নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক বসতে যাচ্ছে আজ। দুপুরে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে চীনের একজন ভাইস মিনিস্টার ও মিয়ানমারের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি অংশ নেবেন।
বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র সচিব।
রোহিঙ্গাদের আস্থা ফেরানোর জন্য গ্রামভিত্তিক প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তাব বৈঠকে দেওয়া হবে বলে সোমবার পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামভিত্তিক অ্যাপ্রোচ যদি আমরা নিই, সেটা বোধহয় মোর প্র্যাকটিক্যাল হবে। পার্টিকুলার এরিয়া থেকে যারা ভেরিফাইড হলো, তাদের যদি ফেরা নিশ্চিত করি, এটাকে যদি আমরা পাইলট হিসেবে গণ্য করি, এভাবে যদি ইউনিট বাই ইউনিট এগোই, তাহলে মোর প্র্যাকটিক্যাল হবে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের প্রত্যাশার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ চায় যত শিগগির সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরু হোক। চীনের সহায়তায় বৈঠকটি হচ্ছে। আগেও চীন একবার তারিখ দিয়েছিলো, কিন্তু মিয়ানমার রাজি না থাকায় বৈঠকটি হয়নি।’
প্রত্যাবাসনের জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ছয় দফায় মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই করে ফেরত পাঠিয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশ চায় বর্ষার আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হোক। তবে সবকিছু নির্ভর করছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের ভয়ে ৮ লাখের মতো রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশ এই বিশাল জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব বহন করে চলেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বুড়িগঙ্গা নদী পোস্তগোলা শিল্পাঞ্চল ড. আওলাদ হোসেন ঢাকা-৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বজ্রপাতে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক পরিবারের শেষ সম্বল দুটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন হাটি গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তরং নতুন হাটি গ্রামের মৃত নুর জামালের ছেলে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক আসাদ খান সোমবার (৬ মে) সকালে বাড়ির সামনে থাকা পালই হাওরের কান্দায় ঘাঁস খাওয়ার জন্য দুটি গরু বেধে রেখে আসেন। এরপর কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত পড়লে গরু দুটি হাওরের কান্দায় মারা যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদ খান বলেন, ‘আমি বোরো মৌসুমে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করি, বর্ষায় ফেরী নৌকা চালিয়ে ৫ জনের সংসারের ভরণ পোষণ চালাই। শ্রমের টাকায় গত দুই বছর আগে ৮০ হাজার টাকায় গরু দুটি কিনে লালন পালন করি। ইচ্ছে ছিল আগামী কোবারবানীর হাটে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকায় গরু দুটি বিক্রি করে সংসারের কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনব কিন্তু আমার শেষ সম্বল দুটি গরু বজ্রপাতে মারা গেল।’
উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলেয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ‘সরকারি কিংবা কোন এনজিও সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তা অথবা দুটি গরু কিনে দিয়ে সহায়তা করলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদের পরিবার আবারো আশার আলো দেখবে।’
মঙ্গলবার (৭ মে) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ‘বজ্রপাতে দুটি গরু মারা গেছে জেনেছি, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিককে সরকারি ভাবে সহায়তার সুযোগ থাকলে অবশ্যই সহায়তা করা হবে।’
মন্তব্য করুন