নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৬ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
ধান-চাল এবং আলুর দাম বৃদ্ধির পেছনে ভুল পরিসংখ্যানকে দায়ী করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ধান এবং আলু উৎপাদনের তথ্য সঠিক নয়। একারণেই মৌসুমেও এসব কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বাজার চাহিদা ঠিক রাখা এবং উন্নয়নের স্বার্থে মিথ্যা পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে সত্য এবং সঠিক পরিসংখ্যান প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বলেছেন, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার স্বার্থে সঠিক পরিসংখ্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। দেশব্যাপী জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানাীর হোটেল সোনারাগাঁওয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। প্রথমবারের মতো এবারই দেশে জাতীয় পরিংখ্যান দিবস পালিত হচ্ছে।
পরিসংখ্যানের ভুলের খেশারত প্রসঙ্গে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে বলা হলো, এবার এক কোটি ১০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। সত্যিই যদি এত আলু উৎপাদিত হতো তাহলে দাম বাড়লো কেন। উৎপাদনের এই তথ্য আসলে ভুল। এর জবাব কে দেবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘একইভাবে ধান-চালের দাম বেশি। কারণ, উৎপাদনের পরিসংখ্যান সঠিক নয়। সঠিক পরিসংখ্যান করা না গেলে সব উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। মিডিয়া এবং ভিন্ন মতের পক্ষ এ বিষয়ে সমালোচনা করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিষয়েও এরকম সমালোচনা হয়ে থাকে।’ এ প্রসঙ্গে জনসংখ্যার প্রকৃত সংখ্যার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা কেউ বলছে ১৭ কোটি, কেউ ১৮ আবার কেউ ২০ কোটিও বলছে।’
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অনারারি অধ্যাপক ড. পি কে মতিউর রহমান, বাংলাদেশে ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি টুমো হুজুমি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।