নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
করোনা ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সফল দেশগুলো আছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম । এখন পর্যন্ত দেশের এক ভাগের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে । প্রতিদিন আড়াই লাখের কাছাকাছি মানুষ টিকা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম করেছে ।এই নিয়মটি হল যে ,চল্লিশোর্ধ বয়সের উপরে যারা নিবন্ধন করবেন তারা টিকা দিতে পারবেন ।এছাড়া যারা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় জড়িত যেমন চিকিৎসক, সংবাদকর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তথা সম্মুখ সারির যোদ্ধাদেরকে টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান জানিয়েছেন যে, ৪০ বছরের এর নিচে আপাতত টিকা কার্যক্রম চালানোর কোনও অভিপ্রায় তাদের নেই । সমস্যা দেখা দিয়েছে এখানেই, গতকাল শিক্ষা মন্ত্রী ড. দীপু মনি জানিয়েছেন যে, পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর পরে হলগুলো খুলে দেয়া হবে এবং ১৭ ই মে থেকে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রবেশের শর্ত হিসেবে তিনি বলেছেন সবাইকে টিকে দিতে হবে ।
আমরা জানি যে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ে তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে । এখন প্রশ্ন হলও যদি তারা নিবন্ধন করতে না পারেন এবং টিকা দিতে না পারেন তাহলে পরে তারা টিকা কোথা থেকে দিবেন । এ ব্যাপারে আজকে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশনা তিনি পান নাই । আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেছেন যে, এটি সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের সিদ্ধান্ত যে চল্লিশের নীচে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে কিনা । প্রশ্ন উঠেছে যে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া যদি হয় তাহলে পরে যে সমস্ত শিশুরা স্কুলে যাবে স্কুল- খুললে তাদেরকে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কোথায় ? বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে কলেজ পর্যায়ের অনেক শিক্ষার্থীই আবাসিক হোস্টেলে থাকে । একই সাথে আজ কওমি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী যারা আবাসিক ভাবে থাকে তাঁদেরকেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক । কিন্তু বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা, সাধারণ শিক্ষা এবং সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ কোটির ওপরে । দুই কোটি টীকার কার্যক্রম চালাতে ৪ কোটি টিকার ডোজ লাগবে । এই সময়ের মধ্যে ৪ কোটি ডোজ কীভাবে যোগাড় করা যাবে?
আমরা যদি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করি সারা বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা এই মুহূর্তে দুই লাখের কাছাকাছি । দুই লাখ শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যাকসিন দিতে গেলে চার লাখ ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে । সেই চার লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এখন যে টিকা কার্যক্রম চলছে সেই কার্যক্রমের মাঝ পথে দেয়া সম্ভব হবে কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন? যখন সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কথা বার্তা বলে তখন তাদের মধ্যে সমন্বয় থাকা অত্যন্ত জরুরী। সমন্বয়হীনতার কারণে অনেক সাফল্য ম্লান হয়ে যায় । বাংলাদেশে যে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেটা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক আগ্রহ, প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগের ফসল । এই উদ্যোগকে এখন ব্যর্থ করার জন্য যদি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের লাগামহীন ভাবে, দায়িত্ব জ্ঞানহীন হবে কথাবার্তা বলে তাহলে সেটার ক্ষতি শেষ পর্যন্ত সরকারের উপরই হয়। কাজেই শিক্ষামন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের আগে যদি তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করতেন, কথা বলতেন তারপর যদি তিনি এ ধরনের ঘোষণা দিতেন বা এ ঘোষণা যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আসতো তাহলে পরে সকলের জন্য এটা ভাল হতো , স্বস্তিকর হতো। কিন্তু এখন যেভাবে যে মন্ত্রণালয় পারছে কথা বলছে এর ফলে এই সফল টিকা কার্যক্রমকে নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী
লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ
তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক
পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের
বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ
হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন
মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ
হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা
উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের
ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে
রক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা
হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান
সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া
পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের
লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে
বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে
হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি
করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক
শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে
ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার
খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে
তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া
পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত
কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন
ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা
বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত
করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম
ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন
কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময়
উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)
এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি
হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে
হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ
বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান
করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি
১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে
লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা
(কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক
প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।