং বন্ধ নিয়েও জনগণের মধ্যে অস্বস্তি তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র দাবদাহে খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান অভিভাবকরা মেনে নিতে পারছেন না। এবং তারা এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম সামনের দিনগুলোতে কোন পথে যায় সেনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানারকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, হুমকিতে প্রজন্ম

কিশোর গ্যাং: গত কয়েক মাসে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ব একটি জন অশান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় নানারকম কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার, তাদের নানারকম অপরাধ সাধারণ মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে যে, দ্রুত এ সমস্ত কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং এ ব্যবস্থা যদি গ্রহণ না করা হয় সেটিও এক ধরনের জনঅশান্তির কারণ সৃষ্টি করবে বলেই সাধারণ মানুষ মনে করছেন। কারো কারো ধারণা এইসব কিশোর গ্যাংয়ের সাথে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অপরাধী অপরাধীই। সে যে দলই করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে তৎপর। তবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কোন দৃশ্যমান শক্ত অবস্থান সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি বলেও অনেকে মনে করছেন। না হলে এ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।

আরও পড়ুন: কমলাপুরে এখনও আসেনি ভোরের ট্রেন, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

দুর্ঘটনা: সড়ক এবং রেল দুর্ঘটনা জনজীবনে অস্বস্তির আরো বড় একটি কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত নানারকম দুর্ঘটনায় জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারেও সরকারকে একটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন।  


আওয়ামী লীগ   বিদ্যুৎ সংকট   সড়ক দুর্ঘটনা   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান   দ্রব্যমূল্য   কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উত্তপ্ত শহরে নারীদের বাসযোগ্য করে তুলতে কাজ করছি: হিট অফিসার

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের জীবনকে সহনীয় করে তুলতে তাপপ্রবাহ কমিয়ে আনার জন্য বেশকিছু সমাধান নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাসের ছাদে পানীয় জল সরবরাহ, নারীরা যাতে স্বস্তি ও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নারীবান্ধব শৌচাগারের ব্যবস্থাসহ বেশকিছু বিষয়ে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভার প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেওয়া আফরিন বলেন, গরমের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং ঢাকার জন্য টেকসই ও শীতল ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য এটি তাদের যাত্রার কেবল শুরু।

তিনি বলেন, ২০২৩ সাল ছিল স্মরণকালের উষ্ণতম বছর এবং গত মাসে ঢাকায় তাপপ্রবাহ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দীর্ঘ ও তীব্র ছিল। গরমে দমবন্ধ হয়ে আসছিল, আক্ষরিক অর্থেই এত গরম ছিল যে মানুষ শ্বাস নিতে পারছিল না।

তিনি আরও বলেন, চিফ হিট অফিসার হিসেবে আমি অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা বসতিতে বসবাসকারী নারীদের ওপর এই তাপমাত্রার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেছি। গরমের কারণে সম্প্রতি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাজের পাশাপাশি শিশুদের পরিচর্যার বিষয়ে কাজ করা হয়েছে, যা তাদের জন্য কখনো করা হয়নি। এমন একটি শহরে তাদের আরও প্রান্তিক করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সেই শূন্যস্থানটি পূরণ করার দিকে আমাদের নজর; যা আমাদের উত্তপ্ত শহরকে নারীদের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। তাপপ্রবাহের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী এবং যেসব ঝুঁকি মোকাবিলা করেছে, তারা চিহ্নিত করেছে।

সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আর্শট-রক সামাজিক উদ্যোক্তা বুশরা আফরিনকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার (আর্শট-রক) ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মানুষের কাছে স্থিতিশীল সমাধান নিয়ে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে।


হিট অফিসার   এডিবি   অফিসার বুশরা আফরিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন