ইনসাইড বাংলাদেশ

জোর চেষ্টা আওয়ামী লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ১৭ অগাস্ট, ২০১৭


Thumbnail

বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২ লাখেরও বেশি ভোটের রেকর্ড করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলা হয়ে থাকে, ওই আসন থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা প্রার্থী হতে তেমন আগ্রহী হন না।

এত ব্যাবধান সামনে রেখে হাল ছেড়ে দেয়নি ক্ষমতাসীন দলও। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বগুড়ার উন্নয়নে নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এমনকি দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ মাসের ব্যবধানে দু`বার বগুড়া সফর করেছেন। বগুড়ার উন্নয়নের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন বলে সাধারণ মানুষকে তিনি আশ্বস্তও করেছেন। আওয়ামী লীগ মনে করছে, বগুড়ার মানুষ এখন তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো এখানেও গুঞ্জন চলছে, কোন দল থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন কে? তবে এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থী খালেদা জিয়াই হচ্ছেন বলে অন্যদের তেমন দৌঁড়-ঝাঁপ নেই। আর এদিকে থেমে নেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে মূলত তৎপরতা চালাচ্ছেন জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিন এবং সহসভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টুর নাম।

অবশ্য কোনো কারণে খালেদা জিয়া প্রার্থী না হলে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম মনোনয়ন চাইতে পারেন বলেও জানা গেছে। আর বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম ওমর নিজ দল জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন আশা করেন।

জানতে চাইলে বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, দল থেকে এখনো সবুজ সংকেত পাইনি। তবে যাঁরা বর্তমান সংসদ সদস্য, তাঁরাতো আশা করছেনই যে মনোনয়ন পাবেন। জাতীয় পার্টির (জাপা) বর্তমান সংসদ সদস্যদেরই দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই আসন থেকে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মূলত গাবতলী আসনের প্রার্থী। কারণ ওখানেই জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান। সদর (বগুড়া-৬) আসন থেকে তিনি বারবার নির্বাচিত হলে একবার বাদে প্রতিবারই ছেড়ে দিয়ে এখানে উপ-নির্বাচন দিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য বলেন, এখানে বিএনপির ভোট কমেছে অনেক। কারণ খালেদা জিয়া এখানকার সংসদ সদস্য থাকলেও এলাকার সাধারণ মানুষ বা দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে নেতা হিসেবে কাছে পান না। আসনটি চালায় অন্য কোন নেতা। আবার উপ-নির্বাচনের মাধ্যমেও বাহির থেকে অতিথি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দাবি করেন, সব মিলে এবার স্থানীয় লোক হিসেবে তাঁকে সংসদ সদস্য হিসেবে পেয়ে সাধারণ মানুষ খুশী এবং এই ধারা তাঁরা অব্যাহত চান। তাছাড়া এখানে তাঁর সময়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংসদ সদস্যের মতে, বিএনপির এক ভোট কমলে তাঁদের দুই ভোট বাড়ে। কারণ বিএনপি ও জাতীয় পার্টি জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করে। সে কারণে বিএনপি ছেড়ে আসা ভোটার কাছাকাছি আদর্শের দল হিসেবে জাতীয় পার্টিতে যুক্ত হয়। অনেক দিন পর স্থানীয় কাউকে সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়ার কারণে এই ভোটাররা তাঁর সঙ্গেই যুক্ত হচ্ছেন। সে কারণে দল থেকে তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, শেষ পর্যন্ত যদি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ নির্বাচন করে, তাহলেও আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া উচিত হবে বলে মত তাঁর।

বগুড়া জেলার মোট সাতটি আসনের মধ্যে সদর আসনটি (বগুড়া-৬) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রধান কারণ খালেদা জিয়া পরপর তিনটি নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বলা হচ্ছে, সাইফুল ইসলামকে এর আগে বগুড়া পৌরসভায় মেয়র পদে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তিনি রাজি হননি। সাইফুল ইসলামের অনুসারী নেতাকর্মীদের দাবি, জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার টার্গেট রয়েছে বলেই তিনি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে প্রার্থিতা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি। কৌশলে তিনি বলেছেন, আমরা এই আসনে ম্যাডামকেই (খালেদা জিয়া) চাই। বগুড়ার সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও তাই চান। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে অন্যবারের মতো, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে নানামুখী বিচার-বিশ্লেষণ শুরু করেছেন এবারো। তাঁদের মতে, ভোটে জেতার রাজনীতিতে এই আসনটি আওয়ামী লীগের জন্য বেশ কঠিনই। এ কারণে দায়িত্বশীল নেতাদের অনেকেই এই আসনে নৌকার মাঝি হতে খুব বেশি আগ্রহী নন। তবুও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিন এবং সহসভাপতি বগুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টুর নামই ঘুরেফিরে সামনে আসছে। যদিও মমতাজ উদ্দিন বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই বেশি আগ্রহী বলে জানা গেছে। তিনি জানিয়েছেন, দল তাঁকে যেখান মনোনয়ন দেবে, তিনি সেখানেই নির্বাচন করবেন। এ বিবেচনায় বগুড়া-১ আসনেও নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে তাঁর।

মমতাজ উদ্দিনও মনে করেন, বগুড়ায় ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির সমর্থন আগের তুলনায় অনেক কমেছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এর প্রমানও দেখা গেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

 


বিস্তারিত আসছে...

 


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


সংঘর্ষ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আটকে গেল মামুনুল হকের মুক্তি

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।


কাশিমপুর কারাগার   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন