ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্যার্তদের আর্তনাদ কে শুনবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৭


Thumbnail

ভারত থেকে ধেয়ে আসছে পানি। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে উত্তরাঞ্চলে। এর মধ্যে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, টঙ্গী খাল, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গার পানি তীব্র বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে ঢাকা ডুবে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ইতিমধ্যে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২৬ জেলা প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাবে ছয় লাখের মত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত আর বেসরকারি হিসাবে তা প্রায় ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু বন্যা কবলিত এসব মানুষের আর্তনাত শুনছে কে?

মুখে বড় বড় কথা বলার মানুষের অভাব নেই এই সমাজে। কিন্তু দুঃসময়ের বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়ানোর মতে মানুষের অভাব সবসময়।আর এর বড় উদাহরণ সম্প্রতি বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর। একের পর এক বন্যার কুলে পড়েছে দেশ, মানুশের হাহাকার আর কান্তা সেষ হতে না হতেই নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। সরকার ত্রাণ দিয়ে কুল পাচ্ছে না। এমন অবস্থায় বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর মত কেউ নেই তবে অপ্রতুল ত্রাণ,সামঞ্জস্যতার অভার বলে সমালোচোনা করার মত মানুষেরও অভাব নেই। বন্যার্তদের সাহা্য্য করার দায়িত্ব কি শুধুই সরকারের?

বলা হচ্ছে, ১৯৯৮ সালের বন্যাকেও অতিক্রম করবে এবারের বন্যার ভয়াবহতা। এ বছর শুরু থেকেই হাওরের আগাম বন্যা, ঈদের আগে পাহাড় ধস, অতি বৃষ্টি আর চলমান বন্যায় তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। যেখানে আগস্টের বন্যা অনেকটা নিষচিত বিষয়। তারপরও পূর্ব প্রস্তুতির আলামত তো নেইই, তাৎক্ষণিক মোকাবেলা করা তো দূরের কথা।

কালো ব্যাচ পড়া শোকদিবস উদযাপনে সবাই ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে বন্যায় মানুষের আর্তনাতের ছেয়ে গেছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো। এ বিষয়ে নজর নেই কারোর। শুধু মাথাব্যথা সরকারের তাই না? বিরোধীদল রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টিই হোক আর অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র কথাই হোক; সবাই সংবাদ সম্মেলন করে। বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকা উচিৎ, এটা করা উচিৎ ওইটা করা উচিৎ কিন্তু উচিৎ আসলে যে কি তাই হয়তো বোঝে না। শোক দিবসে তকমা লাগিয়ে মাইকবাজি, ভোঁজবাজি, চাপাবাজি,তেলবাজিতে যত টাকা অপচয় হয়েছে এই টাকাটা যদি বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ব্যায় করা হতো তাহলে কত মানুষের আর্তনাদ থামানো যেতো একবারও কি ভেবে দেখেছেন কেউ?

আগে ঢকা-ঢল পিটিয়ে বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রান সংগ্রহ করা হত। যে যেভাবে পারে সাহায্যে এগিয়ে আসতো, কিন্তু এখন কারো মাঝে এই তৎপরতাটুকু নেই।

এদিকে, ইস্যু পেলে সরকারের সমালোচনায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি। যেকোনো ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন, বিবৃতি, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভায় সরকারের সমালোচনায় ব্যাস্ত হয়ে ওঠে দলটি। সারাদেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগ করেছে দলটি, তবে নিজের এখন পর্যন্ত কোথাও ত্রাণতৎপরতা চালাতে এগিয়ে আসেনি।

সম্প্রতি, লন্ডনে চোখের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠা বিএনপি চেয়ারপারসন নিজের টুইটারে এক বার্তায় বন্যাদুর্গত মানুষের তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির সঙ্গে বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য দুর্নীতিবাজ সরকারের করুণার আশায় আমরা বসে থাকতে পারি না, আসুন বিএনপি`র নেতাকর্মীরাসহ সবাই এখনি এগিয়ে আসি।’

শুধু তাই ন্য, বন্যা শুরুর পর থেকে বন্যার্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণ দিতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে বলে সমালোচনার ঝড় তোলে বিএনপি। দলটির কেউ কেউ অভিযোগ করেন, সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ত্রাণসামগ্রী লুটপাট করছেন। আবার কেউ বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসার কারণে জনগণের কঠিন দুর্দিনে যথাসময়ে পাশে দাঁড়াচ্ছে না সরকারি দল। বকবাজিই করে গেছে এই দলটি, কিন্তু নিজেরা কেউ এগিয়ে আসছে না।

সবাই মনে করে, বন্যা আসবে, বন্যার্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে, কত মেট্রিক টন সাহায্য আসলো, কত মেট্রিক টন চুরি গেলো হিসাব কষা হবে। এ বছরের বন্যায় কতজন মারা গেলো সাহায্য কে দিলো? কে দিলো না? তা নিয়ে টকশো হবে রমরমা। কিন্তু বন্যা শেষে পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে এসব সুশীল সমাজের আলোচলা। কিন্তু এসব মানুষের পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে, তার কি করে জীবন চলবে তা কেউ ভুলে জানতেও চাইবে না।

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। সেখানে এদেশের বিভিন্ন এনজিও, বিদেশী দাতা সংস্থারা অনেক অনেক কথা বললেও এই বন্যা দুর্গতদের পাশে নেই তাঁরা। তবে সরকারকে খোঁচা দিতে কোন ফাঁক ফোকড় রাখছে না কেউ। সরকার দুর্গত অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণের ব্যাবস্থা করছে তবে তা অপ্রতুল বলে দাবি করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তাহলে তাঁরা নিজেরা কেনও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? এর দায় কি শুধুই সরকারের?

বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন