নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০২০
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সম্প্রতি খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীদের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন। ঐ বৈঠকের মাধ্যমে তিনি সামনে পিয়াজ আলু ছাড়া আদা এবং রসুনের মূল্য বাড়ানোর কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন। এই বৈঠকের পর ধারনা করা হচ্ছে, আদা ও রসুনের দামেও অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। সকলেই বুঝতে পারছেন, সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ এবং আলুর বাজারে অস্থিরতা তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু এই সিন্ডিকেট কারা করছেন, সে সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।
লন্ডনে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য কাজ করছেন বিএনপির তিন নেতা। এরা হলেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস এবং আবদুল আউয়াল মিন্টু। মূলত: খাতুন গঞ্জ, শ্যাম বাজার এবং কারওয়ান বাজারের আড়তদারদের নিয়ন্ত্রন করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে পিয়াজ এবং আলুর দাম বাড়ানো হয়েছে। ২০০১-০৬ সালে ক্ষমতায় ছিলো বিএনপি। এসময় তারেকের বন্ধু প্রথম বাজারে সিন্ডিকেট করে, প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এসময় আড়তদারদের মধ্যে একটা নেটওয়ার্ক তৈরী করেন মামুন। একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, মামুনের করা এই নেটওয়ার্ক এখনও বহাল রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছে, ‘খাতুন গঞ্জ’ নিয়ন্ত্রন করতে পারলে দেশের অর্ধেক বাজার নিয়ন্ত্রন করা যায়। খাতুনগঞ্জে আমীর খসরু মাহমুদের ভালো প্রভাব রয়েছে। এখানকার ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। খাতুন গঞ্জকে ব্যবহার করেই তারেক জিয়া লবন ও চিনির বাজার অস্থির করে তুলেছিলো ২০০৪ সালে। বাজার থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল তারেক-মামুন জুটি।
ঢাকার দুটি বাজার নিয়ন্ত্রন করলে দেশের পুরো বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনা যায় এদুটি হলো শ্যামবাজার এবং কারওয়ান বাজার। এই দুই বাজারে মির্জা আব্বাসের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক আছে। আবদুল আওয়াল মিন্টু, কৃষি নিয়ে কাজ করেন। তার এগ্রো ফার্ম বেসরকারী খাতে শীর্ষ কৃষ্টি প্রতিষ্ঠান গুলোর একটি। আবদুল আওয়াল মিন্টু, বিশ্ব বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে গবেষণা করেন। তিনি জানেন বিশ্বে কখন কোন পণ্যের কি ধরণের উৎপাদন হবে। কোন পন্য ঘাটতি হবে। এই সিন্ডিকেটের মাষ্টার মাইন্ড মিন্টু। আর এভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে সরকারকে ব্যতিব্যস্ত রাখা বিএনপির একটি কৌশল।
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।