ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ক্ষমা চাইবে পাকিস্তান?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০


Thumbnail

আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা। বৈঠকটিকে নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বৈঠককে কম গুরুত্বপূর্ণ করার জন্য এবং এ বৈঠকের আকর্ষণ সরিয়ে নেওয়ার জন্য চীন ও পাকিস্তান নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
 
এ গুঞ্জনের সূত্রপাত হয় গত বৃহস্পতিবার। ঐ দিন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার গণভবনে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই সাক্ষাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মনে করছেন যে বাংলাদেশ পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন মেরুকরণ ঘটতে চাইছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একাধিক বাস্তবতা বিবেচনা করে একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন এমন গুঞ্জন কূটনৈতিক অঙ্গনে শোনা যাচ্ছে।

পাকিস্তানের অন্তত দুইটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। জিও নিউজের একটি টকশোতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন যে এখনই পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার সর্বোত্তম সময়। ইমরান খান অনেকগুলো বিষয়ে নমনীয়। সেই নমনীয়তার সূত্র ধরে তিনি হয়তো বাংলাদেশের কাছে বিজয় দিবসের আগে ক্ষমা চাইতে পারেন। তবে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে এই ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে উৎসাহ বেশি চীনের। কারণ বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য ও রাজনৈতিক প্রভাব ক্ষুন্ন করার জন্য চীন যে কৌশল নিয়েছে সেই কৌশলের পাকিস্তান অন্যতম অংশীদার। 

গত এক বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের মেরুকরণ ঘটছে। সম্পর্কের যে টানাপোড়ন সে টানাপোড়েনগুলো কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দুবার টেলিফোন করেছেন। এই টেলিফোনে তারা দু`দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বিজয়ের মাসে পাকিস্তানের হাইকমিশনার যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তখন এই সম্পর্কের নতুন মেরুকরণের মাত্রা পেয়েছে বলেও কূটনৈতিক মহল মনে করেন। এই প্রেক্ষিতে আলোচনায় এসেছে যে, পাকিস্তান কি বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে? বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা হল ১৯৭১।

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ থেকে ডিসেম্বরের বিজয় দিবস পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের যে বর্বরতা ও নিপীড়ন চালিয়েছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এটিকে অনেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ এবং গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু পাকিস্তান তাদের এই অপকর্মের জন্য কখনো ক্ষমা চায়নি। পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশে তারা যে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও ধর্ষণতা করেছে তার জন্য পাকিস্তান যেন ক্ষমা প্রার্থনা করে। এখন একাত্তরে পাকিস্তানের ভূমিকার চেয়েও বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং বাংলাদেশকে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠতার বৃত্ত থেকে সরিয়ে নেওয়াটা পাকিস্তানের জন্য একটি বড় কৌশল।


পাকিস্তান মনে করছে যে যদি এই অমীমাংসিত `ছোট্ট` বিষয়টি যদি সমাধান করা যায় তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব হয়। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। তাছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের কর্তৃত্ব খর্ব করার জন্য চীনের যে চিন্তা এবং নীলনকশা পাকিস্তান ইস্যুতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারণ চীনের কূটনৈতিকরা মনে করেন যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বেশি করে। স্বাভাবিকভাবে ভারতের সঙ্গে তাতে দূরত্ব তৈরি হবে। আর এই বিবেচনা থেকেই চীন শুধু নিজেরাই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী নয় বরং পাকিস্তানকেও বাংলাদেশের সঙ্গে সু-সম্পর্ক করার প্ররোচিত করছে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এ কারণেই সম্পর্কের স্বাভাবিককরনের সবচেয়ে বড় বাধা একাত্তর। তাহলে একাত্তরের ভূমিকার জন্য পাকিস্তান ক্ষমা চাইতে পারে। 

অনেক কূটনৈতিক মনে করছেন যদি ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনে ক্ষমা প্রার্থনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা আসে তাহলে শেখ হাসিনা মোদি বৈঠকের ম্লান হয়ে যাবে বরং এই ক্ষমা প্রার্থনার ইস্যুটি সামনে আসবে। 

গতকাল জিও নিউজের এক আলোচনায় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন যে, পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে তারা ছোট হবে না তারা বরং বড় হবে। এর ফলে সবচেয়ে যারা লাভবান হবে তারা হলো পাকিস্তান। এই ধারায় শেষ পর্যন্ত কি পাকিস্তান আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে? ভারত ঠেকাতে চীন-পাকিস্তান জোট কতটুকু সফল হবে বাংলাদেশে? সে প্রশ্ন উত্তর উত্তরের জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ একদিকে যেমন নানারকম চাপে আছে তেমনি নানারকম সঙ্কট ক্রমশ দানা বেধে উঠছে। তবে আওয়ামী লীগের সামনে কোন রাজনৈতিক সংকট নেই, আন্তর্জাতিক চাপও নেই। বরং জনজীবনের নানা কষ্ট এবং দুর্ভোগ আওয়ামী লীগ সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলেছে। জনজীবনে বিভিন্ন অস্বস্তি মোকাবেলা করা আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে জনজীবনে যেসমস্ত ইস্যুতে অস্বস্তি বাড়ছে তার মধ্যে রয়েছে..

দ্রব্যমূল্য: দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত অসহনীয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে এবং এটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইতিমধ্যেই চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি এখন রীতিমতো ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারী আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

আরও পড়ুন:  ভর্তুকির চাপ সামলাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম

বিদ্যুৎ সংকট: তীব্র দাবদাহে বিদ্যুৎ সংকট জনজীবনের জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে এখন লোড শেডিং আস্তে আস্তে বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করতে না পারলে সরকারের জন্য একটি জনঅসন্তোষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং বন্ধ নিয়েও জনগণের মধ্যে অস্বস্তি তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র দাবদাহে খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান অভিভাবকরা মেনে নিতে পারছেন না। এবং তারা এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম সামনের দিনগুলোতে কোন পথে যায় সেনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানারকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, হুমকিতে প্রজন্ম

কিশোর গ্যাং: গত কয়েক মাসে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ব একটি জন অশান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় নানারকম কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার, তাদের নানারকম অপরাধ সাধারণ মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে যে, দ্রুত এ সমস্ত কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং এ ব্যবস্থা যদি গ্রহণ না করা হয় সেটিও এক ধরনের জনঅশান্তির কারণ সৃষ্টি করবে বলেই সাধারণ মানুষ মনে করছেন। কারো কারো ধারণা এইসব কিশোর গ্যাংয়ের সাথে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অপরাধী অপরাধীই। সে যে দলই করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে তৎপর। তবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কোন দৃশ্যমান শক্ত অবস্থান সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি বলেও অনেকে মনে করছেন। না হলে এ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।

আরও পড়ুন: কমলাপুরে এখনও আসেনি ভোরের ট্রেন, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

দুর্ঘটনা: সড়ক এবং রেল দুর্ঘটনা জনজীবনে অস্বস্তির আরো বড় একটি কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত নানারকম দুর্ঘটনায় জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারেও সরকারকে একটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন।  


আওয়ামী লীগ   বিদ্যুৎ সংকট   সড়ক দুর্ঘটনা   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান   দ্রব্যমূল্য   কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উত্তপ্ত শহরে নারীদের বাসযোগ্য করে তুলতে কাজ করছি: হিট অফিসার

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের জীবনকে সহনীয় করে তুলতে তাপপ্রবাহ কমিয়ে আনার জন্য বেশকিছু সমাধান নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাসের ছাদে পানীয় জল সরবরাহ, নারীরা যাতে স্বস্তি ও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নারীবান্ধব শৌচাগারের ব্যবস্থাসহ বেশকিছু বিষয়ে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভার প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেওয়া আফরিন বলেন, গরমের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং ঢাকার জন্য টেকসই ও শীতল ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য এটি তাদের যাত্রার কেবল শুরু।

তিনি বলেন, ২০২৩ সাল ছিল স্মরণকালের উষ্ণতম বছর এবং গত মাসে ঢাকায় তাপপ্রবাহ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দীর্ঘ ও তীব্র ছিল। গরমে দমবন্ধ হয়ে আসছিল, আক্ষরিক অর্থেই এত গরম ছিল যে মানুষ শ্বাস নিতে পারছিল না।

তিনি আরও বলেন, চিফ হিট অফিসার হিসেবে আমি অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা বসতিতে বসবাসকারী নারীদের ওপর এই তাপমাত্রার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেছি। গরমের কারণে সম্প্রতি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাজের পাশাপাশি শিশুদের পরিচর্যার বিষয়ে কাজ করা হয়েছে, যা তাদের জন্য কখনো করা হয়নি। এমন একটি শহরে তাদের আরও প্রান্তিক করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সেই শূন্যস্থানটি পূরণ করার দিকে আমাদের নজর; যা আমাদের উত্তপ্ত শহরকে নারীদের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। তাপপ্রবাহের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী এবং যেসব ঝুঁকি মোকাবিলা করেছে, তারা চিহ্নিত করেছে।

সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আর্শট-রক সামাজিক উদ্যোক্তা বুশরা আফরিনকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার (আর্শট-রক) ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মানুষের কাছে স্থিতিশীল সমাধান নিয়ে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে।


হিট অফিসার   এডিবি   অফিসার বুশরা আফরিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে কিছুটা হলেও আমরা দায়মুক্ত হয়েছি, পাপমুক্ত হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

শনিবার (০৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, একটা শুভদিন। সেই মহীয়সী নারীর স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। আমরা জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হলাম। এই যে আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা হয়তো মাঠে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। বৃহত্তর সেদিনের কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের একজন পুরোধা নারী ছিলেন এই শহীদ জননী জাহানারা ইমাম’।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা বড় ভুল থেকে যায়। আমরা কিছুটা হলেও, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু আমাদের অপরপক্ষ, সেদিনের রাজাকার, আল-বদর, আল শামস, এই ঘাতক দালালরা কীভাবে নয় মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক-হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেই দিকটা কিন্তু আমরা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা যথাযথভাবে না হলেও কিছুটা আলোচনা হয়, কিন্তু ওই দিকটা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাসটা ব্যাপকভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাবো যে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবির সমন্বয়ে এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পরে জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী   আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবেই বাংলাদেশে তারা স্বার্থরক্ষা করতে চায়। নির্বাচনের পরপরই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, নতুন সরকারের উপর নতুনভাবে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা শুরু করেছেন। মন্ত্রীদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং ইস্যু সমালোচনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে দুটি বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নানা ইস্যুতে নতুন করে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছে। আর এ কারণেই সরকার আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে নজর রাখছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

মূলত পাঁচটি ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নজর রাখছে বলে কূটনৈতিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. ড. ইউনূস প্রসঙ্গ: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হচ্ছে, সেই মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের চার্জশিট, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা- ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক কোন বক্তৃতা-বিবৃতি না দিলেও এই ড. ইউনূস ইস্যুর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে ব্যাপারে মার্কিন দূতাবাস এবং ওয়াশিংটন সার্বক্ষণিকভাবে খবর রাখছে বলে জানা গেছে।

২. শ্রম আইন: শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রকাশ্য এবং তারা বারবার শ্রম আইন নিয়ে কথা বলছে। সংশোধিত শ্রম আইনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

৩. নির্বাচন: ভবিষ্যতে নির্বাচন গুলো কতটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং এসব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামত পাওয়া যায় কিনা সেটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কারভাবেই বলছে যে, কোন দেশের গণতন্ত্রের কি অবস্থা সেটি নজর রাখা তাদের কুটনৈতিক দায়িত্ব।

৪. মানবাধিকার: মানবাধিকার ইস্যুতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে। বিশেষ করে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে এবং সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কেও তারা লক্ষ্য রাখছে।

৫. বেগম জিয়া: বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া, তার কারাজীবন এবং তার চিকিৎসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খোঁজখবর রাখছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিষয়ে মানবাধিকার রিপোর্টে বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি হিসেবে দাবি করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা বলেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন, তিনি জামিনে রয়েছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেগম জিয়ার ইস্যুটি সম্পর্কে নজর রাখছে।

আর এই সবকিছুই হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি যারা সরকারবিরোধী, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়গুলোতে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করছে এবং বাংলাদেশের উপর নতুন করে এক ধরনের চাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ড. ইউনূস   খালেদা জিয়া   মানবাধিকার   শ্রম আইন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ সাংবাদিকতায় সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত 'জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে তৃণমূলে, গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে যদি কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রতিবেদক স্থানীয় বা তথাকথিত প্রভাবশালী দ্বারা যদি কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েন, সে ক্ষেত্রে সরকার সেই সাংবাদিকদের বা প্রতিবেদকদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, সহযোগিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এর কারণ জাতীয়ভাবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে। 

তিনি আরও বলেন, পরিবেশকে বিপর্যয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী কিন্তু বড় শিকার। যে কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর যে কোনো প্লাটফর্মে আমরা এ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ থাকি এবং এখানে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করি সরকার, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে। 

তিনি যোগ করেন, দেশের ভেতরে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখে ফেলেন এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক বা প্রতিবেদককে বিপদে পড়তে হয়, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে এ বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে। কারণ সরকার মনে করে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে যারা স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্যুতি-ব্যত্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তারা সরকারকে সহযোগিতা করছেন, দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করছেন। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমরা যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করতে চাই, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষা করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চালিয়ে রাখতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনেকে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করে থাকে। পরিবেশকে অনেক ক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নয়ন-অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা হয়, সেটা পেশাদার সাংবাদিকতা বলা যায় না। 

তিনি আরও বলেন, যারা সততা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা থাকা দরকার। সাংবাদিকতার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়ে এ ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বাধীনতা তৈরির জন্য যে ধরণের পলিসি নেওয়া দরকার সেটা নিয়েও সরকার কাজ করছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর করা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান প্রসঙ্গে এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফ-এর সূচক প্রকাশ ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের মেথডোলজির মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। আরএসএফ বিভিন্ন দেশে স্কোরিং করার ক্ষেত্রে যাদের মতামত নিচ্ছে, তাতে কিছু মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটছে। সেটা কোনভাবেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশের প্রতিফলন হচ্ছে না। এটা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তবে একইসাথে এ ধরণের প্রতিবেদনে কোন সত্য বা আমাদের দুর্বলতা থাকলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। 

আলোচনা সভায় 'জলবায়ু রাজনীতি: সাংবাদিকদের ভূমিকা' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. লিয়াকত আলী।


তথ্য প্রতিমন্ত্রী   পরিবেশ সাংবাদিকতা   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন