নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারের পর তাকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে আটক করে রাখা হয়েছিল। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। ঐ দিন মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঐ আন্দোলনকে দমন করার জন্য এরশাদ বন্দুকের ভাষা প্রয়োগ করেন এবং কঠোরভাবে আন্দোলন দমনের জন্য লাঠি, গুলি, কাঁদুনে গ্যাস দিয়ে নির্বিচারে আক্রমণ করা হয় নিরীহ ছাত্রদের ওপর। সেই সময় মারা যায় জয়নাল জাফর, মোজাম্মেল, কাঞ্চন, দীপালীসহ অনেক তরুণ শিক্ষার্থী। এই ঘটনার পরপরই এরশাদ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন এবং সকল ছাত্র রাজনীতির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেন।
কিন্তু ছাত্রদের এই দাবির প্রতি সম্পূর্ণ একাত্মতা ঘোষণা করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বৈঠক করার উদ্যোগ নেন। সেই সময় বেইলী রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও ড. কামাল হোসেন, বেগম সাজেদা চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি এই দমন-পীড়ন, নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং এর প্রতিবাদে আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে তার মনোভাব ব্যক্ত করেন। তার এই সিদ্ধান্তের আলোকেই পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের যায় এবং ১৫ দলীয় জোট গঠিত হয়। ওই বৈঠক চলাকালীন অবস্থায় এরশাদের অনুগত বাহিনী এসে আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ অন্যান্যদেরকে গ্রেফতার করেন এবং নেতৃবৃন্দের চোখ বেঁধে তাদেরকে ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতেও সোচ্চার হয় দেশের জনগণ। ১৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পর সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে, এই আশঙ্কায় এরশাদ সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে মাথা নত করতে হয়।
পহেলা মার্চ শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আটকদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য এটি ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রথম কারাবরণ। পাশাপাশি এর মাধ্যমে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন এবং জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক দীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যখন শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হন, তখন বেগম খালেদা জিয়া ঘরে ছিলেন। বিএনপি তখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরুই করেনি। শেখ হাসিনা যখন আন্দোলনকে একটি ধাপে নিয়ে আসে, তারপর বিএনপি ৭ দলীয় জোটের মাধ্যমে এই আন্দোলনে যুক্ত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে এই কারণে যে, এই দিনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।