নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক ও লালমনিরহাটের বিভিন্ন ছিটমহলসহ দুই জেলায় সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন নানা উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে প্রথমে মেহেরপুরের উদ্দ্যেশে যাত্রা শুরু করেন। সকাল সাড়ে দশটায় পৌঁছে প্রথমে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপর স্বাধীনতা সড়কসহ এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঐতিহাসিক এই জায়গায় স্বাধীনতা সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। পর্যটনের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।
তিনি জানান, মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়কের কাজ শিগগিরই শুরু হবে এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করা হবে।। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে স্বাধীনতা সড়কটি আগামী মার্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বাধীনতা সড়কটি ঐতিহাসিক মুজিবনগর থেকে শুরু হয়ে ভারতের নদীয়া থেকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সসহ স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন।
পরে, মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে আয়োজিত পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন মোঃ তাজুল ইসলাম। সভায় স্বাধীনতা সড়কের (মুজিবনগর-কলকাতা) উপরে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
মেহেরপুর সফর শেষে বিকালে মন্ত্রী লালমনিরহাট পৌঁছে তিন বিঘা করিডোরে বিজিবি এবং বিএসএফ কর্তৃক গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। গার্ড আব অনার শেষে দহগ্রাম অঙ্গরপোতা ছিটমহল এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
এরপর লালমনিরহাট জেলার বিলুপ্ত ছিটমহলের উন্নয়ন পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারত ছিটমহল বিনিময় হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব এলাকায় সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ছিটমহলে রাস্তা ঘাট, ব্রিজ, মসজিদ মন্দির, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল বিদ্যুৎসহ সব নাগরিক সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে ছিটমহলের মানুষ যে অমানবিক কষ্ট করেছেন তা শেখ হাসিনা অল্প সময়ের মধ্যেই লাঘব করে দিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে শহীদ করার পর সে উদ্যোগ থেমে যায়। এর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে দুই দেশের মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন।
ছিটমহলে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় এখানকার মানুষও সকল নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে। একই দেশে বসবাস করে সকল নাগরিক সমান সুবিধা পাবে এটাই নিয়ম।
এক অঞ্চলের মানুষকে বঞ্চিত করে অথবা বৈষম্য তৈরি করে আর এক অঞ্চলে উন্নয়ন করা হবে না জানিয়ে বিলুপ্ত ছিটমহল অঞ্চলের উন্নয়নে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মোঃ তাজুল ইসলাম।
দিনব্যাপী সফরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ খান, ডিপিএইচই`র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব নূরে আলম সিদ্দিকী সফরসঙ্গী ছিলেন।
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৮ মে (বুধবার) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল ক্লাস-পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৭
মে) বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণায়ের স্বারক মোতাবেক ১৪১ টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ০৮ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। এবং অফিস বন্ধকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সেবাসমূহ (চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুৎ, আইসিটি সেল, নিরাপত্তা ও এস্টেট) চালু থাকবে।
উপজেলা নির্বাচন ইবি ক্লাস-পরীক্ষা
মন্তব্য করুন
প্রায়
সাড়ে
৬
কোটি
টাকার
জ্ঞাত
আয়বহির্ভূত
সম্পদ
অর্জনের
অভিযোগে
বরিশাল
সিটি
করপোরেশনের
সাবেক
মেয়র
আহসান
হাবিব
কামালের
স্ত্রী
হোসনে
আরা
বেগম,
তার
ছেলে
মোঃ
কামরুল
আহসান
ও
মেয়ে
মালিহা
সাবরিনের
বিরুদ্ধে
পৃথক
তিনটি
মামলা
করেছে
দুর্নীতি
দমন
কমিশন
(দুদক)।
সোমবার
(০৬
মে)
দুদকের
বরিশাল
সমন্বিত
জেলা
কার্যালয়ে
সংস্থাটির
সহকারী
পরিচালক
মোঃ
আবুল
কাইয়ুম
হাওলাদার
বাদী
হয়ে
তিনটি
মামলা
করেন।
দুদকের
একটি
সূত্র
বিষয়টি
নিশ্চিত
করেছে।
তিনটি
মামলার
মধ্যে
সাবেক
মেয়র
আহসান
হাবিব
কামালের
স্ত্রী
হোসনে
আরা
বেগমের
বিরুদ্ধে
৬৪
লাখ
দুই
হাজার
৩৭৮
টাকার
সম্পদের
তথ্য
গোপনসহ ২
কোটি
৯৩
লাখ
৯৬
হাজার
৭৩৩
টাকা
অবৈধ
সম্পদ
অর্জন
করার
অভিযোগ
আনা
হয়েছে।
অন্য
মামলায়
সাবেক
মেয়রের
ছেলে
মো.
কামরুল
আহসানের
বিরুদ্ধে
চার
লাখ
১২
হাজার
২১২
টাকার
সম্পদের
তথ্য
গোপনসহ
মিথ্যা
ও
ভিত্তিহীন
তথ্য
দেয়ায়
এক
কোটি
৮৯
লাখ
৬৩
হাজার
৮৯৩
টাকার
অবৈধ
সম্পদ
অর্জনের
অভিযোগ
আনা
হয়েছে।
অপর
সন্তান
মেয়ে
মালিহা
সাবরিনের
বিরুদ্ধে
দুই
লাখ
৮২
হাজার
৪৬৫
টাকার
সম্পদের
তথ্য
গোপনসহ
এক
কোটি
৫৮
লাখ
৯৯
হাজার
টাকার
জ্ঞাত
আয়বহির্ভূত
সম্পদ
অর্জনের
অভিযোগ
আনা
হয়েছে
মামলায়।
প্রাথমিক
অনুসন্ধানে
অভিযোগের
সত্যতা
পাওয়ায়
২০২২
সালে
তাদের
সম্পদ
বিবরণী
নোটিশ
দেয়া
হয়েছিল।
ওই
বছরের
জুলাই
মাসে
সম্পদের
হিসাব
দাখিল
করেন
সাবেক
মেয়র
আহসান
হাবিব
কামালের
পরিবারের
সদস্যরা।
মামলায়
আসামিদের
বিরুদ্ধে
দুদক
আইন
২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ
আনা
হয়েছে।
পৌরসভা
থেকে
বরিশাল
সিটি
করপোরেশন
হলে
২০০২
সালের
২৫
জুলাই
থেকে
২০০৩
সালের
১৪
এপ্রিল
পর্যন্ত
প্রথম
ভারপ্রাপ্ত
মেয়র
হিসেবে
দায়িত্ব
পালন
করেন
আহসান
হাবিব
কামাল।
২০১৩
সালের
নির্বাচনে
বিএনপি
মনোনীত
প্রার্থী
হিসেবে
তিনি
মেয়র
নির্বাচিত
হন
এবং
২০২২
সালের
৩০
জুলাই
আহসান
হাবিব
কামাল
মৃত্যুবরণ
করেন।
সিটি মেয়র দুদক আয়বহির্ভূত সম্পদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হাত-পা বাধা অবস্থায় অরুনা খাতুন (৩৬) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) রাতে থানার ভরমোহনী গ্রামের ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার কর হয়।
নিহত অরুনা ভরমোহনী গ্রামের আলাউদ্দিনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। তার বাবার বাড়িও একই গ্রামে। তিনি মৃত গোলবার হোসেনের মেয়ে। তালাকের পর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকতেন তিনি।
সলঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজমা খাতুন বলেন, ৮ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে অরুনার বিচ্ছেদ হয়। ঘটনার রাতে সাবেক স্বামী আলাউদ্দিন আবারও বিয়ে করার কথা বলে কল করে অরুনাকে ভরমোহনী গ্রামের মাঠে ডেকে নেন। পুলিশের ধারণা, আলাউদ্দিন নিজে অথবা তার লোকজন দিয়ে অরুনাকে হত্যার পর ধানক্ষেতে মরদেহ ফেলে রাখে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, পুলিশ অরুনার বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত খুনি শনাক্তের প্রচেষ্টা করছে। সাবেক স্বামী আলাউদ্দিন পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মৃতদেহ উদ্ধার নারীর স্বামী পলাতক
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে ভ্যান চালক আবু সালাম হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দন্ড প্রাপ্তরা হলো, জেলার কালাই পৌরসভার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ ওরফে হারুন, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোস্তাক আহমেদ ও জসিম উদ্দিনের ছেলে হাফিজার রহমান। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল।
মামলা সূত্রে জানা য়ায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ এলাকার ভ্যানচালক আবু সালামকে আসামীরা শ্বাসরোধে হত্যা করে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পুরাতন কবরে লাশ লুকিয়ে রেখে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয়রা ওই কবরে জীবজন্তু খাওয়া অবস্থায় তার লাশের পা দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
হত্যা কান্ড ভ্যান চালক মৃত্যুদন্ড
মন্তব্য করুন
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে শুল্কহার যৌক্তিক করা ও ঋণপত্র খোলায় সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজারের সীমা বাড়ানোসহ ৭ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া এসব সিদ্ধান্ত-সংক্রান্ত একটি চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের দেওয়া ওই চিঠিতে গত ৩০ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সূত্র ধরে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।